২২টি কেমোথেরাপি নিয়ে সিনেমা বানাচ্ছেন রাসেল
স্বপ্নকে পুঁজি করে শরীরে ২২টি কেমোথেরাপি নিয়ে জীবনের প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘একাত্তর: করতলে ছিন্নমাথা’ নির্মাণ করছেন ক্যানসারে আক্রান্ত নির্মাতা রফিকুল আনোয়ার রাসেল। কোনো কোনো দিন টানা ১৮ ঘণ্টাও কাজ করেছেন প্রামাণ্যচিত্র নিয়ে স্বপ্নের অলিগলি ধরে ছুটছেন রাসেল। ঢাকা থেকে কক্সবাজার, কক্সবাজার থেকে ঢাকা। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে এক রোহিঙ্গা ম্যান্ডোলিন বাদককে নিয়ে প্রামান্যচিত্র ‘আ ম্যান্ডোলিন ইন এক্সাইল’ নির্মাণ করছিলেন তিনি। শুটিংয়ে আসা–যাওয়ার মধ্যে হঠাৎ রাসেলের শরীর বিদ্রোহ করে। ভেবেছিলেন, ৪০ পেরিয়েছেন; ডায়াবেটিস বাঁধতে পারে।
শুটিং থেকে ফিরে ১২ ডিসেম্বর চট্টগ্রামের এক চিকিৎসকের শরণ নেন। প্রয়োজনীয় পরীক্ষা–নিরীক্ষার পর চিকিৎসক প্রাথমিকভাবে ধারণা করলেন, তিনি ফলিকিউলার লিম্ফোমাতে আক্রান্ত হয়েছে; এটি রক্তের একধরনের ক্যানসার।২০২০ সালের জানুয়ারিতে ভারতের চেন্নাইয়ের অ্যাপোলো ক্যানসার হাসপাতালে গেলেন। প্রয়োজনীয় পরীক্ষা–নিরীক্ষার পর চিকিৎসকেরা নিশ্চিত করেন, নন-হজকিন ফলিকিউলার লিম্ফোমাতেই আক্রান্ত হয়েছেন রাসেল। ছয়টি কেমোথেরাপি দেওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা; এরপর মেইনটেন্যান্স কেমোথেরাপি দিতে হবে।
তবে তখন রাসেলের কাছে যথেষ্ট অর্থ ছিল না। তাঁর ভাষ্যে, ‘কেমোথেরাপির জন্য অনেক টাকার দরকার ছিল, আমি মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে। তখন আমার কোনো চাকরি ছিল না, ফলে সব কেমোথেরাপি না নিয়েই ফিরে আসতে হয়েছে।’চারটি কেমোথেরাপি নেওয়ার পর চেন্নাইয়ে যাওয়ার কথা ছিল। তবে লকডাউনের মধ্যে আর যেতে পারেননি; দেশেই চিকিৎসা নিতে থাকেন। তত দিনে কেমোথেরাপির প্রভাবে চুল, ভ্রু ঝরে পড়তে থাকে।চেন্নাইয়ের প্রখ্যাত অনকোলজিস্ট টি. রাজার তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা চলছিল তাঁর।
চট্টগ্রামে ফিরে অধ্যাপক সাজ্জাদ মোহাম্মদ ইউসুফের তত্ত্বাবধানে কেমোথেরাপি নিতে থাকেন। চারটি কেমোথেরাপি নেওয়ার পর চেন্নাইয়ে যাওয়ার কথা ছিল। তবে লকডাউনের মধ্যে আর যেতে পারেননি; দেশেই চিকিৎসা নিতে থাকেন। তত দিনে কেমোথেরাপির প্রভাবে চুল, ভ্রু ঝরে পড়তে থাকে।‘আমি আর ফিরতে পারব কি না—তা নিয়ে নিজেও হতাশায় ছিলাম। ‘আ ম্যান্ডোলিন ইন এক্সাইল’ প্রামাণ্যচিত্রের শুটিং ২০১৯ সালের ডিসেম্বরেই শেষ হওয়ার কথা ছিল। জানুয়ারিতে এডিট করে মার্চের ভেতরে জমা দিতে চেয়েছিলাম।’
