ঢাকা রবিবার, ২৪ আগস্ট, ২০২৫

রাশিয়া বিশাল এক শক্তি, ইউক্রেনের উচিত সমঝোতা করা: ট্রাম্প


আন্তর্জাতিক ডেস্ক  photo আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৭-৮-২০২৫ দুপুর ১১:৩৪

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মন্তব্য করেছেন যে ইউক্রেনের উচিত রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ বন্ধে সমঝোতায় আসা, কারণ “রাশিয়া একটি বিশাল শক্তি, আর তারা (ইউক্রেন) তা নয়”। এর আগে শোনা গিয়েছিল যে আলাস্কায় এক বৈঠকে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনের কাছ থেকে আরও ভূখণ্ড দাবি করেছেন। রোববার (১৭ আগস্ট) এই তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

শুক্রবার বৈঠকের পর ট্রাম্প ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে জানান, পুতিন যুদ্ধবিরতি মানতে রাজি আছেন, যদি কিয়েভ পুরো দোনেৎস্ক অঞ্চল ছেড়ে দেয়। একটি সূত্র জানায়, জেলেনস্কি এই দাবি সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছেন। রাশিয়া ইতোমধ্যে ইউক্রেনের এক-পঞ্চমাংশ দখল করে নিয়েছে, যার মধ্যে দোনেৎস্কের প্রায় তিন-চতুর্থাংশ এলাকাও রয়েছে।

ট্রাম্প বলেন, তিনি পুতিনের সঙ্গে একমত হয়েছেন যে, যুদ্ধ বন্ধে শুধু যুদ্ধবিরতি নয়, বরং একটি সরাসরি শান্তিচুক্তি প্রয়োজন। তিনি বলেন, “সবাই মেনে নিয়েছে, ভয়াবহ এই যুদ্ধ থামানোর সেরা উপায় হচ্ছে একটি স্থায়ী শান্তিচুক্তি, কারণ যুদ্ধবিরতি প্রায়ই টেকে না।”

অন্যদিকে জেলেনস্কি বলেছেন, রাশিয়া যুদ্ধ থামাতে অনিচ্ছুক হওয়ায় স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার পথে বাধা সৃষ্টি হচ্ছে। তিনি লিখেছেন, “হত্যাযজ্ঞ থামানোই যুদ্ধ থামানোর মূল শর্ত”। তবুও তিনি সোমবার ওয়াশিংটনে ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন।

অনেক বিশ্লেষক মনে করেন, এই বৈঠক গত ফেব্রুয়ারির ঘটনাকে মনে করিয়ে দিচ্ছে, যখন হোয়াইট হাউসে ট্রাম্প ও ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স প্রকাশ্যে জেলেনস্কিকে কঠোর ভাষায় সমালোচনা করেছিলেন। ট্রাম্প জানিয়েছেন, ভবিষ্যতে পুতিনকে নিয়ে তিন পক্ষের বৈঠকও হতে পারে।

ইউরোপীয় মিত্ররা ট্রাম্পের মধ্যস্থতার প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানিয়েছে, তবে তারা ইউক্রেনকে সমর্থন অব্যাহত রাখার পাশাপাশি রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরও কঠোর করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোহান ভাডেফুল জানিয়েছেন, সোমবারের বৈঠকে ইউরোপীয় নেতারাও যোগ দিতে পারেন।

ফক্স নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প জানান, তিনি ও পুতিন ভূখণ্ড হস্তান্তর এবং ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিশ্চয়তা নিয়ে আলোচনা করেছেন এবং “মূলত একমত” হয়েছেন। তিনি বলেন, “আমরা চুক্তির বেশ কাছাকাছি। তবে ইউক্রেনকে এতে রাজি হতে হবে।” প্রশ্ন করা হলে ট্রাম্প বলেন, জেলেনস্কির উচিত সমঝোতায় যাওয়া। কারণ “রাশিয়া একটি বড় শক্তি, আর তারা নয়”।

জেলেনস্কি বারবার বলেছেন যে, সংবিধান পরিবর্তন ছাড়া ইউক্রেন কোনো ভূখণ্ড ছাড়তে পারবে না। তিনি দোনেৎস্কের স্লোভিয়ানস্ক ও ক্রামাতোরস্কের মতো শহরগুলোকে রাশিয়ার অগ্রযাত্রা ঠেকানোর ঢাল হিসেবে দেখেন। তিনি আরও জানিয়েছেন, যুদ্ধ পরবর্তী স্থায়ী শান্তির জন্য ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিশ্চয়তা অপরিহার্য। ট্রাম্প এ বিষয়ে “ইতিবাচক সংকেত” দিয়েছেন বলে জেলেনস্কি জানান।

কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি বলেছেন, ইউক্রেনের জন্য নিরাপত্তা নিশ্চয়তা অত্যন্ত জরুরি এবং ন্যায়সঙ্গত শান্তিচুক্তির জন্য তা অপরিহার্য। অন্যদিকে পুতিনও বলেছেন, ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিশ্চয়তা দিতে হবে, যদিও তিনি বিদেশি সেনা জড়িত থাকার বিরোধী।

Aminur / এমএসএম

চীনকে নজরে রাখতে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা বাড়াচ্ছে জাপান

আইসিইউতে শ্রীলঙ্কার সাবেক প্রেসিডেন্ট বিক্রমাসিংহে

২০২৬ বিশ্বকাপ ফুটবলের ড্র’র তারিখ ঘোষণা করলেন ট্রাম্প

নিজের ‘কাছের মানুষ’কে ভারতের রাষ্ট্রদূত করলেন ট্রাম্প

ভারতে ফের মেঘভাঙা বৃষ্টিতে ধসে গেল ঘরবাড়ি-রাস্তা

৫০০ মিলিয়ন ডলার জরিমানা থেকে রেহাই পেলেন ট্রাম্প

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় সাহায্যপ্রার্থীসহ নিহত আরও ৫০ ফিলিস্তিনি

আকারে বড় হচ্ছে হারিকেন অ্যারিন

জামিন পেলেন ইমরান খান

গাজা সিটি দখলে হামলা শুরু করল ইসরায়েল, নিহত আরও ৮১

চীন-ভারত সীমান্ত বিরোধ মেটাতে দিল্লির বৈঠকে কী আলোচনা হলো?

নিজ বাসভবনে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর ওপর হামলা, গ্রেপ্তার ১

আফগানিস্তানে ট্রাক-মোটরসাইকেল-বাস সংঘর্ষে নিহত ৭১