ঢাকা শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০২৪

মৎস্য প্রকৌশলী সামসুল আলমের ক্ষমতার উৎস কি?


আলমগীর হোসেন photo আলমগীর হোসেন
প্রকাশিত: ১৪-১২-২০২৪ বিকাল ৫:৫৬
বেশিরভাগ সরকারি দপ্তরে এখনো বহাল তবিয়তে সাবেক স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার দোসরেরা। এ যেন শাখের করাত আসতেও কাটে যাইতেও কাটে। যেন দেখার কেউ নেই।  যে কারণে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শত চেষ্টার পরও থামানো যাচ্ছেনা তাদের অনিয়ম, দুর্নীতি। সেই পুরনো পথ ধরেই এগিয়ে চলেছে দুর্নীতিবাজদের দুর্নীতির রাম রাজত্ব। নিজ আখের গোছাতে দুর্নীতিবাজরা গত ১৫ বছর সাংবাদিকদের প্রধান বাধা বলে মনে করতো, তা এখনো চলমান আছে। গত স্বৈরশাসকের আমলে অসংখ্য সংবাদকর্মী নিহত, আহত, নিখোঁজ ও নানা ধরনের নিগ্রহের শিকার হয়েছে। অথচ এই দেশ গঠনে তাদের অবদান অনসিকার্য। সেই নিগ্রহের থাবা এখনো চলমান আছে। গত ১১-১২-২৪ বুধবার দৈনিক সকালের সময়'র ষ্টাফ রিপোর্টার জাহাঙ্গীর আলম শাহীন অফিস এসাইনমেন্টে তথ্য সংগ্রহের জন্য রমনা পার্কের পাশে অবস্থিত মৎস্য অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ সামসুল আলমের কাছে যায়। সামসুলের রুমে আগে  থেকেই অবস্থান করা কাজী লিমন নামে এক সন্ত্রাসীর মাধ্যমে জাহাঙ্গীরকে হুমকি ধামকি ও তথ্য নিতে বাধা প্রদান করে। একজন বহিরাগত সন্ত্রাসী কিভাবে কোন সার্থে একটি সরকারি দপ্তরের  রুমে বসে সংবাদকর্মীকে হুমকি ধামকি দেয় তা নিয়ে দপ্তরটিতে চলছে নানা আলোচনা সমালোচনা। তারা বলেন, স্যারের লিমনের মতো কয়েক ডজন লোক পালেন বেতন দিয়ে যাদেরকে ডাক দেওয়া মাত্রই ছুটে আসবে।   সুত্র বলছে, গত  আওয়ামী আমলের ১৫ বছরও এই সামসুল আলমরা অবাধে দুর্নীতি করার হাতিয়ার হিসেবে সরকারের বিভিন্ন ক্যাডার বাহিনী ব্যবহার  করতো, শুধুমাত্র সাংবাদিক ঠেকানোর লক্ষ নিয়ে। তারা মনে করে সাংবাদিকরাই তাদের অবাধে দুর্নীতি করার জন্য একমাত্র অন্তরায়। ইতিহাস থেকে জানা যায়, ১৯৮৬ সালে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীন কৃষি তথ্য সংস্থা (যা বর্তমানে কৃষি তথ্য সার্ভিস নামে পরিচিত) দ্বিধাবিভক্ত হয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনে ৮৭টি পদ নিয়ে ‘‘মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ তথ্য দপ্তর’’ সৃষ্টি হয়। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ তথ্য দপ্তর মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সমন্বিত প্রচার মাধ্যম হিসেবে কাজ করে থাকে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের বিভিন্ন অর্জন, উদ্ভাবন ও সাফল্য জনসাধারণের কাছে পৌঁছে দিতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে এ দপ্তর। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ একটি দ্রুত বর্ধনশীল খাত। এ খাত বর্তমান সরকারের একটি অন্যতম অগ্রাধিকারভিত্তিক খাত। দেশের ক্রমবর্ধমান জনগোষ্ঠীর খাদ্য নিরাপত্তা, পুষ্টি চাহিদাপূরণ, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে এ খাত অনবদ্য ভূমিকা রেখে চলেছে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ এর সর্বোচ্চ সহনশীল (Sustainable) উৎপাদন, খাদ্য নিরাপত্তা ( Food security) নিশ্চিতকরণসহ সংশ্লিষ্ট জনগোষ্ঠির আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ বিষয়ক তথ্য ও প্রযুক্তির (Technologies) সফল কার্যকর হস্তান্তরসহ জনগণকে উদ্বুদ্ধকরণ ও সচেতনতা সৃষ্টি এ দপ্তরের প্রধান উদ্দেশ্য। এছাড়াও দিন বদলের সনদ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সেক্টরের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড, টেকসই প্রযুক্তি সম্প্রসারণ ও গবেষণালব্ধ সাফল্য জনসম্মুখে এ দপ্তর বারবার তুলে ধরেছে। প্রতিষ্ঠালগ্ন হতেই এ দপ্তর আধুনিক তথ্য ও প্রযুক্তি সংগ্রহ, সংরক্ষণ, মূল্যায়ন, বিশ্লেষণ এবং তদানুযায়ী তথ্য প্রযুক্তি সম্প্রসারণের মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচনে সহায়তামলূক কার্যক্রম গ্রহণ এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন বিষয়ক তথ্য সম্বলিত প্রচার/সম্প্রসারণ সামগ্রী প্রদর্শন ও সরবরাহ সেবা নিশ্চিতকরণে নিবেদিত।
অথচ এই সুনামধন্য এই প্রতিষ্ঠানটির বারোটা বাজাচ্ছে সামসুল আলমসহ কিছু কিছু সুযোগ সন্ধানী অসাধু কর্মকর্তাগন। জানা যায়, দপ্তরটিতে
প্রাকৃতিক দুর্যোগ যেমন বন্যা ও খরা পরবর্তী মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ পুনর্বাসনে করণীয় সম্পর্কে নির্বাহী প্রকৌশলী শামসুল আলমের অধীনে বছরে অন্তত দুইটি বাজেট হয়। তার দায়িত্ব প্রাপ্ত এলাকাগুলো হলো রামগঞ্জ, হবিগঞ্জ, সিলেট, গাজীপুর ও সাভার। সুত্র বলছে, মোটা অংকের কমিশন বানিজ্যের জন্য সামসুল আলম তার অধিনস্ত বেশিরভাগ ঠিকাদারি কাজ দেন  শহীদ ও মিরাজকে। এমনও শোনা যাচ্ছে, ঠিকাদার শহীদের গাড়িতে চড়ে নির্বাহী প্রকৌশলী সামসুল প্রায়ই আনন্দ বিনোদনের উদ্দেশ্যে ঘুরতে বের হন। যা নিয়ে আছে জনমনে নানা প্রশ্ন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কর্মকর্তা কর্মচারীরা বলেন, একজন সরকারি কর্মকর্তা হয়ে সাধারণ ঠিকাদারের গাড়িতে করে এখানে সেখানে যাওয়াটা খারাপ দেখায়। বর্তমানে সামসুল আলম একচেটিয়া শহীদ ঠিকাদারকে কাজ দিচ্ছেন বলেও অনেকের অভিযোগ আছে। এমনও অভিযোগ আছে, শামসুল আলম গোপনে শহীদকে আগেই ইস্টিমেট দিয়ে দেন টাকার বিনিময়ে। এর আগে আলিমুজ্জামান প্রকল্প পরিচালক থাকাকালীন একই অপরাধের কারনে সামসুল আলমকে বরখাস্ত করে বের করে দেয়ার কথাও শোনা যাচ্ছে। পরবর্তীতে ডিজি মাহবুবুল হককে মোটা অংকের ঘুষের মাধ্যমে ম্যানেজ করে উক্ত পদে পুনরায় আশীন হন বলে জানা গেছে। এ সকল বিষয়ে তার +8801711163291 নম্বরের হোয়াটস অ্যাপে কথা হলে তিনি জানান আপনি আমার অফিসে আসেন অথবা বিকাশ নম্বর দেন বলে ফোন কেটে দেন।