প্রামাণ্যচিত্রটি প্রযোজনা করেছেন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর। তখনো ‘আ ম্যান্ডোলিন ইন এক্সাইল’-এর সম্পাদনার কাজ বাকি। জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক ফোন করে রাসেলকে বললেন, ‘চাপ নিও না। যদি পারো একটা ভার্সন আমাদের দাও, আমরা ফেস্টিভালে দেখাব।’ ক্যানসারের সঙ্গে লড়বেন নাকি স্বপ্নের পথে হাঁটবেন? কঠিন সিদ্ধান্ত নিলেন এই নির্মাতা; রোগের সঙ্গে লড়াইও করবেন, সিনেমাও করবেন।
তত দিনে রাসেলের দুনিয়া ছোট হয়ে এসেছে; চট্টগ্রামের বিশ বাই দশ ফিটের চার দেওয়ালে বন্দী জীবন কাটতে থাকে থাকে। করোনাভাইরাসের মধ্যে বাইরে বের হতে পারেননি, বাইরের কেউ ঘরে আসতেও মানা। রাসেলের ভাষ্যে, ‘আমার কাছে তখন একটু খারাপ লাগল। চিন্তা করলাম, দেখি কী হয়। আমার বন্ধু হিমুর এডিটিং প্যানেল ছিল, ওর প্যানেল আমার বিছানার পাশে সেটআপ করে দিল। কেমোথেরাপির কারণে তখন আমার সারারাত ঘুম হতো না। দেখা যেত, রাত সাড়ে ৯টায় বসে সকাল ৭টা পর্যন্ত ছবিটা এডিট করছি। কাজের মধ্যে নিজের মনোবল চাঙা হচ্ছিল। টানা ১৭ দিনে পুরো ছবির এডিট শেষ করেছি।’
কেমোথেরাপির কারণে তখন আমার সারারাত ঘুম হতো না। দেখা যেত, রাত সাড়ে ৯টায় বসে সকাল ৭টা পর্যন্ত ছবিটা এডিট করছি। কাজের মধ্যে নিজের মনোবল চাঙা হচ্ছিল। টানা ১৭ দিনে পুরো ছবির এডিট শেষ করেছি।প্রামাণ্যচিত্রের চিত্রনাট্য নিজেই লিখেছেন নির্মাতা রাসেল, নিজের জীবনের চিত্রনাট্যে কী আছে—তা তাঁর জানা নেই। তবে নিজের সবটুকু দিয়ে কাজটা করে যেতে চান রাসেল।
‘তখন ভাবছিলাম, সবকিছু শেষ হয়ে যায়নি, আমি কাজ করতে পারছি। এডিট নিয়ে আমার খুব একটা ধারণা ছিল না। ঘরবন্দী অবস্থায় নতুন করে সবকিছু শুরু করলাম। ছবিটা এডিট করে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে জমা দেওয়ার পর অনেকে প্রশংসা করেছে।’২০২০ সালের ২৭ আগস্ট অনলাইনে সিনেমাটির ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার করেছে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর। ছবিটি বিশ্বের বেশ কয়েকটি উৎসবেও প্রশংসা পেয়েছে। ছবিটি মুক্তির পর অনুপ্রাণিত হয়েছেন, দুনিয়াটাও বড় হয়েছে, ‘তখন আমি বুঝলাম, আমি ফিরতে পারব। আস্তে আস্তে আরও কাজ করার চিন্তাভাবনা করলাম। এর মধ্যে জুনের পর মেইনটেইন্যান্স কেমোথেরাপি শুরু হয়েছে, তিন মাস পরপর কেমো দিতে হয়।’
