ইবিথানায় গরুচোর সিন্ডিকেটের ৬ জন আটক
ইবিথানার তদন্ত অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ তারেকের নেতৃত্বে ৬ জন গরু চোর চক্রের সক্রিয় সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার (০৫ এপ্রিল) কুষ্টিয়া সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে চোর চক্রের এসব সক্রিয় সদস্যদের আটক করা হয়। মামলার তথ্য সূত্রে জানা যায়,ধৃত আসামিরা দীর্ঘদিন যাবত ইবি থানার বিভিন্ন এলাকায় গরু চুরি করে আসছে। ধৃত চোর সিন্ডিকেটের আসামীরা হলেন,(১) কুষ্টিয়ার ইবি থানার কন্দর্পদিয়ার গ্রামের বাবর আলীর ছেলে রুবেল রানা(২৭),(২)ঝাউদিয়া গ্রামের মোনাই মালিথার ছেলে মিঠুন মালিথা(২৪),(৩)কন্দর্পদিয়া গ্রামের ফজলুর রহমানের ছেলে মোঃ রিয়াজুদ্দিন(২২),(৪)একই গ্রামের আঃ রাজ্জাক আলীর ছেলে সোহেল রানা(১৯),(৫) ঝিনাইদহের কালিশংকরপুর গ্রামের মৃত জহিরুল ইসলামের ছেলে মোঃ মহসীন(২৪),(৬) ইবিথানার অন্তর্গত রাধানগর গ্রামের মৃত বিশারত মন্ডলের ছেলে মাছেম আলী মাসুম(৩০)।আসামীদের বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।পুলিশ প্রতিবেদন জানানো হয়, অত্র মামলার বাদী মোহাম্মদ রেজাউল শেখ (৫০) তিনি পেশায় একজন কৃষক। পাশাপাশি তার বসত বাড়ির পাশে গোয়াল ঘরে ০২ টি গরু পালন করেন। বাদী তার বসত বাড়ির গোয়াল ঘর মেরামত করার কারণে ৩১ মার্চ বিকাল সাড়ে ০৪ টায় এজাহারে উল্লেখিত গরু ০২ টি বাদী তার আত্মীয় সুলতান মোল্লা (৫০) এর বাড়িতে রাখলে ০২ এপ্রিল রাত অনুমান সাড়ে ১০ টা হতে ০৩ এপ্রিল রাত ৪ ঘটিকার মধ্যে চোরেরা বাদীর আত্মীয় সুলতান মোল্লার বসত বাড়ির গোয়াল ঘর হতে গরু ০২ টি চুরি করে নিয়ে যায়।এজাহার প্রাপ্তির পর তদন্ত কালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে, তদন্তে প্রাপ্ত গ্রেফতারকৃত ২ নং আসামী মিঠুন মালিথাকে কন্দর্পদিয়া এলাকা থেকে সাড়ে ৯ টার সময় গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত ২ নং আসামী মিঠুন মালিখা এজাহারে উল্লেখিত গরু ০২ টি সে সহ আরো ৫/৬ জন মিলে একটি ট্রাকে করে বাদীর আত্মীয় সুলতান মোল্লার বসত বাড়ির গোয়াল ঘর থেকে চুরি করে।প্রাথমিক তদন্তে আসামীগণ আন্তঃজেলা গরু চোর দলের সক্রিয় সদস্য বলে প্রতিয়মান হয়।ইবিথানার এসআই (নি)মোঃ রাসেল মিয়া জানান,পেনাল কোডঃ১৮৬০, এফআইআরঃ৩,জিআরঃ৪৭ এবং ৩৮০ ধারামতে গ্রেফতারকৃত আসামীদেরকে বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো হয়েছে।এ বিষয়ে ইবি থানার তদন্ত অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ তারেক বলেন, ইবিথানা থেকে আমার নেতৃত্বে, সাব ইন্সপেক্টর মোঃ রাসেল মিয়া, সাব ইন্সপেক্টর আব্দুল খালেক ও সাব ইন্সপেক্টর মোঃ ইউসুফের নেতৃত্বে আমরা অভিযান পরিচালনা করে সকলের সহযোগিতায় সক্রিয় চোর সদস্যদেরকে আটক করেছি। আটককৃত চোর সদস্যদের বিরুদ্ধে এর আগে বিভিন্ন থানায় মামলা ও ওয়ারেন্ট রয়েছে।ঈদকে সামনে রেখে প্রতিদিন বিকালে, রাতে, ভোররাতে নিয়মিত স্পেশাল অভিযান পরিচালিত হচ্ছে বলেও তিনি দৈনিক সকালের সময়কে জানান।
এমএসএম / এমএসএম