আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ
জুলাই গণহত্যার বিচার ও আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীরা। শুক্রবার (২১ মার্চ) দুপুরে জুম্মার নামাজের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক দিয়ে নগরীর তালাইমারি এলাকায় সমাবেশ মিলিত হয়। পরে আবার তালাইমারি থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজলা গেটে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে মিছিলটি শেষ হয়।
এ সময় শিক্ষার্থীরা 'আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ, করতে হবে, করতে হবে', 'ফ্যাসিবাদের দোসরেরা হুঁশিয়ার সাবধান', 'শেইম শেইম, ওয়াকার', 'দালালি না রাজপথ? রাজপথ রাজপথ', 'আমার
ভাই কবরে, খুনি কেন বাহিরে' ইত্যাদি স্লোগান দেন।
বিক্ষোভ মিছিল পরবর্তী সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন রাবির অন্যতম সমন্বয়ক সালাউদ্দিন আম্মার বলেন, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের প্রশ্ন তো আমরা ৫আগস্টেই নিশ্চিত করে ফেলেছি। আওয়ামী লীগকে বাংলার মাটিতে রাজনীতি করতে দেওয়া হবে না। আওয়ামী লীগ যদি দেশের রাজনীতিতে ফিরে আসতে চায়, তাহলে ২হাজার শহীদের প্রাণ ফিরিয়ে দিতে হবে। ৩০হাজার আহত ও পঙ্গুত্ব বরণকারী ভাইদের হাত-পা ফিরিয়ে দিতে হবে, দৃষ্টিশক্তি হারানো ভাই-বোনদের চোখ ফিরিয়ে দিতে হবে। তাছড়া গত ১৫বছরে ফ্যাসিবাদী কায়েমের জন্য যে গুম-হত্যা করা হয়েছে তাদেট জীবন ফিরিয়ে দিতে হবে। তারপর আওয়ামী লীগ রাজনীতি করবে কি না সে সিদ্ধান্ত জনগণ নিবে।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন দিতে সেনাবাহিনীর ক্যান্টনমেন্ট হোক, সেনাবাহিনীর বড় কর্তা হোক বা আওয়ামী লীগের দোসর কোন রাজনৈতিক দল হোক তাদেরকে বিন্দু পরিমাণ ছাড় দেওয়া হবে না। আমরা জুলাই ভুলি নাই, আওয়ামী লীগের প্রশ্নে যদি জুলাইয়ের মতো আরও একটি বার মাঠে নামা লাগে তাহলে দল-মত নির্বিশেষে আবারও আমরা এক থাকবো ইনশাআল্লাহ।
আরেক সমন্বয়ক মেহেদী সজীব বলেন, 'আমি দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে বলতে চাই, যেদিন আবু সাঈদের রক্তে রংপুরের জমিন লাল হয়েছে, সেদিনই আওয়ামী লীগ রাজনীতি করার অধিকার হারিয়েছে। একটি রাজনৈতিক দল যখন রাজনীতি বাদ দিয়ে গণহত্যা, গুম, খুন ও ত্রাসের রাজনীতিতে মেতে উঠে, তখন সেটাকে নাৎসি পার্টি হিসেবে নিষিদ্ধ করা ছাড়া আর কোনো উপায় থাকতে পারে না। আওয়ামী লীগের দোসর হিসেবে এই বাংলার মাটিতে শুধু জলপাই কালারের কেউ নয়, কোনো রাজনৈতিক দল আবির্ভাব হয়, আমরা ছাত্র-জনতা কোনোভাবেই এটি বরদাস্ত করব না। জুলাইয়ের দুইহাজার শহীদের রক্তের সঙ্গে আমরা বেঈমানি করতে পারি না। অন্তর্বর্তী সরকারকে বলতে চাই, আওয়ামী লীগ প্রশ্নে বিন্দুমাত্র ছাড় দিতে রাজি নয়, অবিলম্বে তাদের বিচার নিশ্চিত করুন।'
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন রাবির সমন্বয়ক মাহায়ের ইসলামের সঞ্চালনায় এসময় বিশ্ববিদ্যালয় ও আশেপাশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দুইশতাধিক শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
এমএসএম / এমএসএম
জকসু নিয়ে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য পদপ্রার্থী অবন্তির ভাবনা
জকসু নিয়ে কেন্দ্রীয় পাঠাগার ও সেমিনার সম্পাদক পদপ্রার্থী ইমনের ভাবনা
ছাত্রদলের উদ্যোগে সুবিধাবঞ্চিত ও ছিন্নমূল শিশুদের সাপ্তাহিক স্কুল উদ্বোধন
শেকৃবিতে নিয়োগে আওয়ামী পুনর্বাসন, এলাকাপ্রীতি ও অর্থ লেনদেনের অভিযোগ
উত্তরায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন
জকসুতে কার্যনির্বাহী সদস্য পদে নির্বাচন করবে সাংবাদিক সম্পদ
দীর্ঘ তিন যুগ পর জাবিতে ইসলামী ছাত্রশিবিরের মিছিল
জকসু নির্বাচন: ছাত্রশিবিরের ‘অদম্য জবিয়ান ঐক্য’ প্যানেল ঘোষণা
জকসু নির্বাচন: ছাত্রদল সমর্থিত "ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান" প্যানেল ঘোষণা,
এইচএসসির খাতা পুনঃনিরীক্ষণের ফল প্রকাশ
বাকৃবিতে প্রিসিশন ব্রিডিং-ভিত্তিক দুগ্ধ উৎপাদন উন্নয়ন বিষয়ক কর্মশালা
স্কুলে ভর্তিতে ৬৩ শতাংশই কোটা, অভিভাবকদের আপত্তি