নব্য-আধুনিক খেলনার সমারোহ নিয়ে রাইসা টয় গ্যালারী
২০০১ সালের কথা। ঢাকাতে খেলনার শো-রুম ছিল নিতান্তই হাতে গোনা। সে সময়ে তরুণ-উদীয়মান ব্যবসায়ী মোহাম্মাদ আব্দুল আজিজ সিদ্ধান্ত নেন রাইসা টয় গ্যালারী শুরু করবেন। যেই ভাবনা সেই কাজ। চায়না থেকে আমদানীকৃত উন্নত মানসম্পন্ন বিভিন্ন ধরণের পছন্দসই, চোখ-ধাঁধানো খেলনা নিয়ে ঢাকার বনেদী এলাকা গুলশান-১ এ যাত্রা শুরু করে রাইসা টয় গ্যালারী। সেখান থেকে আর পিছু ফেরা লাগেনি। আরেকটি দৃষ্টিনন্দন শো-রুম হয়েছে ঢাকার নিকেতনে অবস্থিত পুলিশ প্লাজা কনকর্ড শপিং মলের তৃতীয় তলায়, ৪৪১ নং স্টোর। বর্তমান সময়ের আশ্চর্যজনক ও বিস্ময়কর হাজারো সব খেলনা পাওয়া যায় এখানে। ছয় মাস বয়সীদের খেলনা থেকে শুরু করে দশ বছরের বাচ্চার খেলনা- কী নেই রাইসা টয় গ্যালারীতে? হট হুইলস, ফাস্ট এন্ড ফিউরিয়াস সিরিজ সহ বিভিন্ন ধরণের ড্রোন, গাড়ির খেলনা, বিমান, হেলিকপ্টার, জাহাজ, বাইসাইকেল এখানে প্রচুর রয়েছে। আবার, স্পেশাল ক্যারেক্টার যেমন- হাল্ক, ব্যাটম্যান, রবিন, স্পাইডারম্যান, গডজিলা, অ্যাভাটার, মারভেল আভেঞ্জারস, মিনিওনস ইত্যাদি, ব্রেইন ও পাজলস গেম সহ যাবতীয় বাহারী সব খেলনা রাইসা টয় গ্যালারী বিক্রয় করে।
পুরনো মডেলের কোন খেলনাই অবশিষ্ট থাকে না। বহিঃবিশ্বের সাথে পাল্লা দিয়ে প্রতি মাসে নব্য এবং অত্যাধুনিক খেলনা রাইসা টয় গ্যালারী নিয়ে আসে। প্রতিটি খেলনা সেফটি অ্যাসিওরেন্স প্রাপ্ত, যেখানে ভাল গ্রেডের ক্ষতিমুক্ত প্লাস্টিক ব্যবহৃত হয়েছে। খেলনাপ্রেমী ছোট সোনামণিদের কাছে রাইসা টয় গ্যালারী তাই অনন্য প্রিয় এক নাম। আমদানীকারক, খুচরা ও পাইকারি বিক্রেতা হিসেবে রাইসা টয় গ্যালারীর সুনাম ছড়াচ্ছে। সারা দেশের দূর দূরান্ত, এমনকি ভারতের কলকাতা থেকে ক্রেতাদের সমাগম ঘটে এখানে। এর পেছনে দুটি কারণ- ১) যৌক্তিক মূল্যে কাঙ্ক্ষিত খেলনা পাওয়া যায় এবং ২) কর্ণধার সহ বিক্রয়কর্মীদের হাস্যোজ্জল মুখে আন্তরিক ব্যবহার।
নির্দিষ্ট মূল্যের পণ্য ক্রয় সাপেক্ষে গুলশান এবং পার্শ্ববর্তী এলাকায় বিনামূল্যে হোম ডেলিভারী ব্যবস্থা চালু করেছে রাইসা টয় গ্যালারী। সাপ্তাহিক ছুটি বাদে প্রতিদিন সকাল ১০ টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত খোলা থাকে শো-রুম। নিত্যনতুন খেলনা, এর মূল্য ইত্যাদি আপডেট জানতে রাইসা টয় গ্যালারী ফেসবুক পেজ দ্রষ্টব্য।
এমএসএম / এমএসএম