ঢাকা বৃহষ্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

কুবির অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থা ঢেলে সাজাতে কমিটি


কুবি প্রতিনিধি photo কুবি প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ২৮-৩-২০২২ বিকাল ৫:২৯

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) চারটি একাডেমিক ভবন, চারটি হল ও একটি প্রশাসনিক ভবনে নেই যথাযথ অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা। বারবার সংবাদ প্রকাশের পরও টনক নড়েনি প্রশাসনের। তবে এবারের অর্থবছরে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র কেনার জন্য কমিটি করা হয়েছে। এবং প্রশিক্ষণের জন্য কুমিল্লা ফায়ার সার্ভিসের সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে বলে জানা গেছে। 

সোমবার (২৮ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন দপ্তরের পরিচালক মোঃ: সানোয়ার আলী বিষয়টি নিশ্চিত করেন। পরিকল্পনা ও উন্নয়ন দপ্তরের পরিচালক মোঃ সানোয়ার আলীকে আহ্বায়ক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী (ইলেকট্রিক্যাল) মোঃ জাকির হোসেনকে সদস্য সচিব করে চার সদস্যের ক্রয় কমিটি করা হয়েছে। এ কমিটিতে সদস্য হিসেবে আরো আছেন 
রসায়ন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো: ওয়ালী উল্লাহ, বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট শাখা প্রধান মো: মিজানুর রহমান।যন্ত্র ক্রয় বা মেডিসিন রিফিল করার ব্যাপারে কমিটির আহ্বায়ক মো: সানোয়ার আলী বলেন, আমি এক সপ্তাহ হলো চিঠি পেয়েছি। কাল একটা মিটিং আছে কমিটির সাথে। মিটিং শেষে আমরা এ কাজগুলো দ্রুত করার চেষ্টা করবো।সরেজমিনে দেখা যায়, অগ্নিপ্রতিরোধ ও নির্বাপণ আইন-২০০৩ অনুযায়ী, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভবনগুলোতে অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্রগুলো লাগানো হলেও করা হচ্ছে না এগুলোর যথাযথ তদারকি। বিশ্ববিদ্যালয়ের চার হলে (শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হল, কাজী নজরুল ইসলাম হল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল, নবাব ফয়জুন্নেছা চৌধুরানী হল) অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র প্রায় নেই বললেই চলে।

যেগুলো ঝুলে থাকতে দেখা যায় সেগুলোতেও নেই মেয়াদ। হলের মতোই একই চিত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ও সমাজবিজ্ঞান অনুষদে। ছয়তলা এই অনুষদের নিচতলায় লাগানো দুইটি যন্ত্রের একটিতেও নেই রসায়নিক পদার্থ। একইভাবে ব্যবসা শিক্ষা অনুষদ ও বিজ্ঞান অনুষদ ভবনেও ঝুলছে ফাঁকা যন্ত্রগুলো।

এমনকি প্রশাসনিক ভবনের অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রগুলোও মেয়াদোত্তীর্ণ। এছাড়া প্রশাসনিক ভবনের মতো গুরুত্বপূর্ন ভবনে নেই কোনো জরুরি বহির্গমন সিঁড়ি। ২০১৮ সালের এপ্রিলে একবার ফায়ার সার্ভিসে অগ্নি প্রতিরোধের মহড়া হলেও এরপর আর তেমন কোনো উদ্যোগ দেখা যায়নি।

জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নিকটতম ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিফিল ডিফেন্সের ইপিজেড ও বাগিচাগাঁও স্টেশন দুটি যথাক্রমে ৮ ও ১৩ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। খানাখন্দে ভরা বিশ্ববিদ্যালয়মুখী রাস্তার কারণে এই পথে আসতে ফায়ার সার্ভিসকে পড়তে হয় প্রতিবন্ধকতার মাঝে।

 বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী সাইদুল আলম বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রগুলোর বেশির ভাগই মেয়াদ উত্তীর্ণ অথবা ফাঁকা। তারপরও নতুন করে যন্ত্রে ভরা হয় না আগুন নেভানোর রসায়নিকদ্রব্য। তাই অনাকাঙ্ক্ষিত যেকোনো দুর্ঘটনায় আমরা নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত।’


বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মকর্তা সাদেক হোসেন মজুমদার বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা দপ্তর থেকে ফায়ার সার্ভিসকে চিঠি দেয়া হয়েছে। তারা বিনামূল্যে আমাদের ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করবে বলে জানিয়েছে। এছাড়া অগ্নিনির্বাপক যে যন্ত্রগুলো খালি হয়েছে সেগুলোতে মেডিসিন ভরার জন্য ক্রয় কমিটি করা হয়ে গেছে ইতোমধ্যে। কাল এ কমিটি মিটিং করবে।

এমএসএম / এমএসএম

আইএফপিআরআই ও সার্ক কৃষি কেন্দ্রের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর

ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি'তে শুরু হয়েছে আন্তর্জাতিক সম্মেলন BIM 2025

চাকসু নির্বাচনে ব্যালট নম্বর প্রকাশ, আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু

গঠনতন্ত্রে নিয়মিত শিক্ষার্থীদের সংযোজন করে ইকসু'র দাবি

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রক্টর ও ছাত্র-উপদেষ্টার পুনঃনিয়োগ

পাস্ট ডিবেটিং সোসাইটির নতুন সভাপতি রউফ, সম্পাদক তন্নি

বিশ্বসেরা ২ শতাংশ গবেষকের তালিকায় পবিপ্রবির ৩ শিক্ষার্থী

রাবিতে শাটডাউন প্রত্যাহার, ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন জাতীয়তাবাদী শিক্ষকদের

পিছানো হল চাকসু নির্বাচন

রাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো চলছে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’

১৬ অক্টোবর রাকসু নির্বাচন

বিশ্বসেরা ২ শতাংশ গবেষকের তালিকায় বাকৃবির ১২ গবেষক

বিশ্বের শীর্ষ দুই শতাংশ গবেষকদের তালিকায় ইবির দুই অধ্যাপক