তীব্র গরমে স্বাস্থ্য ঝুঁকি মোকাবেলায় করণীয়
তীব্র তাপদাহে পুড়ছে দেশ। রাজধানীসহ সারাদেশে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে গরমের তীব্রতা। এতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন।
রোদ এবং গরমের তীব্রতার সঙ্গে বাড়ছে মানুষের বিভিন্ন রোগ এবং স্বাস্থ্য ঝুঁকি। প্রচণ্ড গরমে যেসব অসুখ দেখা তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ডায়রিয়া, পেটের পীড়া, জ্বর-ঠাণ্ডা-কাশি, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট, পানিশূন্যতা ও হিটস্ট্রোক। তীব্র গরমের কারণে সব থেকে বেশি ঝুঁকিতে থাকেন অসুস্থ, বয়স্ক ও শিশুরা। তীব্র গরমে কি কি সমস্যা হতে পারে এবং করণীয় কি তা নিম্নরূপ:
১। পানিশূন্যতা : এই গরমে সব থেকে বেশি যে সমস্যা হয় সেটা হলো পানিশূন্যতা। তীব্র গরমে শরীর থেকে অতিরিক্ত পানি বের হয়ে যায়, সেই সঙ্গে বাতাসের আদ্রতা কম থাকার কারণে শরীর দ্রুত পানিশূন্য হয়ে পড়ে। ফলে দেখা দেয় পানিশূন্যতা। এই গরমে পানিশূন্যতা থেকে রক্ষা পেতে প্রয়োজনীয় পানি বা তরল খাবার খেতে হবে, সেই সাথে বাইরে গেলে অবশ্যই ছাতা এবং পানির বোতল সঙ্গে রাখতে হবে। যতটা সম্ভব বাইরের পানীয় এবং খাবার পরিহার করতে হবে।
২। মানসিক স্বাস্থ্যের ঝুঁকি : তীব্র গরমে অনেকের শারীরিক সমস্যার পাশাপাশি মানসিক সমস্যা দেখা দেয়। প্রচণ্ড গরমে মানুষের মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায় যেটা তীব্র মানসিক স্বাস্থ্য সংকটের সম্মুখীন করে। গরমে শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকতে প্রয়োজনীয় ঘুম দরকার। অতিরিক্ত মানসিক চাপ ও উদ্বেগ নেয়া যাবেনা। বেশি বেশি পানি বা পানিজাতীয় খাবার খেতে হবে।
৩। হিটস্ট্রোক : সাধারণত অতিরিক্ত রোদে থাকার কারণে হিটস্ট্রোক হয়ে থাকে। হিটস্ট্রোক হলে শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায়। এমনকি তাপমাত্রা বেড়ে ১০৪ ডিগ্রি বা তার বেশি হতে পারে সেই সঙ্গে শরীর পানিশূন্য হয়ে যায়। বয়স্কব্যক্তি, শিশু, যারা কায়িক শ্রম করেন, হৃদরোগী এবং ফুসফুসের রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি, ক্রীড়াদিবদের সাধারণত হিটস্ট্রোকের ঝুকি বেশি থাকে। হিটস্ট্রোকের লক্ষণগুলো জেনে নেওয়া ভালো :
- শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়া
- দ্রুত হ্রদস্পন্দন এবং দ্রুত শ্বাস-প্রশ্বাস
- বিভ্রান্তি এমনকি খিচুনিও হতে পারে, এলোমেলো আচরণ
- তীব্র মাথা ব্যথা, বমি বমি ভাব
- মাংসপেশী ক্রাম্প বা দুর্বলতা
- ত্বকে ফুসকুড়ি, অতিরিক্ত ঘাম/ ঘাম না হওয়া
- অবচেতন হয়ে যাওয়া।
করণীয় :
- দ্রুত অপেক্ষাকৃত ঠাণ্ডা জায়গাতে আক্রান্ত ব্যক্তিকে সরিয়ে নিতে হবে
- চোখে, মুখে এবং ঘাড়ে পানি দিতে হবে তবে গোসল করানো গেলে ভাল হয়
- প্রচুর পরিমাণ পানি পান করাতে হবে
- ফ্যান/ এসির নিচে রাখলে ভালো হয়
- অবস্থার উন্নতি না হলে সময় নষ্ট না করে হাসপাতালে নিতে হবে।
৪। চর্মরোগ : অতিরিক্ত গরমে যাদের ঘাম বেশি হয় তাদের শরীরে চর্মরোগ দেখা দেয়া, যেমন- ঘামাচি/ ছত্রাক সংক্রমণ। অনেকেই ঘামাচি হলে সেখানে চুলকায় এবং সংক্রমণের সৃষ্টি হয়। ঘামাচি থেকে রক্ষা পেতে ঘামে ভেজা জামাকাপড় পরেরদিন না ধুয়ে পরা উচিৎ না।
৫। ডায়রিয়া/বদহজম : অতিরিক্ত গরমে অনেকের হজমে সমস্যা দেখা দেয়। গরমে খাবার অনেক সময় নষ্ট হয়ে যায় যেটা খেলে ফুডপয়জনিং বা বিষক্রিয়া হতে পারে। তাই পচা-বাসি খাবার, রাস্তাঘাটের খোলা খাবার, লেবুর শরবৎ, আখের রস এসব না খাওয়াই ভালো এবং ফ্রিজের খাবার খাওয়ার আগে
অবশ্যই ভালো করে গরম করে নিতে হবে। ডায়রিয়া হলে প্রচুর পরিমাণ পানি, স্যালাইন ও ডাবের পানি খেতে হবে।
Israt / Israt
শীতে এসি যত্নে রাখার কৌশল জানেন তো?
সুজির পুডিং তৈরির সহজ রেসিপি জেনে নিন
ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে যে ফলগুলো খাবেন
ঘুমের আগে আদা চা খাবেন যে কারণে
জীবনে সুখী হওয়ার জন্য যে ৪ কাজ করতে হবে
অতিরিক্ত হাসিই হতে পারে মৃত্যুর কারণ!
শীতের আগেই হাত খসখসে হয়ে যাচ্ছে?
পেট ভালো রাখতে আপনাকে যা করতে হবে
ডিমের বিস্কুট পিঠা তৈরির রেসিপি জেনে নিন
মাছের ভর্তা তৈরির রেসিপি জেনে নিন
লিভার ভালো রাখতে যে তিনটি ফল খাবেন
শুরু হচ্ছে রিয়েলিটিশো ‘সিক্রেট বিউটি এক্সপার্ট’ সিজন–২