প্রথম যখন চোখ পরীক্ষা করাতে হবে

বস্তু থেকে সমান্তরাল আলোকরশ্মি চোখের কর্নিয়ার মধ্য দিয়ে যাওয়ার সময় বেঁকে যায় এবং চোখের লেন্সের ভেতর দিয়ে যাওয়ার সময় দ্বিতীয়বার বেঁকে চোখের রেটিনায় বস্তুর প্রতিবিম্ব সৃষ্টি করে। তাই আমরা ওই বস্তুটি দেখতে পাই। কিন্তু কোনো কারণে প্রতিবিম্ব যদি লেন্সের সামনে বা পেছনে সৃষ্টি হয়, তবে বস্তুটি অস্পষ্ট বা ঝাপসা দেখা যায়। তখন প্লাস বা মাইনাস পাওয়ারের চশমা (লেন্স) ব্যবহার করে বস্তুর প্রতিবিম্ব রেটিনার ওপর সৃষ্টি করা হয়।
তখন বস্তুটি পরিষ্কার বা স্পষ্ট দেখা যায়। একটি বস্তু অস্পষ্ট বা ঝাপসা দেখাকে রিফ্রাকটিভ এরর বা পাওয়ারজনিত দৃষ্টিস্বল্পতা বলে। এটি সাধারণত চার ধরনের হয়ে থাকেÑ মায়োপিয়া (ক্ষীণদৃষ্টি), হাইপারোপিয়া (দূরদৃষ্টি), প্রেসবায়োপিয়া বা চালশে এবং অ্যাসটিগমেটিজম। এর মধ্যে মায়োপিয়া বা ক্ষীণদৃষ্টি সাধারণত শিশুদের বেশি হয় বা দেখা যায়।
মায়োপিয়া বা ক্ষীণদৃষ্টি : এ ধরনের রোগীরা ‘কাছে’ ভালো দেখতে পেলেও দূরে ঝাপসা দেখে। একে বলে ক্ষীণদৃষ্টি। এ সমস্যায় সাধারণত শিশুরা বেশি ভোগে। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চশমার পাওয়ারে পরিবর্তন ঘটে। অবতল লেন্স বা মাইনাস পাওয়ারের চশমা ব্যবহারে এ সমস্যার সমাধান সম্ভব। নিয়মিতভাবে চিকিৎসকের পরামর্শে চোখের পাওয়ার ও রেটিনার পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া ভালো।
শিশুর দেখতে সমস্যা বুঝবেন যেভাবে : শিশুরা বলতে বা বোঝেই না যে, সে চোখে কম দেখে। এটি দুভাবে বোঝা যায়। একটি হলো, টেলিভিশন দেখার সময় তাকে যত পেছনের দিকে নিয়ে আসা হয়, সে সামনে চলে যায়। অর্থাৎ খুব কাছ থেকে টেলিভিশন দেখতে চায়। অন্যটি, স্কুল থেকে অভিযোগ আসতে পারে, ঠিকমতো ক্লাসনোট করে না বা পড়ায় মনোযোগ দেয় না। অবশ্য উন্নত দেশগুলোয় শিশুদের চোখের সমস্যা বুঝতে প্রি-স্কুল স্ক্রিনিং করা হয়।
প্রথম যখন চোখ পরীক্ষা করাবেন : যখন সমস্যা দেখা দেবে, তখনই পরীক্ষা করাবেন। সাধারণত শিশুর বয়স তিন বছর হলেই চোখ স্ক্রিনিং করানো উচিত। তবে যাদের চোখে দৃষ্টিজনিত সমস্যা ধরা পড়বে, তাদের ছমাস অন্তর পাওয়ার পরীক্ষা করতে হবে।
চিকিৎসা : চিকিৎসকের পরামর্শে রোগের ধরন অনুযায়ী পাওয়ার চেক করে চশমা ব্যবহার করা যেতে পারে। চশমা যারা পরতে চায় না, তারা কন্টাক্ট লেন্স ব্যবহার করতে পারে। কিন্তু কন্টাক্ট লেন্স ব্যবহারবিধি একটু জটিল। তাই অনেকের পক্ষে ব্যবহার করা হয়ে ওঠে না। বর্তমানে লেজার সার্জারির মাধ্যমে এসব সমস্যার সমাধান সম্ভব। লেজার ব্যবহার করে চোখের পাওয়ার পরিবর্তন করে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনা যায়।
মনে রাখতে হবে : শিশুদের দৃষ্টিস্বল্পতার দ্রুত চিকিৎসা প্রয়োজন। নইলে অলস চোখের কারণে দৃষ্টিশক্তি স্থায়ীভাবে কমে যেতে পারে। চোখ থেকে পানি পড়লে তাদের দ্রুত চোখ পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া ভালো। মাথাব্যথা চোখের পাওয়ার পরিবর্তনের লক্ষণ। তাই মাথাব্যথা হলে একবার চোখ পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া ভালো। যারা নতুন নতুন চশমা ব্যবহার শুরু করবে, তাদের চশমায় অভ্যস্ত হতে ১০-১৫ দিন সময় লেগে যায়, এ সময় চশমা ব্যবহারে অস্বস্তি লাগলেও এটি ব্যবহার বন্ধ করা ঠিক নয়।
Israt / Israt

তিরামিসু তৈরির রেসিপি

মোচার বড়া তৈরির রেসিপি

চালতার আচার তৈরির রেসিপি

চুল পড়া বন্ধ করবে এই ৪ খাবার

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার ৫টি ঘরোয়া উপায়

ত্বকে বয়সের ছাপ কমাবে যেসব পানীয়

ক্রিম মাশরুম স্যুপ তৈরির রেসিপি

গর্ভাবস্থার শেষের দিকে আয়রনের ঘাটতি পূরণে যা খাবেন

পেটফাঁপা কিংবা কোষ্ঠকাঠিন্য, এই ৫ বীজ খেলে মিলবে উপকার

মেদ কমাতে রাতে পান করুন এই ৫ পানীয়

দিনের বেলায় কাজের ফাঁকে ঘুম আসে? জানুন মুক্তির উপায়

তিল ভর্তা তৈরির সহজ রেসিপি
