১৬টি নির্দেশনার মধ্যে দিয়ে খুলে দেওয়া হলো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

দীর্ঘ দেড় বছর পর আজ প্রথম দিন স্কুল-কলেজের প্রথম-ক্লাস। আজ রবিবার প্রথম দিনটা কেটেছে এক ধরনের আনন্দের,এবং স্বাস্থ্যবিধি পালনসহ শিক্ষার্থীদের সতর্কতামূলক কার্যক্রমে। অনেকটা নতুন বছরের আমেজ নিয়ে বছরের শেষ প্রান্তে এসে শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করলো শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা। সরকার ঘোষিত নানা বিধিনিষেধ আর নিয়ম কানুন মেনে প্রথম দিনের পাঠদান চলে আজ।
রবিবার সকাল থেকে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বেঙ্গলি মিডিয়াম হাই স্কুল, ঢাকা স্টেট কলেজ, মোহাম্মদপুর উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়, রায়ের বাজার হাইস্কুল, বেগম শরীফা মেমরিয়াল স্কুলসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঘুরে দেখা যায়, সকালে নির্ধারিত সময়ের আগে থেকেই শিক্ষার্থীরা স্কুল-কলেজে আসতে শুরু করে। সবার মুখে মাস্ক, গায়ে নতুন ড্রেস সঙ্গে উদ্বিগ্ন অভিভাবক। শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানাতে আগে থেকেই প্রস্তুত ছিলেন শিক্ষকরা। দীর্ঘদিন পরে শিক্ষার্থীদের আনন্দিত দেখা যায়।
আবার অনেক স্কুল শিক্ষকরা ফুল দিয়ে ছাত্রছাত্রীদের উৎসাহিত করেন,এবং আগের মত প্রতিদিন স্কুলে আসার আহবান করে স্কুল শিক্ষকরা।
মোহাম্মাদপুরে ঢাকা স্টেট কলেজে সকাল ৮টা ১০ মিনিটে প্রবেশ করে দেখা যায়, স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষার্থীরা বসেছে নিজ নিজ আসনে। যার যার আসনে দাঁড়িয়ে জাতীয় সঙ্গীত গেয়ে ক্লাস শুরু করে তারা। সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী কলেজের প্রথব বর্ষের ক্লাস সকাল ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত। এই সময়ে তাদের দুটি করে সাবজেক্ট নেয়া হবে। আবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে ১২টা পর্যন্ত দ্বিতীয় বর্ষের দুটি ক্লাস নেয়া হবে।
এ বিষয়ে স্টেট কলেজের অধ্যক্ষ আফরোজা সুলতানা সকালের সময় কে বলেন, দীর্ঘদিন স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকার পর আজ সরাসরি শিক্ষার্থীদের ক্লাস নিতে পারছি, এটা আমাদের জন্য আনন্দের। আমরা সরকারের নির্দেশনা শতভাগ বাস্তবায়ন করে ক্লাস নেয়ার ব্যবস্থা করেছি। আমাদের শতভাগ শিক্ষক উপস্থিত থাকলেও শিক্ষার্থী উপস্থিতির সংখ্যা কম। তবে আমরা শিক্ষার্থী ফেরাতে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করার ব্যবস্থা গ্রহণ করছি।
কলেজ পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অভিভাবকদের ভিড় দেখা না গেলেও উল্টো চিত্র প্রথমিক স্কুলগুলোতে। দীর্ঘদিন পরে সন্তানকে বিদ্যালয়ে দিতে এসেছেন বাবা-মা, কিছুটা চিন্তিত দেখা গেছে এসব অভিভাবক দের,কারণ করোনার তান্ডব মনে পরলে এখন মনে ভয় জেগে ওঠে। তারপরও অভিভাবকরা বলেন দীর্ঘদিন পরে স্কুল খোলায় তারা খুশি। তারা বলেন, স্কুল থেকে সপ্তাহে একদিন করে ক্লাস হওয়ার কথা জানিয়েছে। বাচ্চারা দীর্ঘদিন বাসায় থেকে পড়াশোনার অনেক ক্ষতি হয়েছে। আশা করছি দ্রুত এই ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে শিক্ষকরা সহযোগিতা করবেন।
মোহাম্মদপুর সরকারি প্রাথমি স্কুলের প্রধানশিক্ষক মিজানুর রহমান বলেন, সরকার নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধি শতভাগ প্রতিপালনের জন্য আমরা বদ্ধপরিকর। গতকাল পুরো স্কুল পরিষ্কার করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের জন্য শতভাগ উপযোগী পরিবেশ তৈরি করা হয়েছে। শ্রেণিকক্ষ প্রস্তুত আছে। সেখানে সামাজিক দূরত্ব মেনে যেন শিক্ষার্থীরা বসতে পারে এবং বসে আমরা সেটি নিশ্চিত করছি।
তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যবিধির প্রতি খেয়াল রাখতে স্কুলগেটের ভেতরে কোনো অভিভাবককে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। পাশাপাশি গেটের সামনেও কোনো হকারকে দাড়াতে দেওয়া হচ্ছে না। এছাড়া স্কুলের ভেতরে আইসোলেশন রুম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। হঠাৎ কোনো শিক্ষার্থী অসুস্থ হলে তাকে এখানে এনে প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান শিক্ষক মিজানুর রহমান।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রেঃ বলেন কোভিড-১৯ মহামারির কারণে ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে সারাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে সরকার। বেশ কয়েক বার উদ্যোগ নিলেও কোভিড-১৯ এর উচ্চ সংক্রমণের কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা সম্ভব হয়নি। বর্তমানে সংক্রমণ কম থাকায় ১৬টি নির্দেশনা দিয়ে খুলে দেওয়া হলো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
এমএসএম / এমএসএম

কৃষক লীগ নেতা মোজাজ্জেল ঢালী এখন স্বেচ্ছাসেবক দলে পদ পেতে মরিয়া

আশুলিয়াকে "উচ্চ শিক্ষা নগরী" গড়তে পাঁচ বিশ্ববিদ্যালয়ের একসাথে পথচলা

কোতোয়ালী থানা প্রেসক্লাবের জাঁকজমকপূর্ণ উদ্বোধন: সাংবাদিক সমাজে আনন্দ ও উচ্ছ্বাস

মেহনতী ও শ্রমজীবী মানুষের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

রাজপথের নির্ভীক সৈনিক আব্বাস আলী: জয়পুরহাট-২ এ পরিবর্তনের প্রত্যাশা

ইসলামী ক্যাটাগরিতে সেরা অভিনেতার সম্মাননা পেলেন শিশু শিল্পী নাহিদুল ইসলাম

গঠনতন্ত্র ও আরপিও অনুযায়ী কাউন্সিলে নির্বাচিত বৈধ নেতৃত্ব লাঙ্গল প্রতীকের মালিক

মাদকবিরোধী অভিযান, ব্যাপক পরিবর্তন গেন্ডারিয়া এলাকায়

জেএসএস এর নবনির্বাচিত যুগ্ম মহাসচিব শোয়েব রহমান

শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

রুহুল আমিন গাজীর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

মন্দির পরিদর্শনে ঢাকা গেন্ডারিয়া থানার ওসি, পূজাকে ঘিরে কড়া নিরাপত্তার আশ্বাস