ক্যানসারের কথা শুনে অনেকেই পিছিয়ে যেতেন। কাজ শেষ করতে পারব কি না—এই আশঙ্কায় কাজ দিতে চাননি অনেকে। বাধ্য হয়ে একসময় অসুস্থতার কথা চেপে যেতে থাকেন রাসেল। বিভিন্ন জায়গার সিনেমার প্রকল্প জমা দিতে থাকেন, পাশাপাশি চিত্রনাট্যও লিখতে থাকেন। ধীরে ধীরে পরিস্থিতি বদলাতে থাকে, আবারও কাজ পেতে শুরু করেন।পরিবার, বন্ধু ও সহকর্মীদের সহযোগিতায় চিকিৎসার খরচ সামলিয়েছেন রাসেল। তবে কাজে ফেরার পথটা বন্ধুর হয়ে উঠে। কেন?—এই নির্মাতা জানালেন, ক্যানসারের কথা শুনে অনেকেই পিছিয়ে যেতেন। কাজ শেষ করতে পারব কি না—এই আশঙ্কায় কাজ দিতে চাননি অনেকে। বাধ্য হয়ে একসময় অসুস্থতার কথা চেপে যেতে থাকেন রাসেল।
বিভিন্ন জায়গার সিনেমার প্রকল্প জমা দিতে থাকেন, পাশাপাশি চিত্রনাট্যও লিখতে থাকেন। ধীরে ধীরে পরিস্থিতি বদলাতে থাকে, আবারও কাজ পেতে শুরু করেন।‘আমি যেহেতু ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছি, কত দিন কাজ করতে পারব—তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলাম। ভাবলাম, মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে একটা সিনেমা করব।’ বলছিলেন, নির্মাতা রাসেল।রাসেলের স্বপ্নটা আরও বড়, পূর্ণদৈর্ঘ্য। কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হকের স্মৃতিচারণামূলক বই ‘একাত্তর: করতলে ছিন্নমাথা’ নিয়ে জীবনের প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণের পরিকল্পনা করেন। হাসান আজিজুল হকের কাছ থেকে অনুমতিও নেন। ক্যানসারের সঙ্গে লড়াইয়ের মধ্যেই ২০২১ সালের নভেম্বরে সিনেমার চিত্রনাট্য লেখা শেষ করেন। ২০২১-২২ অর্থবছরের সরকারি অনুদানের জন্য ২৭ নভেম্বর চিত্রনাট্য জমা দেন।
‘তখনো আমার ভ্রমণে বিধিনিষেধ ছিল, চট্টগ্রামের বাইরে যেতে পারতাম না। আমি কাউকে না জানিয়ে সেদিন সকালের ট্রেনে ঢাকায় এসে চিত্রনাট্য জমা দিয়ে বিকেলের ট্রেনে চট্টগ্রামে ফিরে গেছি। আগেও অনুদানের জন্য ছবি জমা দিয়েছি, হয়নি। ফলে এবার হবে এ নিয়ে খুব একটা আশা ছিল না।’২০২২ সালের জুনে ‘একাত্তর: করতলে ছিন্নমাথা’ সিনেমাটিকে অনুদান দেয় সরকার। তবে আনন্দটা বেশিক্ষণ থিতু হয়নি, সঙ্গে আরেকটা বিষাদের খবরও পেলেন এই নির্মাতা। তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটতে থাকে, অস্ত্রোপচার করতে হয়। ক্যানসার আবারও জোরালোভাবে ফিরতে শুরু করেছে। সিনেমাটি আটকে যেতে থাকে। তত দিনে ১৬টি কেমোথেরাপি দিয়েছেন, আরও ছয়টি কেমোথেরাপি দিতে হবে। ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে ৪টি কেমোথেরাপি শেষে চেন্নাই গেলেন।
