ঢাকা রবিবার, ২৪ আগস্ট, ২০২৫

যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন আরও কঠোর করার পরিকল্পনা ট্রাম্প প্রশাসনের


আন্তর্জাতিক ডেস্ক  photo আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৭-৭-২০২৫ দুপুর ১২:৪৮

যুক্তরাষ্ট্রে বৈধ অভিবাসনের নিয়ম আরও কঠোর করার পরিকল্পনা করছে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন। এর অংশ হিসেবে নাগরিকত্ব পরীক্ষাকে আরও কঠিন করার পাশাপাশি এইচ-১বি ভিসা ব্যবস্থায় পরিবর্তন এনে উচ্চ বেতনের চাকরিদাতাদের অগ্রাধিকার দেওয়ার প্রস্তাব এসেছে।

এসব তথ্য জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব ও অভিবাসন সংস্থার (ইউএসসিআইএস) পরিচালক জোসেফ এডলো। শনিবার (২৬ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম দ্য নিউইয়র্ক টাইমস-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এডলো বলেন, “বর্তমানে (নাগরিকত্ব পাওয়ার) পরীক্ষাটি খুব কঠিন নয়। খুব সহজেই উত্তর মুখস্থ করে পাস করা যায়। এতে আমরা প্রকৃত আইনের চেতনাকে অনুসরণ করছি না বলেই মনে হয়।”

তিনি জানান, তার সংস্থা ২০২০ সালে ট্রাম্প প্রশাসনের প্রথম মেয়াদে চালু হওয়া সংস্করণটি আবার চালুর কথা ভাবছে, যেখানে আরও বেশি প্রশ্ন এবং কঠিন শর্ত ছিল।

এছাড়া এইচ-১বি ভিসা সংস্কারের বিষয়েও এডলো মত দিয়েছেন। বর্তমানে প্রতি বছর ৮৫ হাজার বিদেশি পেশাজীবীকে এই ভিসা দেওয়া হয়। নতুন প্রস্তাব অনুযায়ী, উচ্চ বেতনের প্রার্থীদের অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে।

এডলো বলেন, “এইচ-১বি ব্যবস্থার মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত মার্কিন ব্যবসা, অর্থনীতি এবং কর্মীদের সহায়তা করা। এমনটা না যে তাদের জায়গা দখল করে নেওয়া।”

এদিকে এই পরিবর্তনের ফলে তরুণ ও উচ্চ শিক্ষিত অভিবাসীরা যুক্তরাষ্ট্রে সুযোগ হারাতে পারেন বলে সতর্ক করেছেন বিশ্লেষকেরা।

ক্যাটো ইনস্টিটিউটের অভিবাসন গবেষণা পরিচালক ডেভিড বিঅর নিউজউইক-কে বলেন, “শুধু উচ্চ বেতনের চাকরির ভিত্তিতে এইচ-১বি ভিসা দেওয়া হলে মূলত বয়স্ক কর্মীরাই অগ্রাধিকার পাবেন, যারা হয়তো শিগগিরই অবসর নেবেন বা দেশ ছেড়ে চলে যাবেন।”

তিনি আরও বলেন, “এই পরীক্ষাকে সহজ বলা বিস্ময়কর, কারণ বেশিরভাগ আমেরিকানই তা পাস করতে পারবেন না।”

এদিকে দেশটির স্বরাষ্ট্র নিরাপত্তা বিভাগও এইচ-১বি ভিসা নির্বাচনের লটারিভিত্তিক পদ্ধতি বাতিল করে বেতনের ভিত্তিতে পরিমাপের একটি নতুন পদ্ধতি চালুর প্রস্তাব বিবেচনা করছে। ইনস্টিটিউট ফর প্রোগ্রেস-এর মতো সংস্থা বলছে, এতে এইচ-১বি কর্মসূচির অর্থনৈতিক প্রভাব প্রায় ৮৮ শতাংশ বাড়তে পারে।

অবশ্য অভিবাসন বিষয়ে কড়া অবস্থানে থাকা কিছু রিপাবলিকানদের সমালোচনার মধ্যেও এডলো বৈধ অভিবাসনের পক্ষে অবস্থান জানিয়েছেন, আর সেটি মূলত যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থে কাজ করে এমন অভিবাসীদের জন্য।

তিনি বলেন, “এটা অবশ্যই মোটের ওপর ইতিবাচক হওয়া উচিত। আমরা যদি দেখি কেউ অর্থনৈতিক লক্ষ্য অর্জনে ভূমিকা রাখতে পারে, তাহলে তাকে গুরুত্ব দেওয়া উচিত।”

তবে নাগরিকত্ব পরীক্ষা বা ভিসা ব্যবস্থায় বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে হলে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস বা অন্যান্য ফেডারেল সংস্থার অনুমোদন প্রয়োজন হবে। বর্তমানে এসব বিষয়ে দুই দলের মধ্যে আলোচনাই চলছে।

এমএসএম / এমএসএম

বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতামূলক সম্পর্ক গড়তে আগ্রহী পাকিস্তান

ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা: বাংলাদেশ পুলিশের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা আটক

ইউক্রেনকে রাশিয়ার ভেতরে হামলায় নিষেধাজ্ঞা দিলো পেন্টাগন

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত আরও ৬৩, অনাহারে মৃত্যু ৮ জনের

ক্যামেরুন সীমান্তের কাছে নাইজেরিয়ার বিমান হামলা, নিহত অন্তত ৩৫

চীনকে নজরে রাখতে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা বাড়াচ্ছে জাপান

আইসিইউতে শ্রীলঙ্কার সাবেক প্রেসিডেন্ট বিক্রমাসিংহে

২০২৬ বিশ্বকাপ ফুটবলের ড্র’র তারিখ ঘোষণা করলেন ট্রাম্প

নিজের ‘কাছের মানুষ’কে ভারতের রাষ্ট্রদূত করলেন ট্রাম্প

ভারতে ফের মেঘভাঙা বৃষ্টিতে ধসে গেল ঘরবাড়ি-রাস্তা

৫০০ মিলিয়ন ডলার জরিমানা থেকে রেহাই পেলেন ট্রাম্প

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় সাহায্যপ্রার্থীসহ নিহত আরও ৫০ ফিলিস্তিনি

আকারে বড় হচ্ছে হারিকেন অ্যারিন