ভুল তথ্য দেখিয়ে বস্ত্র শিল্পকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নেয়া হচ্ছে-বিটিএমএ সভাপতি

টেক্সটাইল শিল্প সম্পর্কে ভুল তথ্য প্রদান করে এবং নানামুখী চাপ প্রয়োগ করে এই শিল্পকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাচ্ছেন তারা আসলে এই দেশকে বিদেশী বাজারে পরিনত করতে চায়। শনিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে বিটিএমএ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন সংগঠনটির সভাপতি মোহাম্মদ আলী।
সভাপতি মনে করেন, এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের নামে বাংলাদেশের টেক্সটাইল শিল্পের প্রণোদনা ও নীতি সহায়তা ব্যাপকভাবে কমিয়ে এ শিল্পে যেভাবে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হচ্ছে তাতে এ শিল্প অচিরেই ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যাবে যা দেশের পাট শিল্পের ভাগ্যবরন করবে।
তিনি বলেন, ২০২৪-২৫ বাজেটে টেক্সটাইল ও অ্যাপারেল সেক্টরের জন্য উল্লেখযোগ্য কোন পলিসি সাপোর্ট এবং এই সেক্টরকে সুরক্ষার জন্য কোন ব্যবস্থা রাখা হয়নি। এ সময় তিনি অভিযোগ করে বলেন, রপ্তানির বিপরীতে প্রনোদনা হ্রাস করার সিদ্ধান্ত দেশের টেক্সাইল সেক্টরের অগ্রযাত্রা ব্যাপকহারে বাধাগ্রস্ত হবে এবং এ সেক্টরের সংকট আরো তীব্র হবে। নগদ প্রনোদনা হিসেবে সরকার কর্তৃক প্রতি অর্থ বছরে টেক্সটাইল এবং অ্যাপারেল সেক্টরে মাত্র ৮ হাজার কোটি টাকা প্রদান করা হয় যা প্রায় ৮ লাখ কোটি টাকার বাজেটের খুবই সামান্য অংশমাত্র ।
টেক্সটাইল সেক্টরের মিলগুলি দেশের ১৭ কোটি জনগোষ্ঠির বস্ত্রের মৌলিক চাহিদার প্রায় সম্পূর্ণই যোগান দিচ্ছে যাতে বিপুল বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয় হচ্ছে। বাংলাদেশ ট্রেড এবং ট্যারিফ কমিশনের ২০২০ সালের প্রতিবেদন অনুযায়ী দেশে প্রতি বছর ৬ দশমিক ৫ বিলিয়ন মিটারের ফেব্রিক/কাপড়ের চাহিদা রয়েছে। সে অনুযায়ী বর্তমানে দেশের মানুষের কাপড়ের চাহিদা প্রায় ৭ বিলিয়ন মিটার এবং প্রতি মিটার কাপড়ের মূল্য ২ ডলার হিসেবে স্থানীয় জনগণের জন্য বছরে প্রায় ১৪ বিলিয়ন ডলার অর্থাৎ প্রায় ১ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকা প্রয়োজন । বিটিএমএ সদস্যরা ৭ বিলিয়ন মিটার কাপড়ের প্রায় ৯০ শতাংশ সরবরাহ করছে যা আমদানি পরিপূরক হিসেবে মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় করছে । বিটিএমএ সদস্যরা দেশীয় চাহিদার শতভাগ সরবরাহ করতে সক্ষম হলেও চোরাইপথে দেশীয় চাহিদার প্রায় ১৫ শতাংশ কাপড়ের অনুপ্রবেশ ঘটে যাতে সরকার প্রচুর রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হয় এবং উল্লেখযোগ্য পরিমান বৈদেশিক মুদ্রা হুন্ডির মাধ্যমে বিদেশে পাচার হয়।
দ্রুত সময়ের মধ্যে টেক্সটাইল শিল্পের জন্য একটি যুগোপযোগী টেক্সটাইল পলিসি প্রণয়ন এবং ব্যাংক লোন পরিশোধের জন্য এক বছরের গ্রেস পিরিয়ড প্রদানের জোর দাবী জানিয়ে বিটিএমএ সভাপতি বলেন, ইতোমধ্যেই টেক্সটাইল সেক্টরের বেশ কিছু মিল বন্ধ হয়ে গেছে এবং আরো অনেক মিল যেকোন সময় বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এমতাবস্থায়, অনতিবিলম্বে ৩০ জুন ২০২৪ তারিখে বাংলাদেশ ব্যাংকের জারীকৃত এফ.ই সার্কুলার নং ১২ প্রত্যাহার করে নগদ প্রণোদনা পূর্বের অবস্থায় আনতে হবে। যেকোন শিল্পের শক্তিশালী বা টেকসই করার জন্য নীতি সহায়তা বা প্রণোদনা আবশ্যিক যা বিশ্বের উন্নত দেশগুলোও দিয়ে আসছে। যেকোন দেশের জন্যই টেকসই শিল্প প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজন শক্তিশালী নীতিসহায়তা ও প্রণোদনা। আমাদের দেশে কোন ধরণের বিকল্প ব্যবস্থা না রেখে নগদ প্রণোদনা যেভাবে কমানো হয়েছে তাতে টেক্সটাইল সেক্টরে আমাদের সক্ষমতা কমবে। এর প্রভাবে ক্রমান্বয়ে এই সেক্টরের ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ ইন্ডাস্ট্রিগুলি বন্ধ হয়ে যাওয়ার ঝুকিতে পড়বে এবং প্রতিযোগী অন্যান্য দেশের সাথে আমরা কোনভাবেই টিকতে পারবো না। কোন কারণে প্রাইমারী টেক্সটাইল বন্ধ হলে পরবর্তীতে তৈরি পোশাক শিল্পও ধীরে ধীরে বন্ধ হয়ে যাবে এবং দেশের অর্থনীতিতে ধস নামার আশংকা তৈরি হবে।
Sunny / Sunny

ন্যূনতম কর একটা কালাকানুন: এনবিআর চেয়ারম্যান

শাহজালালে নারী যাত্রীর লাগেজ থেকে ১৩০ কোটি টাকার কোকেন জব্দ

চট্টগ্রাম বন্দরে মাশুল বাড়বে ৪১ শতাংশ, বৈঠকে বসছে নৌ মন্ত্রণালয়

ইলিশের দেখা মিললেও দামে হাত পোড়ার জোগাড়

৮০ টাকার নিচে নামছেই না সবজি

এক মোটরসাইকেলে ৪ জন, প্রাইভেটকারের ধাক্কায় নিহত ৩

পেঁয়াজের ঝাঁজে পুড়ছে ক্রেতার পকেট, খুচরায় কমেনি দাম

আন্দোলনের জেরে এনবিআরের আরও ৪ কর্মকর্তা বরখাস্ত

সরবরাহ বাড়ার পরও ইলিশের কেজি ২ হাজারের বেশি

জ্বালানি তেল কিনে গত বছর সাশ্রয় ১৪০০ কোটি টাকা: ফাওজুল কবির

বাজারে ৮০ থেকে ১০০ টাকার নিচে কোনও সবজি নেই

প্রথম ১০ দিনে ১ লাখ করদাতার ই-রিটার্ন দাখিল
