ঢাকা বুধবার, ১৯ নভেম্বর, ২০২৫

সাবেক এমপি-মন্ত্রীর আশীর্বাদপুষ্টরা এখনো গুরুত্বপূর্ণ পদে বহাল


নিজস্ব প্রতিবেদক photo নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১১-৯-২০২৪ দুপুর ১২:৩৬

বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) একই স্থানে প্রায় ১৫ বছর বহাল থাকার অভিযোগ উঠেছে এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। ওই কর্মকর্তার নাম মো. নুরুল ইসলাম। তিনি পরিচালক (এইচআর) পদে কর্মরত। ২০১০ সালে সহকারী পরিচালক হিসাবে বেবিচকের প্রশাসন শাখায় যোগদান করেন তিনি।

কর্মকর্তারা বলেন, দুই দফায় পদোন্নতি পেয়ে উপপরিচালক থেকে পরিচালক হওয়ার পরও এতদিন একই স্থানে বহালতবিয়তে রয়েছেন তিনি। আওয়ামী লীগ সরকারের আশীর্বাদপুষ্ট হওয়ার কারণে তিনি সুবিধা পেয়ে আসছেন বলে অভিযোগ তার সহকর্মীদের।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে নুরুল ইসলাম বলেন, বেবিচকের ফ্লাইট স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড রেগুলেশন শাখায় আমাকে বদলি করা হয়েছে। বুধবার (আজ) ওই শাখায় যোগদান করব। সোমবার আমার বদলির প্রজ্ঞাপন জারি হয়েছে। এ খবর শুনে হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরসহ অন্যান্য শাখা থেকে দুইশ থেকে আড়াইশো কর্মী আমার বদলি ঠেকাতে বেবিচক চেয়ারম্যানের দপ্তরে জড়ো হন।

জানা যায়, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) ও জাতীয় পতাকাবাহী বিমান সংস্থার প্রধান দুই শীর্ষ কর্মকর্তাকে পদ থেকে সম্প্রতি অপসারণ করা হয়েছে। তারা হলেন, বেবিচকের সাবেক চেয়ারম্যান এয়ার কমডোর সাদিকুর রহমান চৌধুরী ও বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সিইও জাহিদুল ইসলাম ভূঁইয়া। ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা সরকারের মন্ত্রী-এমপিদের আর্শিবাদপুষ্ট হওয়ার অভিযোগ ছিল তাদের বিরুদ্ধে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, শেখ হাসিনা সরকারের সাবেক কিছু মন্ত্রী-এমপির আর্শিবাদপুষ্ট কিছু কর্মকর্তা প্রায় ১০–১৫ বছর ধরে বেবিচক ও বিমান সংস্থার গুরুত্বপূর্ণ পদে বহাল তবিয়তে আছেন। যার ফলে বৈষম্যের শিকার হয়েছেন শতাধিক কর্মকর্তা–কর্মচারী।

এছাড়া ওই কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে জনবল নিয়োগ থেকে শুরু করে নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগও রয়েছে। এরইমধ্যে দুর্নীতির অভিযোগে বেবিচকের দুই কর্মকর্তাকে দপ্তরে অবরুদ্ধ করে রাখার ঘটনাও ঘটেছে। তারা হলেন বেবিচকের উপপরিচালক সাধন কুমার মহন্ত ও রাসিদা সুলতানা।

সাধন কুমারের বিরুদ্ধে দোকান, লাউঞ্জ, পার্কিং, বিলবোর্ডসহ বিভিন্ন সেক্টরে বরাদ্দ দেওয়ার নামে লাখ লাখ টাকা ঘুষ নিয়েও কাজ না করার অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীরা। অন্যদিকে রাসিদা সুলতানার বিরুদ্ধে সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ‘১৫ আগস্ট’ পালনে কর্মচারীদেরকে চাপ সৃষ্টির অভিযোগসহ নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে।

সূত্র জানায়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সাবেক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের আর্শীবাদপুষ্ট বিমানের সিইও জাহিদুল ইসলাম এবং বেবিচকের সাবেক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মফিদুর রহমানের আর্শীবাদপুষ্ট ছিলেন বেবিচকের সাবেক চেয়ারম্যান এয়ার কমডোর সাদিকুর রহমান চৌধুরী। সম্প্রতি তাদেরকে অপসারণ করা হয়।

