মোটর নিউরন রোগের কারণ ও চিকিৎসা

মানব শরীরে থাকা প্রতিটি নার্ভে থাকে অসংখ্য মোটর ও সেন্সরি নিউরন। এগুলো অর্থাৎ মোটর
নিউরনগুলো(ঘবঁৎড়ফবমবহবৎধঃরাব) মাংসপেশিতে স্নায়ু সরবরাহ করে থাকে। এই নিউরনগুলোর সমন্বয়ে গঠিত নার্ভ বা স্নায়ুগুলো ঠিকঠাকমতো কাজ করে বলেই আমরা আমাদের হাত ও পায়ের নড়াচড়া, চলাফেরা, খাবার গিলে খাওয়া, কথা বলা ইত্যাদি কাজগুলো ঠিকঠাকভাবে করে যেতে পারি। মোটর নিউরন রোগে আমাদের মুভমেন্ট, কথা বলা, গিলে খাওয়া, শাস-প্রশ্বাস নেওয়া ইত্যাদির জন্য দায়ী স্নায়ুগুলো (নিউরন) শুকিয়ে যায় বা ক্ষয় হয়ে যেতে থাকে। ফলে যেসব স্নায়ুর মাধ্যমে চালিত হয়, সেইসব মাংসপেশিগুলো আস্তে আস্তে শুকিয়ে যেতে থাকে। ইংরেজিতে একেই বলে এমায়োট্রফি।
মটর নিউরন রোগে স্নায়ুতন্ত্রের বিভিন্ন অংশ আক্রান্ত হতে পারে। যেমন- ফ্রন্টাল লোব বা ব্রেইনের সামনের অংশ, ব্রেইনের ভাইটাল সেন্টারের বিভিন্ন অংশ, যেমন- কর্টিকো-বাল্বার ও কর্টিকো-স্পাইনাল ট্র্যাক্ট, ব্রেইন থেকে বের হওয়া ক্রেনিয়াল নার্ভ এর নিউক্লিয়াস এবং মেরুরজ্জুতে অবস্থিত এন্টেরিয়র হর্ন সেল ইত্যাদি। শতকরা ৭৫ ভাগ ক্ষেত্রে সাধারণত পুরুষরা নারীর তুলনায় বেশি আক্রান্ত হয়ে থাকেন। গড়ে ৫৫ বছর বা তার চেয়ে বেশি বয়সীরা এই রোগে আক্রান্ত হয়।
এই রোগে নার্ভ শুকিয়ে যেতে থাকে। ফলে ক্রমাগত নার্ভগুলো তার কর্মক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। ঘাড় ও কোমরের নার্ভ এ রোগে বেশি আক্রান্ত হয়। গরপৎড়ংপড়ঢ়ু পরীক্ষা করলে দেখা যায়, মোটর নিউরনের সংখ্যা ক্রমাগত কমতে থাকে।
এ রোগের লক্ষণগুলো হলো- হাতের মাংসপেশি শুকিয়ে কংকালসার হয়ে যাওয়া, মাংসপেশিতে কাঁপন ধরা, ঢোক গিলতে না পারা বা ঢোক গিলতে গেলেই পানি বা খাবার নাক দিয়ে বের হয়ে আসা, মাংশপেশিতে দুর্বলতা বোধ করা, দরজার নব খুলতে কষ্ট হওয়া, ছোট ছোট জিনিস হাত দিয়ে তুলতে না পারা, শুয়ে থাকা অবস্থায় শ্বাসকষ্ট হয়। কথা বলতে কষ্ট হওয়া, ঢোক গিলতে কষ্ট হওয়া, অতিরিক্ত থুতু তৈরি হওয়া, হাত ও পায়ের মাংশপেশি শুকিয়ে যাওয়া, চিন্তার সমস্যা অর্থাৎ দ্রুত শব্দ মাথায় না আসা, ছেলেরা মেয়েদের তুলনায় আড়াই গুণ বেশি এই রোগে আক্রান্ত হয়। এই রোগের প্রকৃত কারণ জানা যায় না।
রোগ নির্ণয়ে ইএমজি (ইলেক্ট্রোমায়োগ্রাম), এনসিভি (নার্ভ কন্ডাকশন ভেলোসিটি) ও ঘাড়ের এমআরআই করার প্রয়োজন পড়ে।
এ রোগের সুনির্দিষ্ট ও স্থায়ী কোনো চিকিৎসা এখন পর্যন্ত আবিষ্কার হয়নি। শুধু লক্ষণ ও জটিলতাগুলোর চিকিৎসা করা হয়। তবে ফিজিওথেরাপি কিছুটা উপকারী। লক্ষণ শুরু হওয়ার পর অ্যামায়োট্রফিক ল্যাটেরাল স্কলেরসিস রোগের ক্ষেত্রে বেঁচে থাকার ২-৫ বছর, প্রগেসিভ বালবার পালসীর ক্ষেত্রে ৮-১০ বছর, প্রগেসিভ মাসকুলার অ্যাট্রোরফির ক্ষেত্রে ২-৪ বছর।
লেখক : অধ্যাপক, নিউরোসার্জারি বিভাগ
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়
শাহবাগ, ঢাকা। ০১৭১১৩৫৪১২০
Israt / Israt

তিরামিসু তৈরির রেসিপি

মোচার বড়া তৈরির রেসিপি

চালতার আচার তৈরির রেসিপি

চুল পড়া বন্ধ করবে এই ৪ খাবার

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার ৫টি ঘরোয়া উপায়

ত্বকে বয়সের ছাপ কমাবে যেসব পানীয়

ক্রিম মাশরুম স্যুপ তৈরির রেসিপি

গর্ভাবস্থার শেষের দিকে আয়রনের ঘাটতি পূরণে যা খাবেন

পেটফাঁপা কিংবা কোষ্ঠকাঠিন্য, এই ৫ বীজ খেলে মিলবে উপকার

মেদ কমাতে রাতে পান করুন এই ৫ পানীয়

দিনের বেলায় কাজের ফাঁকে ঘুম আসে? জানুন মুক্তির উপায়

তিল ভর্তা তৈরির সহজ রেসিপি
