অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ যায়েদ হোসেন, মেডিসিন বিশেষজ্ঞ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
গর্ভাবস্থায় ডেঙ্গু প্রতিরোধ

গর্ভবতী নারীর ডেঙ্গু হলে তার রক্তচাপে কিছু পরিবর্তন আসতে পারে এবং সেসময় রক্তের প্লাটিলেট কমে যেতে পারে। এ কারণে অনেক ক্ষেত্রে রোগী খারাপ পর্যায়ে চলে যেতে পারে । এসময় রোগীকে পর্যাপ্ত পরিমাণে এন্টিবায়োটিক এবং তার যদি কোনো কারণে সেকেন্ডারি ইনফেকশন থাকে, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। যদি অনুচক্রিকা কমে যায়, সেক্ষেত্রে তাকে এফল্যাটিক প্যাথলেট বা এফলেটিক অনুচক্রিকা দেওয়া যেতে পারে। দেখতে হবে- ডেঙ্গু হলে হেমুরাইজিং ফিভার বা ডেঙ্গুশক ছিদ্র এইগুলো যাতে না হয়। যখন একজন গর্ভবতী নারী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয় তখন রোগীর অবস্থা খারাপ হতে থাকে। সেজন্য আমাদের প্রথম থেকে সতর্ক থাকতে হবে। যেন রোগীর ব্লাড প্রেশার কোন ভাবেই শকে চলে যেতে না পারে এবং তার যদি হেমুরাইজিং ফিভার হয় সেক্ষেত্রে তার প্রতি বিশেষ যত্ন নিতে হবে। কারণ রোগী এমনিতেই গর্ভবতী। এ অবস্থায় যদি হেমুরাইজার বা রক্তক্ষরণ হয়, সেক্ষেত্রে সমস্যা আরও বেড়ে যেতে পারে। তাকে সঠিক পর্যবেক্ষণে রাখতে হবে। রোগী যদি শকে চলে যায়, সেক্ষেত্রে শক ম্যানেজমেন্টে যদি হেমুরাইজ শুরু হয়, তার রক্তক্ষরণ বন্ধ করার ব্যবস্থা করতে হবে।
আমরা যারা বড় মানুষ, আমাদের যখন মশা কামড়ায়, তখন আমরা মশা থেকে সরে যাই অথবা গায়ে থাপ্পড় দিয়ে মশা মেরে ফেলি অথবা মশা সরিয়ে দিই। শিশুরা এটি বেশি টের পায় না। যার কারণে ছোটরা যখন খেলাধুলা করে, ঘুমায় অথবা পড়াশোনা করে, তখন যদি মশা কামড় দেয়, তাহলে মশাকে থাপ্পর মারতে পারে না বা সে নিজেও সরে যেতে পারে না । এজন্য বাচ্চাদের সমস্যা বেশি হয়। সুতরাং বাচ্চাদের ক্ষেত্রে, যারা অভিভাবক আছেন, বাচ্চা ঘুমানোর সময় বা খেলাধুলা করার সময় খেয়াল রাখতে হবে তাকে মশা কামড়াচ্ছে কিনা।
বাচ্চা এবং গর্ভবতী মহিলাদের ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানানো প্রয়োজন। এটিকে আমরা বলি (প্রিভেনশন ইজ বেটার দ্যান কিউর)। এখন এমন অনেক কিছু পাওয়া যায় যেমন মলম জাতীয় ওষুধ বা স্প্রে পাওয়া যাচ্ছে। সেগুলো যদি একটি বাচ্চা বা গর্ভবতী নারীরা উন্মুক্ত স্থানে ব্যবহার করে, তাহলে ওই সময় ওই জায়গায় মশা কামড়াচ্ছে না। বাচ্চা বা গর্ভবতী মহিলারা যেখানে অবস্থান করে তার আশেপাশে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন পরিবেশ খুব জরুরি। দেখা যায় বাড়ির আশে পাশে যদি নোংরা থাকে বা পানি জমে থাকে তাহলে সেখানে মশা ডিম পারে। সুতরাং আপনাদের খেয়াল করতে হবে, আপনার বাড়ির আশে পাশে এমন জায়গা যেগুলো আছে, যেখানে মশা জন্মাতে পারে, সেসব জায়গা পরিষ্কার রাখতে হবে। মশা জন্মনোর আগে তা বন্ধ করতে হবে।
বিশেষভাবে মনে রাখবেন- ডেঙ্গু মশা কামড়ায় সূর্য উদয়ের কিছু সময় পরে এবং সূর্যাস্তের সময়। এই দুই সময় খুব জরুরি । গর্ভবতী নারীরা অনেক সময় লজ্জার কারণে বা কিছু সামাজিক সমস্যার কারণে নিজের সমস্যার কথা বলতে পারে না বা কিছু দেরিতে বলে এবং এই দেরির কারণে অনেক সময় ক্ষতি হয়ে যেতে পারে । সেক্ষেত্রে সামাজিক সচেতনতা খুব জরুরি। দেখা যায়- বয়স্ক ও বাচ্চাদের এবং মেয়েরা ডেঙ্গুতে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে । মেয়েদের বিভিন্ন কারণে এটি বেশি হয়ে থাকে। যেমন মাসিক বা অনান্য সমস্যার কারণে মেয়েদের শরীরে এমনিতেই রক্তস্বল্পতা বা অনুচক্রিকা কম থাকে। তাই মেয়েরা একটু বেশি ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছে এবং তাদের অবস্থাও খারাপ পর্যায়ে চলে যাচ্ছে। গর্ভবতী নারীদের আমি পরামর্শ দিব প্রথমিক যে চেক আপ, তা করতে হবে এবং চিকিৎসকের পরামর্শক্রমে চেক আপ করতে হবে এবং জ্বর হলে সাথে সাথে পরীক্ষা করতে হবে। জানতে হবে ডেঙ্গু হলো কি না? বাচ্চাদেরও জ্বর হলে সাথে সাথে ডেঙ্গু পরীক্ষা করতে হবে । রোগীকে পুষ্টিকর খাদ্য দিতে হবে, যে খাবার ভিটামিন সি সমৃদ্ধ এবং ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ । ভিটামিন সি আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
খেয়াল রাখতে হবে- ডেঙ্গু যেন অতিরিক্ত পর্যায়ে চলে যেতে না পারে। এর জন্য ভিটামিন সি এবং ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার খাওয়াতে হবে।
Sunny / Sunny

