যেভাবে বুঝবেন শরীরে ভিটামিন ডি’র ঘাটতি আছে
ভিটামিন ডি মূলত শরীরের স্নেহপদার্থ দ্রবীভূত করার একটি প্রয়োজনীয় উপাদান। যা সূর্যালোকের প্রভাবে শরীরে কোষে কোষে তৈরি হয়। হাড় মজবুত করতে তো বটেই, শরীরের সামগ্রিক সুস্থতার জন্যও ভিটামিন ডি অত্যন্ত উপকারী।
শরীরের সার্বিক সুস্থতার জন্য একটি অন্যতম উপকারী উপাদান হল ভিটামিন-ডি। শরীরে ভিটামিনডি-র অভাব ঘটলে নানা ধরনের শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। তাহলে কী কী লক্ষণ দেখলে বুঝবেন যে শরীরে ভিটামিন ডি-র অভাব ঘটেছে? চলুন জেনে নেওয়া যাক লক্ষণগুলো—
হাড়ের ক্ষয়ঃ ভিটামিন ডি হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য অপরিহার্য। হাড় মজবুত ও শক্তিশালী রাখতে প্রয়োজন পর্যাপ্ত ক্যালশিয়াম। যার জোগান দেয় ভিটামিন ডি। এর অভাবে হাড়ের দুর্বলতা ও ব্যথা হতে পারে। এটি ঘটে কারণ ভিটামিন ডি ক্যালসিয়াম শোষণের জন্য প্রয়োজনীয়।
অত্যধিক ক্লান্তিঃ শরীরে ভিটামিন ডি-র অভাবে ঘটলে সব সময়ে একটা ক্লান্তি ঘিরে থাকে। অতি অল্প পরিশ্রমেই ক্লান্ত হয়ে পড়ার প্রবণতা দেখা যায়।
ওজন বৃদ্ধিঃ হু হু করে ওজন বাড়ার একটি বড় কারণ কিন্তু হতে পারে ভিটামিন ডি-র ঘাটতি। শরীরের পরিমাণ মতো ভিটামিন ডি-র অভাব ঘটলে বাড়তে পারে ওজন।
চুল পড়াঃ মূলত পর্যাপ্ত পুষ্টির অভাবেই চুল পড়ে। কিন্তু চুল পড়ার আরও একটি কারণ হল ভিটামিন ডি-র ঘাটতি। ভিটমামিন ডি চুল ভালো রাখতে ব্যাপক সাহায্য করে। ফলে শরীরে ভিটামিন ডি যদি কোনো কারণে কমে যায়, তার একটি লক্ষণ হতে পারে চুল ঝরা।
ক্ষত শুকাতে দেরি হওয়াঃ ভিটামিন ডি শরীরের যে কোনো ক্ষত দ্রুত শুকাতে সাহায্য করে। দীর্ঘদিন ধরে যদি কোনও ক্ষতস্থান না শুকায়, তাহলে ধরে নেওয়া যেতে পারে শরীরে ভিটামিন ডি-র ঘাটতি তৈরি হয়েছে।
মানসিক অবসাদঃ গবেষণা বলছে ভিটামিন ডি শরীরের পাশাপাশি মনকেও নিয়ন্ত্রণ করে। বিশেষ করে শীতকালে যখন সূর্যের আলো কম থাকে, তখন মানসিক অবসাদ যেন আরও চেপে বসে। এর কারণ সূর্যের আলো থেকে ভিটামিন ডি সরাসরি পাওয়া যায় না, বা খুবই কম পাওয়া যায়।
পিঠে ব্যথাঃ শুধু বয়স্করা নন, পিঠের ব্যথার সমস্যায় ভুগছেন নতুন প্রজন্মও। অনেকেই এর কারণ হিসেবে দীর্ঘক্ষণ এক জায়গায় বসে বসে কাজ করাকে ধরে নেন। তবে শরীরে ভিটামিন ডি-র ঘাটতি থাকলেও হতে পারে পিঠে ব্যথা।
T.A.S / T.A.S