এমএসএম / এমএসএম

ড্রেজিংয়ের টাকায় আংগুল ফুলে কলাগাছ সাইদুর

মৎস্য প্রকৌশলী সামসুল আলমের ক্ষমতার উৎস কি?

পরকীয়া প্রেমের সম্পর্কে জন্ম নেয়া মৃত শিশুর পরিচয় শনাক্তে সহায়তা চায় পুলিশ

ফ্যাসিষ্টের সহযোগী সাবেক প্রধান বিচারপতির সাথে ছবি তুলে প্রমোশন ও বদলি বাণিজ্য

ইলিয়াসে সুনাম ক্ষুন্ন হচ্ছে রাজউকের

তবুও বহাল তবিয়তে সাইদুর

চাকরিচ্যুত পুলিশ সদস্যদের দুঃসহ বাস্তবতা

সাইদুরের অঢেল সম্পদের উৎস কি?

অভিযোগের অন্ত নেই রাজউক পরিচালক মোবারকের বিরুদ্ধে

রাজনৈতিক পট পরিবর্তনে চরিত্র বদলের অপচেষ্টা শাহিনের

বহাল তবিয়তে আরিফ উদ্দিন

অটো-গ্যাস রিফুয়েলিং স্টেশন এবং রক্ষণাবেক্ষণ নীতিমালা, ২০১৬ পরিবর্তন জরুরী

প্রকৃত সত্য ঘটনা আড়াল করে সংবাদ প্রকাশ করেছে ইনকিলাব, অনুসন্ধানে যা জানা গেল?