অরুণাচল সীমান্তঘেঁষে চীনের বুলেট ট্রেন : ভারতের উদ্বেগ

ভারতের অরুণাচল প্রদেশ সীমান্তের কাছে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর নিজেদের ভূখণ্ডে দ্রুত পরিকাঠামো তৈরি করছে চীন। ভারতকে চাপে রাখতে সড়কপথের পাশাপাশি এবার রেলপথ উন্নয়নেও নজর দিয়েছে তারা। শীঘ্রই এবার ভারতের উত্তর-পূর্বের এই অঙ্গরাজ্যের গা ঘেঁষেই তিব্বতের লাসায় ছুটবে বুলেট ট্রেন। শুক্রবার তারই প্রথম ধাপ হিসেবে তিব্বতের রাজধানী লাসা থেকে নিংচির মধ্যে চলল প্রথম ইকেট্রিক বুলেট ট্রেনটি।
আগামী ১ জুলাই চীনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টি অব চীন বা সিপিসি-র শতবর্ষ পূর্ণ হচ্ছে। তার আগেই সেদেশের সিচুয়ান-তিব্বত রেলওয়ে চালু করে দিল লাসা-নিংচি ৪৩৫.৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই রেলপথ। এদিন সকালেই প্রথম বুলেট ট্রেনটি চালানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, সিচুয়ান-তিব্বত রেলওয়ে এই অঞ্চলের দ্বিতীয় রেলওয়ে। এর আগে এই এলাকায় কুইনঘাই-তিব্বত রেলওয়ে চালু করেছিল বেজিং। গত বছর নভেম্বরেই এই সিচুয়ান-তিব্বত রেলওয়ের উদ্বোধন করেছিলেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। তারপরই দ্রুতগতিতে কাজ শুরু হয়। আর মাত্র কয়েকমাসেই রেলপথ চালুও হয়ে গেল। জানা গিয়েছে, সিচুয়ানের রাজধানী চেঙ্গদু থেকে এই ট্রেনের যাত্রাপথ শুরু হবে। শেষ হবে লাসায়। তবে বুলেট ট্রেনের কারণে ৪৮ ঘণ্টার যাত্রাপথ কমে দাঁড়াবে মাত্র ১৩ ঘণ্টায়।
অরুণাচল সীমান্ত থেকে নিংচির দূরত্ব খুব বেশি হলে ৫০ কিলোমিটার। অর্থাৎ ভারতের ঘাড়ের উপরই তৈরি হয়েছে এই রুটটি। যদিও যাত্রীবাহী পরিষেবার জন্যই এই পরিকাঠামো তৈরি বলে দাবি চীনের, প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকরা বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন। মনে করা হচ্ছে, লাসা-নিংচি বুলেট ট্রেন চললে মুহূর্তের নির্দেশে অরুণাচল সীমান্তে সেনাদল পাঠাতে সক্ষম হবে লালফৌজ। ফলে যুদ্ধের পরিস্থিতিতে ভারতীয় সেনার প্রতিরক্ষা সমীকরণ পালটে দিয়ে যাত্রীবাহী ট্রেনে তিব্বত থেকে বিশাল সেনাদল বুলেট ট্রেনে পাঠিয়ে দিতে পারে চীনা ফৌজ।
উল্লেখ্য, গালওয়ান উপত্যকায় লালফৌজের সঙ্গে ভারতীয় সেনার সংঘর্ষের পর থেকেই রণনীতি পালটেছে সাউথ ব্লক। পাকিস্তান ভিত্তিক ‘ইনফ্যান্টরি ফর্মেশন’ ছেড়ে ড্রোন ও উন্নতমানের মিসাইল প্রযুক্তি তথা পাহাড়ে যুদ্ধের কৌশল ঝালিয়ে নিচ্ছে ভারত। ভারতীয় সমর বিশেষজ্ঞদের মতে, এতদিন ভারতীয় সেনার রণনীতি ছিল পাকিস্তান কেন্দ্রিক। যা ‘কোল্ড স্টার্ট ডক্ট্রিন’ নামে পরিচিত। সোজা কথায়, বিশাল ট্যাংক বাহিনীর সঙ্গে হাজার হাজার সৈনিক নিয়ে রাজস্থানের মরু অঞ্চল বা পাঞ্জাবের সমতল থেকে হামলা চালিয়ে পাকিস্তানকে দু’ভাগে ভাগ করে ফেলা। কিন্তু লাদাখ বা অরুণাচলের পাহাড়ি অঞ্চলে তা কাজ করবে না। ফলে সময় ও পরিস্থিতির দাবি মেনে চীন কেন্দ্রিক সমরকৌশল তৈরি করা উচিত। এর অন্যথায় ভবিষ্যতে ফের খেসারত দিতে হতে পারে ভারতকে। সূত্র: টাইমস নাউ।
জামান / জামান

চিকিৎসায় নোবেল পেলেন তিনজন

মন্ত্রিসভা গঠনের ১৪ ঘণ্টার মধ্যে ফ্রান্সে সরকারের পদত্যাগ

দার্জিলিংয়ে ব্যাপক বর্ষণ-পাহাড়ধস : নিহত ২৮, আটকা বহু পর্যটক

গাজায় এখনও বোমা ফেলছে ইসরায়েল, নিহত ৬৩

দ্রুত গাজা শান্তি আলোচনা এগিয়ে নেওয়ার আহ্বান ট্রাম্পের

ইন্দোনেশিয়ায় স্কুলভবন ধসে নিহত ৪৫

ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতি চুক্তির সমর্থনে রাস্তায় নেমেছে হাজার হাজার ইসরায়েলি

ভারতে ছোট কাপড় পরা মডেলদের শাসাল হিন্দু শক্তি সংগঠন

উত্তাল ইউরোপের এক দেশ, নেপথ্যে নির্বাচন

হামাস সম্মতি দিলেই সঙ্গে সঙ্গে গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর: ট্রাম্প

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত আরও ৭০ ফিলিস্তিনি

গাজায় সামরিক অভিযান থামিয়েছে ইসরায়েল
