এই জয় দেশের ক্রিকেটকেই বদলে দেবে : নান্নু
তামিম ও সাকিব ছাড়া সাদমান, শান্ত, মাহমুদুল হাসান জয়, ইয়াসির আলী রাব্বি, তাসকিন, একাদত আর শরিফুলের মত একঝাঁক তরুণ ও নবীনে গড়া বাংলাদেশ নিউজিল্যান্ডের মাটিতে গিয়ে ব্ল্যাক ক্যাপ্সদের এভাবে প্রতিদিন সব কটা সেশনে পূর্ণ প্রভাব বিস্তার করে এবং ব্যাটিং ও বোলিং দুই বিভাগে শ্রেয়তর পারফরমেন্স দেখিয়ে ৮ উইকেটে জিতে যাবে- তা ভাবেননি কেউই। তাই ক্রিকেট অনুরাগির পাশাপাশি দেশের মানুষের কাছে এ জয় যেন ‘মেঘ না চাইতেই এক পশলা ভারি বৃষ্টির মত।’
পুরো দেশ মুগ্ধ টাইগারদের অনন্য অসাধারণ নৈপুণ্যে। চারদিকে একটা উৎসবের আমেজ। ক্রিকেট বোর্ডে স্বস্তি। নির্বাচকরাও খানিক চাপমুক্ত। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর থেকেই জাতীয় দলকে নিয়েও অনেক কথা হয়েছে।
রাজ্যের সমালোচনার মুখে পড়েছেন ক্রিকেটাররা। কোচ, টিম ম্যানেজমেন্ট আর নির্বাচকরাও বাদ যাননি। নির্বাচকদের দল সাজানো আর ক্রিকেটার নির্বাচন নিয়েও অনেক তীর্যক কথাবার্তা শোনা গেছে।
এদিকে প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু আর হাবিবুল বাশার সুমনের চুক্তিও প্রায় শেষ। তারা আগামীতে থাকবেন কী থাকবেন না, তা নিয়েও আছে সংশয়। গুঞ্জন।
এদিকে আরেক জাতীয় ক্রিকেটার মোহাম্মদ আশরাফুলের সঙ্গে বাগযুদ্ধে অবতীর্ণ হয়ে গত ক’দিন ফোনও বন্ধ করে রেখেছিলেন প্রধান নির্বাচক। সব কিছু মিলে অন্যরকম চাপে ছিলেন তিনি। ভিতরে একটা বড় অস্বস্তিও ছিল।
এ জয় নিশ্চয় অনেক বড় স্বস্তির উপাদান। মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে মুমিনুল বাহিনীর এ অসামান্য সাফল্য নিয়ে কী ভাবছেন মিনহাজুল আবেদিন নান্নু? আজ বুধবার নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট জয়ের পর মুঠোফোন আলাপে নান্নু আর সুমন তাদের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন।
প্রধান নির্বাচক নান্নুর কথা, ‘নিউজিল্যান্ডের মাটিতে ব্ল্যাক ক্যাপ্সদের হারানো। ঐতিহাসিক, অবিস্মরণীয় যাই বলি না কেন, কম বলা হবে।’
নান্নুর অকপট স্বীকারোক্তি, ‘আমি কেন, কোন সময় কারো চিন্তাতেই আসেনি যে আমরা নিউজিল্যান্ডের মাটিতে গিয়ে তাদেরকে টেস্টে হারাবো। এটা ট্রিমেন্ডাস পারফরমেন্স। যত প্রশংসাই করিনা কেন, মনে হয় কম বলা হবে। ছেলেরা যেভাবে খেলেছে, অসাধারণ পারফরমেন্স। এক মুহূর্তের জন্য মনে হয়নি আমরা হারবো। অথচ, কখনো নিউজিল্যান্ডের মাটিতে গিয়ে একটি টেস্টও ড্র করতে পারিনি। প্রতিবার প্রতিম্যাচ হেরেছি। অথচ এই ম্যাচে এক মুহূর্তের জন্য মনে হয়নি তা। বরং নিউজিল্যান্ডই স্ট্রাগল করেছে। আমরা ডমিনেট করে গেছি।’
এই যে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে গিয়ে ব্যাটিং-বোলিং দুই বিভাগেই আগের যে কোন সময়ের চেয়ে বেটার পারফরমেন্স এবং ব্ল্যাক ক্যাপ্সদের ওপর প্রভাব বিস্তার করে টেস্ট জয়- এর পেছনের রহস্য কী? এ দলটি কোন জায়গায় বেশি ভাল খেললো, যাতে এমন অবিস্মরনীয় সাফল্য ধরা দিল?
