ঢাকা বৃহষ্পতিবার, ৬ নভেম্বর, ২০২৫

ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে কখন ভাত খাবেন?


ডেস্ক রিপোর্ট  photo ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশিত: ১-৯-২০২১ দুপুর ১:৪০

ভাত বাংলাদেশের ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মানুষের প্রধান খাদ্য। বাংলাদেশে বিভিন্নভাবে ভাত খাওয়ার প্রচলন রয়েছে। চীন, জাপান ও কোরিয়ায় আঠালো ভাত খাওয়ার প্রচলন রয়েছে। ধানের বিভিন্ন প্রকরণের উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন প্রকার সুগন্ধিযুক্ত ভাত রান্না হয়। মনসামঙ্গল কাব্যে প্রায় ৬৫ রকমের ধানের নাম পাওয়া গেছে।

শরীরে ওজন বেড়ে যাওয়ার কারণে খাবারের পাতে ভাতের বদলে অন্য খাবারে বাধ্য হচ্ছি আমরা। ভাত না খেয়ে ওজন কমানোর চিন্তায় বেছে নেওয়া হচ্ছে নানা বিকল্প৷ যে ভাত আমাদের খাদ্য ও পুষ্টির মূল স্তম্ভ, তাকে বর্জন করে ফেলছেন অনেকেই। ভাত খেলে মেদ জমার যে ধারণা রয়েছে সেটিও ঠিক নয়। ভাত যদি নিয়ম মেনে খাওয়া যায়, তাহলে তা থেকে শরীরে মেদ জমে না তেমন।

কিন্তু ভাত মানেই হু হু করে ওজন বাড়বে এমন নয় বলেই দাবি পুষ্টিবিদদের৷ তাদের মতে, সকাল–বিকাল এক থালা ভাত নিয়ে বসা যেমন কাজের কথা নয়, ঠিক তেমনই তাকে পুরোপুরি বর্জন করারও দরকার নেই৷ কারণ সারা দিন ধরে তরতাজা থাকতে হলে, সুস্থ শরীরে কাজকর্ম করে যেতে হলে সকাল বা দুপুরের দু মুঠো ভাতের কোনও বিকল্প হয় না৷ ফ্যান না ঝরানো ভাত হলে আরও ভালো৷ কারণ তাতে ভিটামিন বেশি পাওয়া যায়৷

তবে কোন সময়ে কতটা ভাত খাবেন? এই নিয়েও রয়েছে নানা প্রশ্ন। কখন ভাত খাওয়া উচিত এবং এর অসুবিধাগুলো কী কী! অনেকেই মন্তব্য করেন, রাতে ভাত খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক। এর ফলে বেশিরভাগ মানুষ রাতে ভাত খাওয়া থেকে বিরত থাকেন। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন রাতে ভাত খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য খুব উপকারী। ভাতের ভক্ত হলে, রুটি খেয়ে অতৃপ্ত থাকা বা পেটের গোলমালে ভোগার দরকার নেই৷ দিনে একবার কি দুইবার ভাতই খান৷

ভাতের উপকারিতা

ভাতের গ্লাইকোজেন গলে দেরি করে, রুটির ক্ষেত্রে তুলনায় অনেক তাড়াতাড়ি গলে তা। ভাতকে বলে 'ফ্রি ফুড'৷ কারণ এতে সোডিয়াম, কোলেস্টেরল, গ্লুটেন ইত্যাদি ক্ষতিকর উপাদান থাকে না৷ চর্বি থাকেই না প্রায়৷ বিশেষ করে ট্রান্স ফ্যাট, যা খেলে কোলেস্টেরল বাড়ার আশঙ্কা থাকে৷ স্যাচুরেটেড ফ্যাটও থাকে না৷ বরং ভাতে থাকে কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট বা স্টার্চ, যার ফলে শরীরে শক্তি জোগাতে যার বিরাট ভূমিকা নেয়৷ ফাইবার থাকার ফলে পেটের সমস্যা কমাতে, ওজন, সুগার এবং রক্তচাপ ঠিক রাখতে সাহায্য করে। ভাতে আছে প্রোটিন–ভিটামিন–মিনারেলস৷ বিভিন্ন খাবারের সঙ্গে মিলিয়ে মিশিয়ে খেলে সে উপকার আরও বাড়ে৷

কোন সময়ে ভাত খাবেন

বিশেষজ্ঞদের মতে, দিনের থেকে রাতে কম পরিমাণে মসুর ডাল ও ভাত হার্ট ও ব্লাড সুগারকে ঠিক রাখে। ভাত আমাদের অন্ত্রকে শক্তিশালী করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পেতে সহায়তা করে। এ ছাড়া ভাত হজম করা সহজ, তাই এটি রাতে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায় না বলে মনে করেন পুষ্টিবিদরা। উল্টো ভালো ঘুম হতে সাহায্য করে। এতে কম ফ্যাটযুক্ত উপাদান রয়েছে এবং কোলেস্টেরল মুক্ত। ভাতে গমের চেয়ে কম ক্যালোরিও রয়েছে।

বিশেষ করে রোগীদের ক্ষেত্রে রাতে ভাত খেতে কোনও সমস্যা নেই। তবে আপনার ওজন বেশি হলে বিকেলের দিকে ভাত খান। কারণ বিপাক কার্য বিকেলের দিকে ভালো হয়। যারা ওজন কমাতে চান পরিমাণমতো ভাত খান।

প্রীতি / প্রীতি