ঢাকা সোমবার, ১৩ অক্টোবর, ২০২৫

মহানগর উত্তর-দক্ষিণ আ’লীগ থানা ওয়ার্ড

আ’লীগে সুখবর নেই


ইউসুফ আলী বাচ্চু photo ইউসুফ আলী বাচ্চু
প্রকাশিত: ২০-৬-২০২৩ দুপুর ৪:২৫

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের থানা ও ওয়ার্ড পর্যায়ের কমিটি সহসা হচ্ছে না; এমটি মনে করছে ক্ষমতাসীন দলের বেশ কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতা। তারা মনে করছেন, দেশে নির্বাচনী হাওয়া বইছে। এই মুহূর্তে কমিটি ঘোষণা হলে০ দলের মধ্যে বিশৃঙ্খলা তৈরি হতে পারে। অবশ্য মহানগর নেতারা বলছেন অন্য কথা। তারা জানান, আমরা কমিটির কাজ প্রায় শেষ করে ফেলেছি। কয়েকদিন পরে হয়তো কমিটি ঘোষণা করতে পারবো।

এদিকে যাদের পদ দেওয়ার কথা বলে মহানগরের নেতারা ঝুলিয়ে রেখেছেন তারাও ক্ষোভে ফুঁসছেন। বিরোধী দলের আন্দোলন সংগ্রামে সব সময় মাঠে থাকছে আওয়ামী লীগ। এই সকল সভা-সমাবেশে লোক আসে মূলত মহানগরের বিভিন্ন থানা ও ওয়ার্ড থেকে। দীর্ঘ সময় কমিটি না থাকায় দলীয় প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করতে অনীহা দেখা দিয়েছে নেতাকর্মীদের মধ্যে। যাদেরকে এতদিন মহানগরের নেতারা দলীয় কর্মসূচির কথা বললেই অংশগ্রহণ করতেন তারা এখন এড়িয়ে যাচ্ছেন। এতে দুই মহানগরে দলীয় কার্যক্রমে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। আধিপত্য বিস্তার নিয়ে নিজেদের মধ্যে কয়েক দফায় মারামারির ঘটনাও ঘটেছে।

সূত্র জানায়, ঢাকা মহানগরের সকল সাংগঠনিক থানা ও ওয়ার্ড কমিটি বিলুপ্ত করে সম্মেলন হয়েছে। কিন্তু সম্মেলনের পর বেশ কয়েক মাস পার হলেও নতুন কমিটি দেওয়া হয়নি। সম্মেলন হওয়া থানা ও ওয়ার্ড কমিটি কবে দেওয়া হবে, সে বিষয়ে কেউ নির্দিষ্ট করে কেউ কিছু বলতে পারছেন না।ঢাকা মহানগর দক্ষিণে ওয়ার্ড রয়েছে ৭৫টি। প্রতিটি ওয়ার্ডে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী রয়েছে কমপক্ষে ২০ জন আর থানা কমিটির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী কমপক্ষে ১৫ জন। 
বিশ্বস্ত সূত্র ও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক পদপ্রত্যাশী এই প্রতিবেদককে জানিয়েছেন, তাদের প্রত্যেকের কাছ থেকে পদ দেওয়ার বিনিময়ে ওয়ার্ডে ১০ লাখ টাকা ও ২৪ থানায় প্রত্যেকের কাছ থেকে ৫০ লাখ থেকে কোটি টাকা নিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে নগর নেতাদের বিরুদ্ধে। কিন্তু সবাইকে তো সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক দেয়া সম্ভব নয়। এ জন্য কমিটি নিয়ে গড়িমসি করছেন তারা।

