ঢাকা রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

এই সময়ের চিকিৎসা সেবা : অধ্যাপক ডা. রিয়াজ মোবারক


নিজস্ব প্রতিবেদক photo নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ৪-৯-২০২২ দুপুর ৩:৪৬

প্রায় ১৭ কোটি মানুষের এই বাংলাদেশ। শত শত মানুষের মুখে গর্বিত বাক্য বাংলাদেশ নিম্ন আয়ের দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশের দিকে ছুটে চলছে। তবে সাধারণ মানুষের চাহিদা আর প্রাপ্তির মধ্যে দূরত্ব আছে। মনে হয় মধ্যবিত্ত নিয়ে যিনি লিখতেন, সেই কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ এর সাথে সাথে মধ্যবিত্তরাও যেনো নেই। কাল পরিবর্তনের গ্যাঁড়াকলে পড়ে মধ্যবিত্তরা কোথায় যেনো হারিয়ে গেছে। দেশে হঠাৎ করেই নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম দেড় দুইগুণ বেড়ে গেছে। মধ্য নিম্ন আয়ের মানুষদের সংসারের কল প্রায় বন্ধ। দিনমজুর থেকে শুরু করে ছোট ছোট চাকুরিজীবী ও নিম্ন আয়ের মানুষেরা হিমশিম খাচ্ছে সংসারের চাকা ঘোরাতে। ভোজ্য ও জ্বালানী তেল উভয়সংকটাপন্ন। উভয়েরই দাম বেড়েছে প্রায় দেড় গুণ। সেই সঙ্গে বেড়েছে শুকনো ও কাঁচাবাজার এর বিভিন্ন পণ্যের মূল্য। চাল, ডাল, আটার দর উর্ধ্বমুখী। জীবন নির্বাহ করতে সীমিত আয়ের মানুষগুলোর পকেট খালি হয়ে গেছে। তাহলে নিজে কিংবা পরিবারের কেউ অসুস্থ হলে তাদের চিকিৎসা চলবে কি করে? 

বেঁচে থাকার জন্য আমাদের কি কি জিনিসের প্রয়োজন? আমরা আগে জানতাম আমাদের জীবনের চাহিদা মেটানোর জন্য প্রয়োজন অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, কর্মসংস্থান। পৃথিবী বা ওল্ড ওয়ার্ল্ড এ মানুষ কিন্তু বাসস্থান নিয়ে ভাবত না। কর্ম নিয়ে চিন্তা করত না। খাদ্য নিয়েও তেমন একটা চিন্তা করত না। কারণ পৃথিবীর ব্যাসাতের তুলনায় মানুষের সংখ্যা ছিল অনেক কম। খাদ্য ও বস্ত্র নিয়ে অবশ্যই চিন্তা ছিল এবং তার পরপরই মানুষের মনে কর্মসংস্থানের ভাবনা এসেছিল। সেই সাথে শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা। কেননা চাষাবাদ করতে পশু শিকার বা পশু পালন করতে, মাছ চাষ করতে ও মাছ ধরতে মানুষের শিক্ষার প্রয়োজন হয়। বস্ত্র নিয়ে অবশ্য ভাবনা ছিল না। কারণ মানুষ গাছের বাকল, পশুর চামড়া ইত্যাদি দিয়ে বস্ত্রের চাহিদা মেটাত। আদিম যুগে মানুষ অবশ্য দিগম্বর হয়েও চলাফেরা করত। চিকিৎসা ভাবনা মানুষের মনে তখনও মাথাচাড়া দিয়ে ওঠেনি। আদিম মানুষেরা কিভাবে চিকিৎসা করত, সেটা নিয়ে নানারকম মতবাদ আছে। আজকের এই লেখায় সেটুকু না হয় বাদই দিলাম। 