রাসেল বলছেন, ‘তখনো আমি নিশ্চিত ছিলাম না, সিনেমাটা করতে পারব কি না। আমার অবস্থা খারাপ হতে থাকে। আমি একবার ভেবেছিলাম, অনুদান ফেরত দেব। চিকিৎসককে জিজ্ঞাসা করলাম, আমি শুটিং করতে পারব? চিকিৎসক বললেন, ছয়টা কেমোথেরাপি নেওয়ার পর পারবেন।’তখনো আমি নিশ্চিত ছিলাম না, সিনেমাটা করতে পারব কি না। আমার অবস্থা খারাপ হতে থাকে। আমি একবার ভেবেছিলাম, অনুদান ফেরত দেব।সব মিলিয়ে ২২টি কেমোথেরাপি নেওয়ার পর মার্চের দিকে সিনেমার কাজ শুরু করেন। এটি প্রামাণ্যচিত্র নয়, পূর্ণদৈর্ঘ্য সিনেমা।
ধকলটাও বেশি। প্রধান সহকারী পরিচালক, চিত্রগ্রাহক, শিল্পী জোগাড় করা খাটনির কাজ। ঢাকায় এসে কাজগুলো ধীরে ধীরে এগিয়ে নিতে থাকেন। একাত্তর পরবর্তী একটি পরিবারের গল্পে নির্মিতব্য সিনেমার মূল চরিত্রে যুক্ত হন আসাদুজ্জামান নূর, সঙ্গে ইমতিয়াজ বর্ষণ, নাজিয়া হক অর্ষাসহ আরও অনেকে রয়েছেন।২০২৩ সালের ১১ সেপ্টেম্বর সিনেমার দৃশ্যধারণ শুরু করেন রাসেল। কোনো কোনো দিন টানা ১৮ ঘণ্টাও কাজ করেছেন। গত বছরের ৩১ অক্টোবরের মধ্যে ১৫ দিনে সিনেমার ৮০ ভাগ কাজ শেষ করেছেন। এই বছর মার্চের মধ্যে সিনেমার শুটিং শেষ করতে চান রাসেল। জীবনের প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য সিনেমাটি এই বছর দর্শকের সামনে নিয়ে আসতে চান।
ছবির কাজটা শুরুর পর দেখলাম, ক্যানসার ভুলে গেছি। আমি ওভারকাম করতে শুরু করেছি। যতক্ষণ আমি কাজের মধ্যে থাকি ততক্ষণ আমি ভুলে থাকি।
আজন্ম নির্মাতাই হতে চেয়েছেন রাসেল। নির্মাণের মন দিতে চাকরি–বাকরিও ছেড়েছেন। তাঁর ভাষ্যে, ‘সিনেমা নির্মাণ বাদে আমার সামনে কোনো অপশন নেই। নির্মাণ না করলে আমার কোনো অস্তিত্ব নেই। সেই জায়গা থেকে চাকরি-বাকরি ছেড়ে সিনেমা নির্মাণে এলাম। এর মধ্যে ক্যানসার হওয়ার পর ভেবেছি, আমি হয়তো শুটিংয়ে যেতে পারব না।’
তাঁকে অক্টোপাসের মতো বিষণ্নতা আঁকড়ে ধরেছিল। তিনি বলেন, ‘ইরফান খান মারা যাওয়ার খবরে বাচ্চা ছেলের মতো কান্না করছি। অনেকেই ক্যানসারে মারা যাচ্ছে, এটা শুনলে খুব খারাপ লাগত। চিকিৎসক আমাকে বলেছিলেন, আপনি কখনো মানসিক চাপ নেবেন না, বিষণ্ন থাকবেন না। কমেডি দেখবেন, হাসবেন। কিন্তু কতক্ষণ এটা থাকে?’বিষণ্নতাকে কীভাবে জয় করলেন?—এমন প্রশ্নের জবাবে এই নির্মাতা জানান, ‘আ ম্যান্ডোলিন ইন এক্সাইল’ প্রামাণ্যচিত্রের সম্পাদনা করতে গিয়ে আবিষ্কার করেছি, ছবিতে ডুবে থাকলে আমাকে আর বিষণ্নতা আক্রান্ত করতে পারছে না।রাসেল বলছেন, ‘ছবির কাজটা শুরুর পর দেখলাম, ক্যানসার ভুলে গেছি।
আমি ওভারকাম করতে শুরু করেছি। যতক্ষণ আমি কাজের মধ্যে থাকি ততক্ষণ আমি ভুলে থাকি সিনেমাই অনুপ্রাণিত করেছেন নির্মাতা রাসেলকে। তিনি বলেন, ‘আমি সিনেমায় বেঁচে আছি। সিনেমা ইজ মাই লাইফ। যতক্ষণ সিনেমা আছে, আমি শারীরিকভাবে বেঁচে আছি। আমি ২৪ ঘণ্টা সিনেমার মধ্যেই থাকি। স্বপ্নের সবটুকুজুড়েই সিনেমা রয়েছে। আমি ঘুম থেকে উপার থেকে ঘুমাতে যাওয়ার আগপর্যন্ত সিনেমার সঙ্গে থাকি। সিনেমায় এখন পর্যন্ত আমাকে টিকিয়ে রেখেছে।’