মহানগর নেতারা জানান, বিএনপির আন্দোলনের বিপরীতে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের নেতাদের ডাকে সাড়া দিয়ে প্রতি সপ্তাহেই শান্তি সমাবেশ করছেন তৃণমূলের নেতারা। সমাবেশে মিছিল নিয়ে হাজির হচ্ছেন। কিন্তু কমিটি ঘোষণা না হওয়ায় নিজেদের পরিচয়ও দিতে পারছেন না ইউনিট, ওয়ার্ড এবং থানার রাজনীতিতে সম্পৃক্ত নেতারা। কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নেতারা একাধিকবার তাগাদা দেওয়া সত্ত্বেও শাখা কমিটি দিতে গড়িমসি করছেন ঢাকা মহানগরের নেতারা। নানান অজুহাতে আটকে আছে কমিটি। তাদের ঐক্যের অভাবে আটকে আছে ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন থানা, ওয়ার্ড ও ইউনিটের নতুন কমিটি ঘোষণা। 
উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান বলেন, সব থানা, ওয়ার্ড ও ইউনিয়নের প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের কাজ শেষ করে এনেছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা। খুব তাড়াতাড়ি আমারা কমিটি দিতে পারবো বলে আশা করছি।

এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি বলেন, আমাদের থানা-ইউনিয়ন-ওয়ার্ড কমিটির সম্মেলন শেষ হয়েছে অনেক আগেই। যারা রাজনীতির মাঠে সক্রিয়, ইমেজ ভালো- এমন নেতাদের নিয়ে কমিটির খসড়া তালিকা করা হচ্ছে। যাদের নাম কমিটিতে আসবে তাদের আগের খতিয়ান দেখা হচ্ছে, যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনার অনুমোদনক্রমে শিগগির কমিটি ঘোষণা করা হবে।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সূত্রে জানা গেছে, মহানগর দক্ষিণে মূলত তিনটি বলয় রয়েছে। যেখানে আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসও রয়েছেন। এই শাখায় উচ্চপর্যায়ের তিনজনের আলোচনা ও সমঝোতায় কমিটিগুলো হচ্ছে।কমিটি ঘোষণার বিষয় ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহম্মেদ মন্নাফি বলেন, আমাদের কাজ প্রায় শেষ। মেয়রের সঙ্গে ফাইনালি বসতে হবে। কিন্তু তিনি অনেক ব্যস্ত। এদিকে আমাদের নিয়মিত দলীয় ও জাতীয় কর্মসূচি থাকছে।

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে কমিটি দেওয়া সম্ভব কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, অবশ্যই কমিটি দিতে হবে। আমরা চেষ্টা করছি এই ঈদের আগে কমিটি ঘোষণা করার।কমিটির বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির বলেন, এখন যাচাই-বাছাই চলছে। মহানগর নেতাদের নিয়ে গঠিত টিম কাজ করছে। সময় হলে কমিটি ঘোষণা হবে এবং অল্পদিনের মধ্যেই চেষ্টা করছি। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের অধীনে ২৪টি থানা, ৭৫টি ওয়ার্ড এবং ৫টি ইউনিয়ন রয়েছে। অন্যদিকে ঢাকা মহানগর উত্তরের অধীনে ২৬টি থানা, ৬৪টি ওয়ার্ড, একটি ইউনিয়ন রয়েছে।

 

এমএসএম / এমএসএম

পিআর পদ্ধতি নিয়ে সিদ্ধান্ত আগামী নির্বাচিত সংসদেই : মির্জা ফখরুল

দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীকে নিয়ে জনগণ গর্বিত থাকতে চান: জামায়াত আমির

পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের বিষয়ে গণভোট করার দায়িত্ব কে দিয়েছে

দেশের মানুষ বিশ্বাস করে না ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে :আনিসুল ইসলাম মাহমুদ

ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন না হলে ভয়ংকর পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে : দুদু

গণতন্ত্রে ফেরার একমাত্র পথ অবাধ নির্বাচন : মির্জা ফখরুল

কূটনীতিকরা কার বাসায় বৈঠক করবেন সেটা নিয়ে বিএনপি চিন্তা করে না

জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারত করলেন খালেদা জিয়া

সুষ্ঠু-অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন: আমীর খসরু

সামনে মহাপরীক্ষা, কোনো ষড়যন্ত্র যেন সফল না হয়: ফখরুল

দুই আঞ্চলিক শক্তি, এক বিশ্বমোড়ল দেশে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছে: সালাহউদ্দিন

আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু করতে জাতিসংঘের সহায়তা চায় জামায়াত

অন্তর্বর্তী সরকার যত বেশি দৃঢ় থাকবে, ততই সন্দেহ চলে যাবে : তারেক রহমান