রাদুগা ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড বাংলাদেশ আইপিএফ শিল্প মেলা-২০২৪ এ হৈচৈ ফেলেছে
২০২৪ এর আইপিএফ বাংলাদেশ শিল্প মেলাতে অংশ নিয়ে রাদুগা ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড ক্রেতা দর্শনার্থীদের চমৎকার সাড়া লাভ করেছে। ২৪-২৭ জানুয়ারী ঢাকার বসুন্ধরার আইসিসিবি এক্সপো জোনে অনুষ্ঠেয় ১৬তম বাংলাদেশ প্লাস্টিকস, প্রিন্টিং ও প্যাকেজিং (আইপিএফ) শিল্প প্রদর্শনীতে স্টল নেয় কোম্পানীটি। উল্লেখ্য, রাদুগা একটি রাশিয়ান শব্দ, যার অর্থ রংধনু। বিভিন্ন রঙের মাস্টারব্যাচ নিয়ে কাজ বিধায় নামটি যথার্থ হয়েছে।
২০২১ সালে শুভ সূচনা করলেও উৎপাদন সেবার উন্নত মানের কারণে তা অল্প সময়ে দেশের শীর্ষস্থানীয় রঙিন মাস্টারব্যাচ, ফিলার মাস্টারব্যাচ বা ক্যালসিয়াম কার্বনেট, ইউভি মাস্টারব্যাচ, পলিপ্লাস, এডিটিভস ও কম্পাউন্ডস এর উৎপাদনকারী এবং সরবরাহকারী হিসেবে সুনাম কুড়িয়েছে। শুধু কালার কোড জানালেই রাদুগা মাস্টারব্যাচ উৎপাদন করে দেয়, যা ব্যাগ প্রতি ২৫ কেজি হয়। আবার রিল মাস্টারব্যাচ যে কোন উপযোগী প্লাস্টিক পণ্য তৈরিতে কাজে লাগে।
রাদুগা'র কর্পোরেট অফিস- ফিরোজ টাওয়ার, ১৫২/৩বি, গ্রীণ রোড, পান্থপথ, ঢাকা। আর কারখানার অবস্থান- কালামপুর, কালিয়াকৈর, গাজীপুর। মেঘনা, এস আলম, সিটি, আকিজ, সেভেন রিংস সহ অনেক নামী প্রতিষ্ঠানে রাদুগার কাচামাল পৌছে যায়। রাদুগা, কালার উভেন ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড ও ব্যাগস এন্ড প্যাকস ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড মিলিয়ে চেয়ারম্যান- হাজী মো: নুরুদ্দীন, এম ডি- মো: মাহবুবুর রহমান, এবং ডাইরেক্টর হিসেবে আছেন- মো: মোস্তাফিজুর রহমান এবং মো: তৌহিদুজ্জামান।
উল্লেখ্য, ২০০৯ সালে প্রতিষ্ঠিত কালারউভেন ও ২০১৩ সালে স্থাপিত ব্যাগস এন্ড প্যাকস এর কারখানা টাংগাইলের মির্জাপুরে, যেটি ১ লাখ বর্গফুট ৷ সব মিলে প্রায় ৮০০ কর্মী এগুলোতে কাজ করে। এই দুই কোম্পানীর প্রস্তুতকৃত পণ্য যেমন এফআইবিসি ব্যাগ ও পিপি উভেন ব্যাগ (বিবিধ আকারের) সৌদি আরবের জেদ্দা, ভারত, চায়না, নেদারল্যান্ড, পোল্যান্ড, জাপান, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, জার্মানী এবং আফ্রিকা মহাদেশে রপ্তানী হয়। ব্যাগ সমূহ বিশেষ ধরণের লেমিনেশন, অতিবেগুণী রশ্মি প্রতিরোধী প্রযুক্তি এবং দীর্ঘ স্থায়িত্ব সমন্বয়ে তৈরি। দামে সাশ্রয়ী এবং মানে অত্যন্ত ভালো ব্যাগগুলো সাধারণত ১২০-২৫০ জিএসএম হয়, যা যে কোন শিল্প কারখানায় ব্যবহার যোগ্য; আবার তা আইএসও: ৯০০১ সনদধারী ৷
২ টি প্রশ্নের জবাবে মেলার শেষ দিন স্টলে উপস্থিত কোম্পানীর ডাইরেক্টর মো: তৌহিদুজ্জামান বলেন- "প্লাস্টিকের বিকল্প তৈরি হয়নি এখনো। সারা দুনিয়ায় এর ব্যবহার বেড়েই চলেছে। আমাদের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা শক্তিশালী করলে প্লাস্টিকের অপব্যবহার দূর করা সম্ভব। আমদানী বন্ধ করে, রপ্তানী নির্ভর প্লাস্টিক শিল্পের সম্ভাবনা দেখি। এজন্য সরকারের প্রত্যক্ষ সহায়তা কামনা করি।
এমএসএম / এমএসএম