মানুষ যখন আরও একটু সভ্য হলো, তখন চিকিৎসার জন্য ডাইনি বা ডরঃপয উড়পঃড়ৎ এর শরণাপন্ন হতে শুরু করল। পরবর্তীতে ধর্মের অবতারণা হলো এবং ধর্মগুরুরা চিকিৎসা পেশার নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করল। তারপর রাজ রাজারা যখন রাজ্য চালনা শুরু করল, তখন রাজবৈদ্য নিয়োগ শুরু হলো। বৈদ্য কবিরাজরা তখন চিকিৎসা পেশাকে মহান বলে আখ্যায়িত করতে শুরু করলেন। 

প্রায় আড়াই হাজার বছর আগে ইউরোপের গ্রীস রাজ্যে জন্ম নিলেন হিপোক্রেটিস নামক একজন চিকিৎসক, যিনি আমাদের আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের জনক। যাই হোক না কেন হিপোক্রেটিস মর্ডান মেডিসিন এর জনক। পরবর্তীকালে গ্রীক মনীষী এরিস্টেটল এই বিজ্ঞানের শাখায় নিজেকে সম্পৃক্ত করেন। 
এই যুগে সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থানের প্রয়োজন। সময়ের সাথে জলবায়ু পরিবর্তন হচ্ছে। সেই সাথে পরিবর্তন হচ্ছে পৃথিবী। ক্ষয়িষ্ণু মানুষ তবুও বেঁচে থাকতে চায়। পরিবেশ দুষণ, যুদ্ধ বিগ্রহ, মহাশক্তিধর দেশগুলোর অস্ত্রের ঝনঝনানি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ঘোড়দৌড় পৃথিবী ছাড়িয়ে দূর গ্রহের দিকে লালাচ। নতুন নতুন জীবানু অনুজীবানু নিয়ে মানুষের নাড়াচাড়া, আধুনিক প্রযুক্তির অপব্যবহার, আমাদের এই নিরীহ গ্রহকে করেছে অরক্ষিত। আর এই গ্রহে বসবাসকারী প্রাণীকূলকে করেছে বিপর্যস্ত।

এই মুহূর্তে সারা পৃথিবীতে অস্থিরতা, বৈশ্বিক মহামারি করোনা চিকিৎসা কেন্দ্র এবং চিকিৎসা বিজ্ঞানের উপর মানুষের আস্থা আকাক্সক্ষাটি কমিয়ে দিয়েছে। করোনা চলে গেলেও এই মহামারি আমাদের মতো নিম্ন আয়ের মানুষের দেশের অর্থনীতিতে ভয়াবহ ক্ষত তৈরি করবে। করোনাকালীন যুদ্ধ এখনও চলছে। তৃতীয় বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশগুলো এখনও পুরানো ঘা শুকানোর প্রতিক্ষায়। আমাদের মতো মধ্যআয়ের দেশে খাবারের দাম আকাশচুম্বি। বহিঃবিশ্ব থেকে অনেক চড়া দামে চাল, ডাল, গম, ভোজ্য তেলের মতো নিত্যপণ্য আমদানি করতে হয়। কিন্তু রোগ জ্বরা তো বসে নেই। না খাওয়া মানুষগুলোর মতো তাদের বসে বসে ঝিমানোর সময় কোথায়?  এই অবস্থায় নিম্ন আয়ের মানুষের কেউ না কেউ অসুস্থ হলে তার চিকিৎসা চলবে কি করে? 

১৯৭৮ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও ইউনিসেফ মিলে তৎকালীন রাশিয়ার কাজাকিস্তানের একটি শহরে বিশ্বের স্বাস্থ্য ও জনস্বাস্থ্যের নেতাদের নিয়ে একটি সম্মেলন করে। সেই সম্মেলনে প্রাইমারি হেলথ কেয়ার বা প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিচর্যার ঘোষণা দেওয়া হয়। প্রাইমারি হেলথ কেয়ার বিশ্বের ধনী, দরিদ্র, অপ্রাপ্ত, প্রাপ্ত বয়স্ক নারী পুরুষ অথবা তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ ও সর্বস্তরের মানুষের জন্য একটি সহজ স্বাস্থ্য সেবা। এটি একটি বিজ্ঞানসম্মত স্বাস্থ্যসেবার উপায়। এই সেবা মানুষের অতি প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা, যা মানুষের আর্থিক ক্ষমতার উপযোগী। সমাজ ও সংস্কৃতিতে গ্রহণযোগ্য, সময় উপযোগী। এই স্বাস্থ্য সেবা সর্বস্তরের মানুষের অংশ গ্রহণের মাধ্যমে প্রদান করা হয়। শিশু থেকে বৃদ্ধ পর্যন্ত এই স্বাস্থ্য সেবা নিতে পারে। 

