রাজধানীর রায়েরবাজারে অপ্রতিরোধ্য কিশোর গ্যাং

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের রায়েরবাজারে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে কিশোর গ্যাং গ্রুপের দফায় দফায় পাল্টাপাল্টি কোপাকুপির ঘটনা ঘটছে প্রতিদিনই। স্থানীয় বাসিন্দা, সাধারণ মানুষসহ আক্রমণের শিকার হচ্ছেন অনেকেই। মোহাম্মদপুরের রায়েরবাজারের আজিজ খান রোড, মেকাব খান রোড, বলদপট্টি ক্যান্সার গলি, গিরিপ গলি; বিভিন্ন নামের এসব গলিতে রয়েছে নামে-বেনামে সক্রিয় ২০ থেকে ২৫টি কিশোর গ্যাং গ্রুপ, যারা প্রকাশ্যে মাদক ব্যবসা পরিচালনা করা এবং এক গ্রুপ আরেক গ্রুপের মধ্যে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে নেটওয়ার্ক শক্তিশালী করে গড়ে তোলা।
জানা যায়, গত ২২ সেপ্টেম্বর রায়ের বাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ প্রদীপ সরকার তেজগাঁও থানায় পোস্টিং হন। ওই রাত থেকে শুরু হয় মাদক সিন্ডিকেটের গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া০পাল্টা ধাওয়া। ওই রাতেই কাল্লু ও নয়ন নামে দুজন আক্রমণের শিকার হয়। অবস্তা আশংকাজনক হওয়ায় দ্রুত তাদের হাসপাতালে নেয়া হয়। গোপন সূত্রে জানা গেছে, কাল্লুকে আক্রমণকারী গ্রুপটি শক্তিশালী মাদক সিন্ডিকেট পিচ্চি সুমনের বাহিনী।
কাল্লুর ওপর হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে তার মা রানু বেগম বলেন, রায়েরবাজার ফাঁড়ির ইনচার্জ প্রদীপ সরকার আমার ছেলে কাল্লুর কাছ থেকে খোঁজখবর নিতেন। মাদক ব্যবসায়ী পিচ্চি সুমনকে ধরিয়ে দিতে কাল্লু তাকে সব ধরনের সহযোগিতা করত। তাই এই হামলা হয়েছে বলে আমার মনে হয়। এ বিষয়ে মোহাম্মাদপুর থানায় গত ২৮ সেপ্টেম্বর আমি একটি মামলা করেছি। কিন্তু ওই মামালায় এখন পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি। আমার বাসায় এর আগে অনেকবার হামলা হয়েছে, তাই সরকারের কাছে আমি এর বিচার চাই। তিনি আরো বলেন, আমি একজন আওয়ামী লীগের সক্রিয় কর্মী।
কাল্লুর কাছে জানতে চাইলে তিনি সকালের সময়কে বলেন, গত ২২ সেপ্টেম্বর রাত ১০টার দিকে ১৫ থেকে ২০ জনের একটি দল তাকে আজিজ খান রোডের গিরিপ গলিতে গতিরোধ করে আটকায়। এ সময় ফজলে রাব্বি, রিদয় ওরফে ঢাইল্লা হৃদয়, দাঁত ভাঙ্গা সোহাগের নেতৃত্বে আমাকে এলোপাতাড়ি কোপানো শুরু করে। তারা তার হাতের রগ কেটে দেয় এবং হাত, পিঠে ও পায়সহ সব জায়গায় দেখা যায় কোপের বড় বড় ক্ষতচিহ্ন। এ সময় তারা তাকে বলে, যা তর বাবা এসআই প্রদীপকে নিয়ে আয়।
গতকাল শুক্রবার (১ অক্টোবর) বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত দফায় দফায় আজিজ খান রোড ও বলদপট্টির মোড়ে কয়েকটি গ্রুপের মধ্যে ধারালো অস্ত্র রামদা নিয়ে প্রকাশ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক আলু ব্যবসায়ী জানান, এখানে নিম্নআয়ের মানুষের বসবাস। অসংখ্য বস্তিতে প্রায় সময়ই রামদা নিয়ে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া দেখা যায়। পুলিশ শুনলে ভয় আসে না, অনেক সময় পুলিশের ওপরও হামলা চালায় এরা। এর আগে একবার তার ওপরও হামলা হয়েছে। ওদের অনেক ক্ষমতা। থানা পুলিশ ওরা ভয় পায় না, কেউ ওদের বিরুদ্ধে কথা বলে না। ওরা বাড়িঘর, দোকানপাটে হামলা চালায়। ওদের কোনো বিচার হয় না তাই ভয়ে আমরা মুখ খুলি না। মুখ খুললে আমাদের ওপর হামলা চালাবে। সব ছোটো ছোটো পোলাপান, সব সময় ইয়াবা-হেরোইন-গাঁজা সব নেশা বিক্রি করে আর রাস্তায় বসেই খায়। কেউ কিছু বলার সাহস পায় না।
এ বিষয়ে মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লতিফের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
স্থানীয়রা জানান শুক্রবার (১ অক্টোবর) আনুমানিক সন্ধ্যা ৭টার দিকে একদল সন্ত্রাসী দোকানপাট ভাংচুরসহ সাধারণ মানুষের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় এলোপাতাড়ি কুপিয়ে লোহার পাইপ দিয়ে পিটিয়ে একজনকে যখম করে চলে যায় সন্ত্রাসী গ্রুপের সদস্যরা। পরে স্থানীয়রা দোকান বন্ধ করে নিজেদের বাঁচাতে তাদের বিরুদ্ধে লাঠি নিয়ে অবস্থান নেন। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ এলে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হয়। এলাকাটি দিন দিন এতটাই মাদক এবং সন্ত্রাসীকবলিত এলাকা হয়ে উঠেছে যে, পুলিশ সদস্যদের দেখেও তাদের ভেতর কোনো ভয় সৃষ্টি হয় না।
এমএসএম / জামান

কৃষক লীগ নেতা মোজাজ্জেল ঢালী এখন স্বেচ্ছাসেবক দলে পদ পেতে মরিয়া

আশুলিয়াকে "উচ্চ শিক্ষা নগরী" গড়তে পাঁচ বিশ্ববিদ্যালয়ের একসাথে পথচলা

কোতোয়ালী থানা প্রেসক্লাবের জাঁকজমকপূর্ণ উদ্বোধন: সাংবাদিক সমাজে আনন্দ ও উচ্ছ্বাস

মেহনতী ও শ্রমজীবী মানুষের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

রাজপথের নির্ভীক সৈনিক আব্বাস আলী: জয়পুরহাট-২ এ পরিবর্তনের প্রত্যাশা

ইসলামী ক্যাটাগরিতে সেরা অভিনেতার সম্মাননা পেলেন শিশু শিল্পী নাহিদুল ইসলাম

গঠনতন্ত্র ও আরপিও অনুযায়ী কাউন্সিলে নির্বাচিত বৈধ নেতৃত্ব লাঙ্গল প্রতীকের মালিক

মাদকবিরোধী অভিযান, ব্যাপক পরিবর্তন গেন্ডারিয়া এলাকায়

জেএসএস এর নবনির্বাচিত যুগ্ম মহাসচিব শোয়েব রহমান

শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

রুহুল আমিন গাজীর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

মন্দির পরিদর্শনে ঢাকা গেন্ডারিয়া থানার ওসি, পূজাকে ঘিরে কড়া নিরাপত্তার আশ্বাস