রাসেলের প্রিয় চলচ্চিত্রকার আন্দ্রেই তারকোভস্কিও ক্যানসারে মারা গেছেন। আন্দ্রেই তারকোভস্কির লেখা ও সিনেমাও অনুপ্রাণিত করেছে এই নির্মাতাকে। তিনি বলেন, ‘চেন্নাইয়ের চিকিৎসার সময় ভাবতাম, অনেক গল্প বলার বাকি, আমাকে ফিরতেই হবে; কাজ করতে হবে। যদিও আমার সিনেমাতে তাঁর (আন্দ্রেই তারকোভস্কি) কোনো ছাপ নেই, কিন্তু আমি তাঁর ভাবনা আর দর্শনকে শ্রদ্ধা করি। তাঁর লেখা আর সিনেমা আমাকে অনুপ্রাণিত করে, বাঁচিয়ে রাখে।’
সিনেমার বাইরে চিকিৎসক, মা, ভাইবোনসহ পরিবারের সব সদস্যরাও তাঁকে অনুপ্রাণিত করেছে।আমি সিনেমায় বেঁচে আছি। সিনেমা ইজ মাই লাইফ। যতক্ষণ সিনেমা আছে, আমি শারীরিকভাবে বেঁচে আছি। আমি ২৪ ঘণ্টা সিনেমার মধ্যেই থাকি। স্বপ্নের সবটুকুজুড়েই সিনেমা রয়েছে। সিনেমা এখন পর্যন্ত আমাকে টিকিয়ে রেখেছে।ক্যানসারকে সঙ্গী করে ‘একাত্তর: করতলে ছিন্নমাথা’ ছাড়াও শিল্পী জয়দেব রোয়াজাকে নিয়ে ‘সার্চিং রুটস: অ্যান আর্টিস্ট’স টেল’ নামে আরেকটি প্রমাণ্যচিত্রের কাজ করছেন। গত শনিবার কাপ্তাইয়ে এটির দৃশ্যধারণ করছেন নির্মাতা রাসেল। এর বাইরে ‘স্বপ্নচারী’ ও ‘স্বপ্ন কত দূরে’ ফিকশনের চিত্রনাট্য করছেন।
২০০৮ সালে ‘হ্যাইজাক’ নামে একটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র দিয়ে নির্মাণে অভিষেক ঘটে চট্টগ্রামের এই নির্মাতার। পরে ‘দ্য অ্যাডভেঞ্চারার’ নামে আরেকটি স্বল্পদৈর্ঘ্য নির্মাণ করেছেন। ২০০৩ সালে চলচ্চিত্রকার তারেক মাসুদের ‘অন্তর্যাত্রা’ সিনেমার পেছনে কাজ করেন।রাসেলের জন্ম ও বেড়ে উঠা ও পড়াশোনা চট্টগ্রামে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন নির্মাতা রাসেল। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় চলচ্চিত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন।
Israt / Israt
‘হাল ছেড়ে দেওয়া সহজ কিন্তু আমি থেমে যাইনি’
আমার রূহ ভারতে আর আমি আমেরিকায়
শুটিং সেটে আহত শ্রদ্ধা কাপুর
‘হাল ছেড়ে দেওয়া সহজ কিন্তু আমি থেমে যাইনি’
সুখবর দিলেন সোনম কাপুর
‘অপমানিত’ ফাতিমার মাথায়ই উঠল মিস ইউনিভার্সের মুকুট
মোয়ানার টিজারে নজর কাড়লেন ক্যাথরিন
আমার বয়স বেশি না, তবুও এমন কেন হয়?
প্রতারণার শিকার অভিনেত্রী শ্রিয়া
মিস ইউনিভার্সে জামদানিতে মিথিলা
হাঁটুর বয়সী নায়িকার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ দৃশ্য, যা বললেন রণবীর
নিজের জন্য ভোট চাইলেন জেসিয়া ইসলাম