শানাকার ৩ ওভারের তাণ্ডবে অস্ট্রেলিয়াকে হারাল শ্রীলঙ্কা
প্রথম ম্যাচে দশ উইকেটে হার, পরের ম্যাচে লড়াই করেও শ্রীলঙ্কা হারল তিন উইকেটে। তাতে সিরিজটা আগেই খুইয়ে বসেছিল দলটি। তৃতীয় ম্যাচেও হার চোখরাঙানি দিচ্ছিল দলটিকে। তবে দাসুন শানাকা শেষমেশ তা আর হতে দিলেন না। শেষ তিন ওভারে তার তাণ্ডবে শ্রীলঙ্কা তুললো ৫৯ রান। পেল ৪ উইকেটের দুর্দান্ত এক জয়। তাতে অস্ট্রেলিয়াকে স্তব্ধ করে হোয়াইটওয়াশ এড়াল দাসুন শানাকার দল।
টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে অস্ট্রেলিয়া তাদের স্বাভাবিক ব্যাটিংটাই করে গেছে। ডেভিড ওয়ার্নার আর অ্যারন ফিঞ্চের উদ্বোধনী জুটি ৫.৪ ওভারে তোলে ৪৩ রান। এরপর ফিঞ্চ ফিরে গেলেও ওয়ার্নার থামেননি। ম্যাক্সওয়েলের সঙ্গে গড়েন ৪২ রানের জুটি। তাতে দশ ওভার শেষে অজিদের স্কোরবোর্ডে জমা পড়ে ৮৫ রান।
তবে দলীয় ৮৫ রানে ম্যাক্সওয়েল আর ওয়ার্নার দু’জনেই বিদায় নেন পরপর দুই বলে। এরপর জশ ইংলিসও আউট হন রানের খাতা খোলার আগে। ৮৫-১ থেকে মুহূর্তেই ৮৫-৪ হয়ে যায় সফরকারীরা। এরপর স্টিভেন স্মিথ আর মার্কাস স্টয়নিসের জুটি সে ধাক্কা সামাল দেয়। দলীয় ১৩৩ রানে পঞ্চম ব্যাটসম্যান হিসেবে স্টয়নিস বিদায় নেন। তবে শেষটা স্মিথ আর ম্যাথিউ ওয়েডের কল্যাণে শেষটা দারুণ হয় অস্ট্রেলিয়ার। স্কোরবোর্ডে জমা পড়ে ১৭৬ রান।
আগের দুই ম্যাচে শ্রীলঙ্কা করেছিল যথাক্রমে ১২৮ আর ১২৪। তাদের বিপক্ষে ১৭৬ তো ‘নিরাপদ’ স্কোরই মনে হওয়ার কথা। শ্রীলঙ্কার শুরুর ব্যাটিং তা মনেও করিয়ে দিচ্ছিল।
দানুষ্কা গুনাথিলাকা বিদায় নেন শুরুতেই। এরপর পাথুম নিশাঙ্কা আর চারিথ আসালঙ্কারা সে ধাক্কা সামাল দিলেও প্রথম দশ ওভারে তুলতে পারেন কেবল ৭৭ রান। ফলে শেষ দশ ওভারে দলটির দরকার ছিল ১০০ রান।
এরপর নিশাঙ্কা, ভানুকা রাজাপাকশে আর কুশল মেন্ডিস বিদায় নেন ১৯ বলের ব্যবধানে। এ সময় শ্রীলঙ্কা তুলতে পারে কেবল ১৭ রান। ফলে দলটির আস্কিং রেট বেড়েই চলেছিল ক্রমে। মেন্ডিসের বিদায়ের এক ওভার পর হাসরাঙ্গাও সাজঘরের পথ ধরেন। শ্রীলঙ্কার তখন প্রয়োজন ২৬ বলে ৬৯ রান।
শেষ তিন ওভারে এই প্রয়োজনটা গিয়ে ঠেকল ১৮ বলে ৫৯ রানে। জয়টা তখন মনে হচ্ছিল দূর আকাশের তারা। তখনই শুরু শানাকার তাণ্ডবের। আগের তিন ওভারে তিন রান দেওয়া জশ হেইজেলউডের এক ওভারে দুই ছক্কা আর দুই চার মারলেন লঙ্কান দলপতি, শ্রীলঙ্কা তুলল ২২ রান।
জাই রিচার্ডসনের পরের ওভারেও শানাকা হাঁকালেন এক ছক্কা আর এক চার, ওপাশে চামিকা করুণারত্নেও মারলেন এক চার। সে ওভার থেকে এলো ১৮ রান। শেষ ওভারে তখন স্বাগতিকদের চাই ১৯ রান।
সেখানেও আরেক দফা রোমাঞ্চ। কেন রিচার্ডসন শুরুর দুই বল ওয়াইড করলেও প্রথম দুই বৈধ বল শেষে দিলেন মোটে চার রান। শেষ চার বলে শ্রীলঙ্কার প্রয়োজন ছিল ১৫ রান। পরের তিন বলে শানাকা হাঁকালেন ৪, ৪ আর ৬। ম্যাচটা লঙ্কানদের মুঠোয় চলে আসে তখনই। শেষ বলে দরকার ছিল এক রান, কেন রিচার্ডসন করলেন আরও এক ওয়াইড। ম্যাচটা তাতে এক বল হাতে রেখেই জেতে শ্রীলঙ্কা। দারুণ রোমাঞ্চকর এই জয়ে লঙ্কানরা হোয়াইটওয়াশ এড়াল, ৫ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের জন্যও অনুপ্রেরণা পেয়ে গেল বৈকি!
এমএসএম / এমএসএম
দ্বিতীয় দিনে পুরোটাই বাংলাদেশের দাপট
‘দলের ওপর বোঝা হতে চাই না’ কীসের ইঙ্গিত দিলেন মেসি
সাড়ে ৩ বছর পর টেস্টে জয়ের সেঞ্চুরি
সাদমান-জয়ের ফিফটিতে একশো পেরোল বাংলাদেশ
ভিসা জটিলতায় এশিয়া কাপের বিমান মিস ৩ ক্রিকেটারের
তিক্ত বিদায়ের পরও কেন বার্সেলোনায় ফিরতে চায় মেসি-অ্যান্তোনেল্লা দম্পতি
ইয়ামালকে নিয়ে আবারও দুঃসংবাদ, বার্সেলোনা-স্পেনের নতুন রেষারেষি
আবারও রেফারির সঙ্গে তর্কে জড়ালেন নেইমার
আল্ট্রাএজে অদ্ভুত দৃশ্য, প্রথম উইকেট নিলো বাংলাদেশ
ফুটবল নিয়ে আসিফের ‘কুরুচিপূর্ণ’ মন্তব্য, বিসিবিকে চিঠি বাফুফের
ফ্লাইট মিস, ঢাকায় আসতে কিছুটা দেরি হামজার
গার্দিওলার ১০০০তম ম্যাচে লিভারপুলকে হারাল ম্যানসিটি