অভিযোগ উঠেছে, বেবিচক ও বিমানের প্রধান দুই শীর্ষ কর্মকর্তাকে পদ থেকে অপসারণ করা হলেও ক্ষমতাচ্যুত সরকারের মন্ত্রী, এমপি ও রাজনৈতিক নেতার আর্শীবাদপুষ্ট অন্তত দুই ডজনের বেশি কর্মকর্তা–কর্মচারী গুরুত্বপূর্ণ পদে এখনও বহাল তবিয়তে রয়েছেন।

গত ১৫ বছর ধরে তাদের দাপটের কাছে অসহায় সাধারণ কর্মীরা। পদোন্নতি থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্রশিক্ষণসহ নানা ধরনের বৈষম্যের শিকার এ দুই সংস্থার অন্তত একশোর বেশি কর্মকর্তা–কর্মচারী। যদিও নিজেদের পদ ঠেকাতে সুর পাল্টে তাল মিলিয়ে চলার চেষ্টা করছে অভিযুক্তদের অনেকে। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কর্মীদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।

ভুক্তভোগী কয়েকজন কর্মী জানান, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের আর্শীবাদপুষ্ট বেবিচকের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. শহীদুল আফরোজকে প্রধান প্রকৌশলী পদে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তার বিরুদ্ধে দুদকের মামলা চলমান। এছাড়াও বেবিচকের সদস্য (অর্থ) লাবলুর রহমান, নির্বাহী পরিচালক (সেমসু) মো. রেজাউল করিম, পরিচালক (সম্পত্তি ব্যবস্থাপনা) ইসরাত জাহান পান্না, সিনিয়র কর্মকর্তা সুব্রত চন্দ্র দে, এটিএম বিভাগের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, শাহজালাল বিমানবন্দরের সিনিয়ার কর্মকর্তা মো. সেলিম মিয়াসহ বিভিন্ন পদের কর্মকর্তারা সাবেক সরকারের অনুগত। অন্যদিকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের প্রধান কার্যালয় বলাকা ভবন ও শাহজালাল বিমানবন্দরসহ দেশ–বিদেশে বিমানের বিভিন্ন স্টেশনের গুরুত্বপূর্ণ পদে বহাল তবিয়তে আছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত সাবেক সিটি মেয়র শেখ ফজলে নুর তাপসসহ কয়েক মন্ত্রী-এমপির লোকজন।

এ ব্যাপারে বেবিচকের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মঞ্জুর কবীর ভুঁইয়া বলেন, অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধে বেবিচককে ঢেলে সাজানো হচ্ছে। এরইমধ্যে বেবিচকের বেশ কয়েকটি পদে রদবদল করা হয়েছে। এছাড়া  দীর্ঘদিন ধরে যেসব কর্মকর্তা–কর্মচারী রাজনৈতিক আশীর্বাদে বেবিচকের গুরুত্বপূর্ণ পদে আছেন তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে। বর্তমান সরকারের সময় দুর্নীতি করে পার পাওয়ার কোন সুযোগ নেই। বেবিচকের এ চেয়ারম্যান আরও বলেন, সাবেক সরকারের মন্ত্রী এমপির আর্শিবাদপুষ্ট কর্মকর্তাদের তালিকা তৈরি হচ্ছে। এখন আর তাদের বহাল তবিয়তে থাকার সুযোগ নেই।

T.A.S / জামান

গত ১০ মাসে ঢাকায় ১৯৮ খুন : ডিএমপি

শিক্ষা ক্যাডারের প্রভাষকদের পদোন্নতির দাবিতে কর্মবিরতি

৬৭৮ কোটি মানিলন্ডারিং, ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড মালিকের বিরুদ্ধে সিআইডির মামলা

পুলিশের নতুন ইউনিফর্ম : ভেতরে-বাইরে মিশ্র আলোচনা

কিডনি ডায়ালাইসিসের রাসায়নিকে তৈরি হচ্ছে ‘গোলাপজল’ ও ‘কেওড়া জল’

৬৭৮ কোটি মানিলন্ডারিং, ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড মালিকের বিরুদ্ধে সিআইডির মামলা

শেখ হাসিনার রায় ঐতিহাসিক : অন্তর্বর্তী সরকার

রায়কে ঘিরে আতঙ্ক দেখতে পাচ্ছি না : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

২১ নভেম্বর ঢাকা সেনানিবাসে যান চলাচল সীমিত থাকবে

চ্যালেঞ্জ থাকলেও অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দিতে প্রস্তুত ইসি : সিইসি

ধানমন্ডি ৩২-এ উত্তেজনা: লাঠিপেটা, সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পদোন্নতি সংক্রান্ত সাক্ষাৎ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন

এবারের নির্বাচন দেশ রক্ষার নির্বাচন : প্রধান উপদেষ্টা