রোজায় ওষুধ ও খাবার গ্রহণে সতকর্তা

চলে এসেছে রোজার মাস। আমরা আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য নিয়মিত রোজাও রাখছি। সুষম খাবার নিশ্চতি করার পাশাপাশি যারা নিয়মিত ওষুধ সেবন করেন তাদের নিতে হয় বাড়তি সতর্কতা। কিন্তু কিভাবে খেতে হবে ওষুধ। আজকের আলোচনা সেটা নিয়েই-
প্রথমেই আসে ডায়াবেটিসের কথা। রোজা শুরুর আগেই ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের উচিত ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে ওষুধের ডোজ সমন্বয় করে নেয়া।কেননা অন্য সময়ের তুলনায় এ সময় মুখে খাওয়ার ওষুধ বা ইনসুলিনের ডোজ কিছুটা কমিয়ে আনতে হয়।সকালের ওষুধ ইফতারে আর রাতের ওষুধ সেহরিতে খেতে বলা হয়, ইনসুলিনের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম। কিছু ইনসুলিন আছে যেগুলো দীর্ঘমেয়াদে কাজ করে,রক্তে শুগারের পরিমাণ কমে যাবার ভয় কম থাকে এমন ইনসুলিন ডাক্তারের পরামর্শে নেয়া যেতে পারে।
হৃদরোগের রোগীদের ক্ষেত্রে:
ঝুঁকিপূর্ণ বা জটিল হৃদরোগী ছাড়া অন্য হৃদরোগীদের জন্য রোজা বেশ উপকারি। নিয়ম মেনে খেলে এর সাথে রক্তচাপও নিয়ন্ত্রণে থাকে। ৫০ এর বেশি বয়স্ক রোগী যারা দূর্বল,দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকলে আরো বেশি অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে তাদের রোজা না থাকাই ভালো। একই সাথে হার্ট ফেইলরের রোগীদেরও রোজা না থাকা উচিত। যে কোন হৃদরোগী যার অবস্থা জটিল নয় কিন্তু হঠাৎ যদি বুকে ব্যথা বা বেশি খারাপ অনুভব করেন তাহলে দ্রুত রোজা ভেংগে ওষুধ খেয়ে নিতে হবে।
কিডনি রোগীদের ক্ষেত্রে:
কিডনির রোগ থাকলেই যে রোজা রাখা যাবে না - তা ঠিক না।কিডনিতে সমস্যা থাকুক বা না থাকুক প্রত্যেকেরই রোজার সময় পর্যাপ্ত পানিপান নিশ্চিত করতে হবে; আকস্মিক কিডনি রোগে আক্রান্ত, রেনাল ফেইলরের শেষ স্টেজ, ডায়ালাইসিস রোগীদের রোজা না রাখাই ভালো।
আ্যজমা বা শ্বাসকষ্ট রোগীদের ক্ষেত্রে:
এ ধরণের রোগীদের প্রশ্ন হচ্ছে ইনহেলার নিতে পারবে কিনা।
সঠিক নিয়মে ইনহেলার নিলে রোজা ভাংগার ভয় নেই কারণ ওষুধ সরাসরি রক্তে মিশে গেলে রোজা ভেংগে যায়,কিন্তু ইনহেলারের ক্ষেত্রে তা হবার সুযোগ নেই।
গর্ভাবস্থায় করণীয়:
গর্ভকালীন প্রথম তিন মাস এবং শেষ তিন মাস রোজা না রাখাই উত্তম। মাঝের তিন মাসে মা যদি সুস্থ অনুভব করেন এবং তেমন কোন জটিলতা না থাকে তাহলে রোজা রাখতে পারেন। তবে ইফতার,সেহরি এবং অন্যান্য খাবারে পর্যাপ্ত পুষ্টি,ভিটামিন,ক্যালসিয়াম,খনিজ গ্রহণ,পানি পান নিশ্চিত করতে হবে।
কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে:
খাবারে আঁশের পরিমাণ কম থাকা এবং পানি কম খাওয়ার কারনে অনেকেরই কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দেখা দেয়। এর প্রতিরোধে ইফতারিরে বেশি করে ফলমূল,রাতের ও সেহরিতে শাক-সবজি,সহজপাচ্য খাবার থাকতে হবে।এ ছাড়া ইসবগুলের ভুসি,লাল আটা ও ঢেঁকি ছাটা চালের ভাত খেতে পারলে ভালো। সমস্যা বেশি হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ খাওয়া যেতে পারে।
সর্বোপরি একটু সচেতন হয়ে উপরের নিয়মগুলো মেনে চললে আমরা সুস্থ শরীরে রমজানের ইবাদত করতে পারবো।
লেখকঃ ডা. মো. রাশীদ মুজাহিদ
এম.বি.বি.এস.
ফ্যামিলি মেডিসিন চিকিৎসক,
সেন্টার ফর ক্লিনিকাল এক্সিলেন্স এন্ড রিসার্চ,ঢাকা
এমএসএম / এমএসএম

বিএসএমএমইউয়ে নতুন নামের ব্যানার, বাদ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব

মেডিকেলে থাকছে মুক্তিযোদ্ধা কোটা, যাচাই-বাছাই ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত

ডেঙ্গুতে একজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৫৭ রোগী

ডেঙ্গুতে ঢাকায় কর্মক্ষম মানুষের মৃত্যু বেশি

ডেঙ্গুতে আরও ৪ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ৮৮৮

বেসরকারি মেডিকেল শিক্ষায় অশনি সংকেত অটোমেশন; ক্ষুব্ধ অভিভাবকরা

ইডেন মাল্টি কেয়ার হাসপাতালের বিরুদ্ধে অপচিকিৎসার অভিযোগ

ক্যানসার রহস্যের জট খোলার নতুন ‘সূত্রের’ সন্ধান মিলেছে

বাংলাদেশ ডেন্টাল সোসাইটির ইসি গঠনে সাত সদস্য বিশিষ্ট সার্চ কমিটি

বিশ্ব হার্ট দিবস ২০২৪ উদযাপন করলো এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকা

আঘাতপ্রাপ্ত রেটিনায় চোখের চিকিৎসা ও সম্ভাবনা

২৭ দেশে ছড়িয়ে পড়েছে করোনার নতুন ভ্যারিয়্যান্ট
