ঢাকা বুধবার, ২৫ জুন, ২০২৫

ঢামেকে বেড়েই চলেছে ওয়ার্ড বয় ও দালালদের দৌরাত্ম্য


তানভীর সানি  photo তানভীর সানি
প্রকাশিত: ৪-১২-২০২৩ দুপুর ৩:৭

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল দেশের স্বনামধন্য একটি রাষ্ট্রীয় আধুনিক চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান। এখানের উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ২৪ ঘন্টাই রোগী আসে। কিন্তু চিকিৎসা সেবা নিতে এসে এখানে প্রথমেই ওয়ার্ড বয় ও দালালদের খপ্পরে পড়েন রোগী ও রোগীর স্বজনরা। হাসপাতালটির জরুরি বিভাগের গেটের সামনেই ওৎপেতে থাকে কিছু অসাধু দালাল চক্র ও ওয়ার্ড বয়। ওয়ার্ড বয়গুলোর বেশিরভাগেরই ইউনিফর্ম থাকে না। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতালের ওয়ার্ড বয় ছাড়াও বহিরাগতরা ট্রলি দিয়ে রোগী নিয়ে যাচ্ছে। শুরুতে এরা রোগীদের জন্য নির্ধারিত ট্রলি বা হুইল চেয়ারে নিয়ে আসে। এরপর রোগী বুঝে প্রকাশ্যে যার কাছ থেকে যত টাকা নিতে পারে তার প্রতিযোগিতায় নামে। অথচ হাসপাতালে যারা ট্রলি বহন করে তাদের টাকা নেয়ার কোনো নিয়ম নেই। খোজ নিয়ে জানা যায়, এই ট্রলি ম্যান ও ওয়ার্ড বয়েদের সাথে বেসরকারি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের দালাল চক্রের খুব নিবিড় সম্পর্ক থাকে। এরা যখন রোগীদের ট্রলি করে নিয়ে যায় তখন তারা রোগীর স্বজনদের সাথে সখ্যতা গড়ে তোলে। এরপর সুযোগ বুঝে তাঁরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বিরুদ্ধে রোগীদের ভুল ভাল বুঝিয়ে বিভিন্ন ক্লিনিকে যেতে উদ্বুদ্ধ করে। এ প্রক্রিয়ায় এই চক্রটি হাতিয়ে নেয় মোটা অঙ্কের কমিশন। এই চক্রদের কোনভাবেই যেন থামানো যাচ্ছে না।

সূত্র মতে, সবচেয়ে বেশি তৎপর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু বিভাগের ২১১ ও ২১২ নং ওয়ার্ডের ওয়ার্ড বয় রাসেল ও সবুজ। এদের সাথে ঢাকা মেডিকেল কলেজ প্রাঙ্গণে থাকা অ্যাম্বুলেন্স এবং আশপাশের ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সখ্যতা রয়েছে। রাসেল ও সবুজ ওয়ার্ড বয় হয়েও এরা হাসপাতালের কোনো ইউনিফর্ম ব্যবহার করে না। রাসেল ও সবুজের সাথে কথা বলার চেষ্টা করা হলে হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার আবুল হোসেন বলেন, পরিচালকের অনুমতি ছাড়া কোনো মন্তব্য করতে পারবো না। পরে এই প্রতিবেদক হাসপাতালের ২১২ নম্বর ওয়ার্ডে সবুজের খোঁজ করলে ওয়ার্ডের কেউ সবুজের সাথে কথা বলিয়ে দিতে রাজি হননি।

এরপর এই প্রতিবেদক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজমূল হকের সাথে দেখা করে ২১১ ও ২১২ নম্বর ওয়ার্ডের ওয়ার্ড বয়দের নাম ও তালিকা জানতে চাইলে সহকারী পরিচালক আশরাফুন নাহারকে দেখিয়ে তার থেকে পরেরদিন নিতে বলেন। পরের দিন সহকারী পরিচালক বলেন, তালিকা নিতে হলে পরিচালক বরাবর দরখাস্ত দিতে হবে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হাসপাতালের কয়েকজন কর্মচারী বলেন, ঢাকা মেডিকেল থেকে রাজধানীর বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালের আইসিইউতে নিয়ে যায় দালাল চক্ররা। আর এ কাজে সহযোগিতা করছে হাসপাতালেরই কর্মচারীরা। রোগী ভাগিয়ে নেওয়ার কাজে হান্নান গ্রুপ, ইমরান হোসেন ইমন গ্রুপ, ট্যাক্সি কাসেম গ্রুপের নাম উল্লেখযোগ্য।

 

এছাড়া ২১১ নম্বর ওয়ার্ডের কর্মচারী নেতা মনির হোসেন আকন্দ ও মো. ইদ্রিস রাজধানীর বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালের এনআইসিইউতে রোগী পাঠিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেন। তারা দুজনেই ২১১ নম্বর ওয়ার্ডের সর্দার স্বপনের নেতৃত্বে কাজ করেন। জরুরি বিভাগের সরকারি কর্মচারী মজনুও একইভাবে রোগী ভাগিয়ে বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে পাঠান। অপরদিকে দেখা যায়, আটক হওয়া দালাল চক্ররা বের হয়ে প্রকাশ্যে আবারও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল প্রাঙ্গণে একই কাজ করছে। এদের যেন কোনো সাজা নেই। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কোনোমতে দায়সারা গেছের সাজা দিলেও তারা নিমিষেই বের হয়ে এসে আবারও এসব কাজে সক্রিয় হচ্ছে।

Sunny / Sunny

বিএসএমএমইউয়ে নতুন নামের ব্যানার, বাদ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব

মেডিকেলে থাকছে মুক্তিযোদ্ধা কোটা, যাচাই-বাছাই ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত

ডেঙ্গুতে একজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৫৭ রোগী

ডেঙ্গুতে ঢাকায় কর্মক্ষম মানুষের মৃত্যু বেশি

ডেঙ্গুতে আরও ৪ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ৮৮৮

বেসরকারি মেডিকেল শিক্ষায় অশনি সংকেত অটোমেশন; ক্ষুব্ধ অভিভাবকরা

ইডেন মাল্টি কেয়ার হাসপাতালের বিরুদ্ধে অপচিকিৎসার অভিযোগ

ক্যানসার রহস্যের জট খোলার নতুন ‘সূত্রের’ সন্ধান মিলেছে

বাংলাদেশ ডেন্টাল সোসাইটির ইসি গঠনে সাত সদস্য বিশিষ্ট সার্চ কমিটি

বিশ্ব হার্ট দিবস ২০২৪ উদযাপন করলো এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকা

আঘাতপ্রাপ্ত রেটিনায় চোখের চিকিৎসা ও সম্ভাবনা

২৭ দেশে ছড়িয়ে পড়েছে করোনার নতুন ভ্যারিয়্যান্ট

পদত্যাগ করলেন স্বাস্থ্য সংস্কার কমিটির সভাপতি এম এ ফয়েজ