রাজশাহীতে বিশ্বমানের আরেকটি ফোর লেন রাস্তার উদ্বোধন করলেন মেয়র লিটন

 

৪ দশমিক ১৭ কিলোমিটার অযান্ত্রিক যানবাহন লেনসহ চার লেন সড়কের নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ৬৯ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। সড়কটি প্রস্থ হবে ৮০ ফুট। ফোর লেনের সড়ক ছাড়াও দুই লেনের অযান্ত্রিক যানবাহন লেন, সড়ক বিভাজক ও দুপাশে ড্রেন ও ফুটপাথ নির্মাণ করা হবে। সড়কটির সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে সবুজায়ন করা হবে। এরই মাধ্যমে বতর্মান খানাখন্দে ভরা সড়কটি বিশ্বমানের একটি সড়কে পরিণত হবে। দুর্ভোগের পরির্বতে স্বাচ্ছন্দ্যে চলাচল করতে পারবেন নগরাবাসী। সড়কটি নির্মাণে অত্র এলাকার আর্থসামাজিক অবস্থার আমূল পরিবর্তন ঘটবে।  

 

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ভদ্রা রেলক্রসিং হতে নওদাপাড়া বাস টার্মিনাল পর্যন্ত সড়কটি নির্মাণ করেছিল রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি নির্মাণের পরে দীর্ঘদিনেও সংস্কার করা হয়নি। ফলে এতদিন জনগণকে দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। এখন রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে সড়কটি পুনরায় নির্মাণ করা হচ্ছে। ফোর লেনের সড়ক ছাড়াও দুই লেনের অযান্ত্রিক যানবাহন লেন, সড়ক বিভাজক ও দুপাশে ড্রেন ও ফুটপাথ নির্মাণ করা হবে। ইউরোপ-আমেরিকার মতো বিশ্বমানের সড়ক এটি।

 

মেয়র আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা রাজশাহী মহানগরীর উন্নয়নে প্রায় তিন হাজার কোটি টাকার একটি প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছেন। প্রকল্পটির আওতায় নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়কসমূহ প্রশস্তকরণ ছাড়াও ৩০টি ওয়ার্ডের অলিগলির সকল রাস্তা ও ড্রেন নির্মাণসহ নানাবিধি অবকাঠামোর উন্নয়নকাজ চলমান আছে। ওয়ার্ড পর্যায়ে রাস্তার নির্মাণকাজ শেষ হলে নাগরিকদের অলিগলি থেকে রাজপথে চলাচলের পথ স্বাচ্ছন্দ্য হবে। করোনকালীন দীর্ঘ দেড় বছর সারাবিশ্বের মতো রাজশাহীতে উন্নয়নকাজ থেমেছিল। করোনা পরিস্থিতি কিছু স্বাভাবিক হওয়ায় এখন নগরীতে ব্যাপক উন্নয়ন শুরু হয়েছে। আগামী দুই বছরে আরো দেড় থেকে দুই হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প বরাদ্দ পাওয়া যাবে বলে আশা করছি।

 

এ সময় এলাকাবাসীর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ১৯নং ওয়ার্ডে একটি কবরস্থান নির্মাণের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন সিটি মেয়র।

 

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ১৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর তৌহিদুল হক সুমন। সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, মাননীয় মেয়র সিটি কর্পোরেশনের ৩০টি ওয়ার্ডেই ব্যাপক উন্নয়ন করছেন। ৩০টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৯নং ওয়ার্ড অধিক ঘনবসতিপূর্ণ। এই ওয়ার্ডের উন্নয়নে বেশি বরাদ্দ প্রদান করেছেন নগরপিতা। নগরপিতাকে ১৯নং ওয়ার্ডবাসীর পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

 

সভায় আরো বক্তব্য দেন প্রকল্প পরিচালক ও রাসিকের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী নূর ইসলাম তুষার। এ সময় নগর অবকাঠামো নির্মাণ ও সংরক্ষণ স্থায়ী কমিটির সভাপতি ২১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নিযাম উল আযিম, ১৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শাহাদত হোসেন শাহু, ১৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল মমিন, ১৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুস সোবহান লিটন, ১৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর বেলাল আহম্মেদ, ২৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর তরিকুল আলম পল্টু, ২৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনোয়ারুল আমিন আযব, ২৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আশরাফুল হাসান বাচ্চু, সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলর উম্মে সালমা বুলবুলি ও নাদিরা বেগম, শাহ মখদুম থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি সৈয়দ আখতারুল আলম, রাসিকের প্রধান প্রকৌশলী শরিফুল ইসলাম, প্রকল্পের ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যাডভাইজর আশরাফুল হক, মহানগর আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক ফিরোজ কবির সেন্টু, শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক ওমর শরীফ রাজিব, কার্যনির্বাহী সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহাবুদ্দিন, বাদশা শেখ, অ্যাডভেকেট শামসুন্নাহার মুক্তিসহ থানা ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, রাজশাহী মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি নূর মোহাম্মদ সিয়ামসহ স্থানীয় গণ্যমান্য বক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন রাসিকের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোস্তাফিজ মিশু।