নান্নুর অনুভব, ‘সন্মিলিত চেষ্টা। সবচেয়ে ইম্পরট্যান্ট হলো, টিমওয়ার্ক। পুরো দল এক হয়ে খেলেছে। ব্যাটিং-বোলিং দুই ডিপার্টমেন্টে সেইম স্ট্যান্ডার্টে মেন্টেইন করতে পেরেছে। মানে যেমন ব্যাটিং ভাল হয়েছে, তেমন বোলিংটাও হয়েছে দারুণ।’
প্রধান নির্বাচক মনে করেন, ব্যাটার ও বোলারদের চেষ্টা আর পারফরমেন্স এক ছিল বলেই ব্যাটিং আর বোলিংটা একই মানের হয়েছে। তিনি যোগ করেন, ‘বোলাররা, বিশেষ করে পেসাররা এক্সট্রা অর্ডিনারি পারফর্ম করেছে।’
দেশের মাটিতে স্পিনারদের ওপর ভর করে সাফল্যের দেখা মিললেও দেশের বাইরে টেস্ট জিততে হলে পেসারদের এগিয়ে আসা জরুরি। তাদেরকেই ম্যাচ নির্ধারণী ভূমিকা নিতে হবে। এ ম্যাচে এবাদত, তাসকিন আর শরিফুল এগিয়ে এসে দারুণভাবে সে প্রয়োজনীয় কাজটি করে দেখিয়েছেন।
তাতে খুব খুশি প্রধান নির্বাচক। তার ধারনা সেটাও জয়ের পিছনে রেখেছে গুরুত্বপূর্ণ অবদান। তাই মুখে এমন কথা নান্নুর, ‘আমরা সব সময় বলে আসছি, দেশের বাইরে টেস্ট জিততে হলে পেসারদের সামনে এগিয়ে আসতে হবে। তাদের কার্যকর ভূমিকা নিতে হবে। অবদান রাখতে হবে অনেক। তবেই সাফল্য ধরা দেবে। এ ম্যাচে প্রথমবারের মত আউটস্ট্যান্ডিং বোলিং করেছে।’
এনসিএলে এবাদত লং স্পেলে বোলিং করেছে প্রচুর। সেটাও কাজে দিয়েছে বলে মনে হয় নান্নুর। মাহমুদুল হাসান জয় রান করাতেও অন্যরকম ভাল লাগায় আচ্ছন্ন প্রধান নির্বাচক, ‘জয় যখন অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে সেঞ্চুরি করলো, তখনই আমি আর সুমন (অপর নির্বাচক হাবিবুল বাশার) মনে করেছিলাম, ছেলেটার মাঝে সম্ভাবনা আছে। তারপরও পাকিস্তানের সঙ্গে চাপের মুখে পারেনি; কিন্তু একটা বিশ্বাস ছিল ছেলেটার কোয়ালিটি আছে। সে পারবে। এবার জয় প্রুভ করেছে।’
এ টেস্ট জয় দেশের ক্রিকেটকে আরও বদলে দেবে, অনেক সমৃদ্ধ করবে। ওয়ানডে আর টি টোয়েন্টি ফরম্যাটেও এ জয়ের ইতিবাচক প্রভাব পড়বে- এমন বিশ্বাস প্রধান নির্বাচকের।
তাই মুখে এমন কথা, ‘এই জয় বাংলাদেশের ক্রিকেটে অনেক ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে মনে করি। শুধু টেস্টেই নয়, ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটেও নিয়মিত জয়ের মানসিকতা তৈরি করে দেবে।’
প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট যত ভালো হবে, টেস্টেও বাংলাদেশ তত ভালো করবে বলে মনে করেন নান্নু। তিনি বলেন, ‘লংগার ভার্সন হলো যে কোন দেশের ক্রিকেটের মেইন প্লাটফর্ম। লংগার ভার্সন ফরম্যাট যত স্ট্রং আর রিচ হবে, অন্য ফরম্যাটও তত ভাল হবে। সুতরাং লংগার ভার্সন নিয়ে আরও কাজ করতে হবে। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটকে আরও প্রতিদ্বন্দ্বীতাপূর্ণ করে তুলতে হবে। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটের ভিত্তি ভালো হলে সব সময় টেস্টেও ভালো হবে।’
শাফিন / জামান
ফ্লাইট মিস, ঢাকায় আসতে কিছুটা দেরি হামজার
গার্দিওলার ১০০০তম ম্যাচে লিভারপুলকে হারাল ম্যানসিটি
লেভানডোভস্কির হ্যাটট্রিক, রিয়ালের ড্রয়ের সুযোগ নিলো বার্সা
তামিমের সেঞ্চুরিতে সিরিজ হার এড়াল বাংলাদেশ
৮৮১ মিনিটে প্রথম গোল খেল আর্সেনাল
ইসলামিক গেমসে ভারত্তোলনে ব্রোঞ্জ জিতল বাংলাদেশ
বিশ্বকাপে খেলার ঘোষণা তাহলে দিয়েই দিলেন মেসি!
বিশ্বকাপ বাছাইয়ের দল ঘোষণা করলো ইংল্যান্ড
জাহানারার মতো ভুক্তভোগীদের সাহস নিয়ে মুখ খোলার অনুরোধ তামিমের
জাহানারার গুরুতর অভিযোগ নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত বিসিবির
বিক্রি হয়ে যাচ্ছে কোহলির বেঙ্গালুরু
মেসির হাতে মায়ামি শহরের চাবি, দেওয়া হলো যে কারণে