জান্নাতে প্রবেশের সহজতর আমল

আমাদের পার্থিব জীবন মূলত পরকালে জান্নাতের ভুবন সাজানোর জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে একটি সুযোগ। এখানকার ছোট ও সাধারণ আমলও পরকালে অসামান্য হয়ে ফেরত আসবে। মানুষ যেন জান্নাতের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ ও সমৃদ্ধ করতে পারে, সে জন্য আল্লাহ ছড়িয়ে দিয়েছেন সহজ কিছু আমল। মুমিনের কয়েক সেকেন্ডের আমলের বিনিময়ে তিনি তাদের জন্য জান্নাতকে সাজিয়ে তোলেন। রাসুল (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি একবার বলে ‘সুবহানাল্লাহিল আজিম ওয়াবিহামদিহি’, তার জন্য জান্নাতে একটি খেজুরগাছ লাগানো হয় (তিরমিজি : ৩৪৬৪)। ছোট এই বাক্যটি পড়তে মাত্র তিন সেকেন্ডের কম সময় লাগে। কিন্তু আল্লাহ এতই মহান যে তিনি এর বিনিময়ে তাঁর প্রিয় বান্দার জন্য জান্নাতে খেজুরগাছ লাগিয়ে দেন। এমন ছোট অনেক আমলের মাধ্যমে বান্দা জান্নাতের মেহমান হওয়ার সৌভাগ্য লাভ করতে পারে।
হজরত আবু উমামাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি প্রতি ফরজ নামাজের পর আয়াতুল কুরসি পড়বে তাকে মৃত্যু ছাড়া আর কোনো কিছু জান্নাতে যেতে বাধা দিতে পারবে না (তাবরানি : ৭৫৩২; সহিহুল জামে : ৬৪৬৪)। প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর একবার আয়াতুল কুরসি পড়তে ১৫ সেকেন্ডের বেশি সময় লাগার কথা নয়। আল্লাহ এতই মহান যে তিনি তাঁর বান্দার মাত্র ১৫ সেকেন্ডের আমলের বিনিময়ে তাকে জান্নাতের মেহমান বানিয়ে নেন।
কিন্তু আমরা সবাই জানি যে যাদের অন্তরে শিরকের বিষ থাকবে মহান আল্লাহ তাদের জান্নাতে প্রবেশ করাবেন না। রাসুল (সা.) তাঁর সাহাবিদের এমন একটি দোয়া শিক্ষা দিয়েছেন, যে আমলটি করতে মাত্র কয়েক সেকেন্ড প্রয়োজন হয়। হজরত মাকিল ইবনে ইয়াসার (রা.) থেকে বর্ণিত, আমি আবু বকর সিদ্দিক (রা.)-এর সঙ্গে নবী (সা.)-এর কাছে গেলাম। তিনি বলেন, হে আবু বকর, নিশ্চয়ই শিরক পিপীলিকার পদচারণ থেকেও সন্তর্পণে তোমাদের মধ্যে লুকিয়ে থাকে। আবু বকর (রা.) বলেন, কারও আল্লাহর সঙ্গে অপর কিছুকে ইলাহরূপে গণ্য করা ছাড়াও কি শিরক আছে? নবী (সা.) বলেন, সেই সত্তার শপথ, যাঁর হাতে আমার প্রাণ!
শিরক পিপীলিকার পদধ্বনির চেয়েও সূক্ষ্ম। আমি কি তোমাকে এমন কিছু দোয়া শিখিয়ে দেব, যা পাঠ করলে তুমি শিরক থেকে রক্ষা পাবে। তিনি বলেন, তুমি বলো, ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা আন উশরিকা বিকা ওয়া আনা আ-লামু, ওয়া আসতাগফিরুকা লিমা লা আ-লামু, অর্থাৎ হে আল্লাহ, আমি সজ্ঞানে তোমার সঙ্গে শিরক করা থেকে তোমার কাছে আশ্রয় চাই এবং যা আমার অজ্ঞাত তা থেকেও তোমার কাছে ক্ষমা চাই।’ (আদবুল মুফরাদ : ৭২১)
এ ছাড়া আরেকটি এমন আমল আছে, যার মাধ্যমে কয়েক সেকেন্ডে সব কবিরা গুনাহ থেকে পবিত্র হওয়া যায়। হজরত জায়েদ (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি নবী (সা.)-কে বলতে শুনেছেন, যে লোক বলে, ‘আসতাগফিরুল্লাহাল আজিম আল্লাজি লা ইলাহা ইল্লা হুয়াল হাইয়্যুল কাইয়ুমু ওয়া আতুবু ইলাইহি, অর্থাৎ আল্লাহ তায়ালার কাছে আমি ক্ষমা চাই, যিনি ছাড়া কোনো মাবুদ নেই, যিনি চিরজীবী, চিরস্থায়ী এবং আমি তার কাছে তওবা করি।’ তাকে ক্ষমা করে দেওয়া হয়, যদিও সে রণক্ষেত্র থেকে পলায়ন করে থাকে। (তিরমিজি : ৩৫৭৭)
Aminur / Aminur

ইবাদতের জন্য স্বাস্থ্যসচেতনতা জরুরি

জান্নাতে প্রবেশের সহজতর আমল

অমুসলিমদের কি মসজিদে প্রবেশ নিষেধ?

মেহমানকে সম্মান দিলে নিজের সম্মান

জীবনের অনিশ্চয়তা কাটবে যেভাবে

আল্লাহর রহমত পায় যারা

পাপের সূচনা হয় যেভাবে

ঈমান ও কুফর নির্ণয় হয় নামাজে

ইসলামী বইমেলার সময় বাড়ল

নারীদের জ্ঞানচর্চায় ইসলামের তাগিদ

হৃদয়-হৃদ্যতার সেতুবন্ধ হাদিয়া

অবৈধ প্রেম-ভালোবাসা থেকে মুক্তির উপায়