বিএসএমএমইউয়ে নতুন নামের ব্যানার, বাদ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব

মেডিকেলে থাকছে মুক্তিযোদ্ধা কোটা, যাচাই-বাছাই ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত

ডেঙ্গুতে একজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৫৭ রোগী

ডেঙ্গুতে ঢাকায় কর্মক্ষম মানুষের মৃত্যু বেশি

ডেঙ্গুতে আরও ৪ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ৮৮৮

বেসরকারি মেডিকেল শিক্ষায় অশনি সংকেত অটোমেশন; ক্ষুব্ধ অভিভাবকরা

ইডেন মাল্টি কেয়ার হাসপাতালের বিরুদ্ধে অপচিকিৎসার অভিযোগ

ক্যানসার রহস্যের জট খোলার নতুন ‘সূত্রের’ সন্ধান মিলেছে

বাংলাদেশ ডেন্টাল সোসাইটির ইসি গঠনে সাত সদস্য বিশিষ্ট সার্চ কমিটি

বিশ্ব হার্ট দিবস ২০২৪ উদযাপন করলো এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকা

আঘাতপ্রাপ্ত রেটিনায় চোখের চিকিৎসা ও সম্ভাবনা

২৭ দেশে ছড়িয়ে পড়েছে করোনার নতুন ভ্যারিয়্যান্ট