ডেবিট ওয়ার্নার এর ডযবৎব ঞযবৎব ওং ঘড় উড়পঃড়ৎ যেখানে কোনো চিকিৎসক নেই বইটি প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। ১৯৭০ সালে পশ্চিম মেক্সিকোতে পিয়াস্কিয়া প্রকল্পের কাজের অভিজ্ঞতা থেকে ডেভিট ওয়ার্নার বইটি রচনা করেন। বইটি মেক্সিকোতে হেলথ ম্যানুয়াল হিসাবে ব্যবহৃত হয়। বইটি ২০২২ সালে পুনমুদ্রিত হয়েছে। বইটিতে মানুষের স্বাস্থ্যের সব দিক পর্যালোচনা করা হয়েছে। ডায়রিয়া থেকে শুরু করে ম্যালেরিয়া, কৃমি নিরাময়, হাড়ভাঙ্গা চিকিৎসার কথাও বইটিতে সহজ করে লেখা। স্বাস্থ্য, শিশুখাদ্যে পুষ্টির মান ও প্রয়োজনীয়তা ইত্যাদি বিষয়ও সহজভাবে বর্ণনা করা হয়েছে। প্রতিষেধক টিকা সম্পর্কে এমনভাবে বর্ণনা দেওয়া হয়েছে, যাতে সাধারণ মানুষের বুঝতে অসুবিধা না হয়। রোগ প্রতিরোধ, রোগ নির্ণয় ও সাধারণ রোগের সহজ চিকিৎসা সম্পর্কে সাধারণ ধারণা দেওয়া হয়েছে। আমাদের দেশের সাধারণ মানুষের এই শিক্ষা অতীব প্রয়োজন। 

বাংলাদেশকে বলা হয় আধা মৌসুমী অঞ্চলের একটি দেশ। যেখানে মৌসুমী রোগের প্রাদুর্ভাব প্রকট। সর্দি, কাশি, ডায়রিয়া, কলেরা, নিউমোনিয়া, টাইফয়েড, ডেঙ্গু জ্বর আমাদের স্বল্প রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন মানুষের শরীরের দরোজা ভেঙ্গে সহজেই ঢুকে যায়। সরকারি, আধা সরকারি হাসপাতালে আমাদের অসুস্থ মানুষদের জন্য স্থান সংকুলান করতে পারে না। সরকারি ও আধা সরকারি হাসপাতালগুলোর সংখ্যা দেশে পর্যাপ্ত নয়। চিকিৎসক-নার্সের সংখ্যাও মানুষের তুলনায় অনেক কম। অধিকাংশ প্রাইভেট হাসপাতালগুলো ব্যবসা করতে নেমেছে। টাকা ছাড়া তারা চিকিৎসা দিবেই বা কেন। হাসপাতালের যাবতীয় খরচ মেটাবে কে? তাই নিম্ন আয়ের মানুষগুলো সরকারি হাসপাতাল ও প্রতিষ্ঠানগুলোতে হুমড়ি খেয়ে পরছে। প্রয়োজনীয় ওষুধের দাম বিশ্ববাজারে বেশি। এ অবস্থায় করোনা উত্তর ইউক্রেন যুদ্ধ আমাদের মতো ছোট ছোট দেশগুলোর অর্থনীতির উপর মন্দা প্রভাব সৃষ্টি করেছে। এই অবস্থায় আমাদের চিকিৎসা খরচ চালানোর জন্য মগজ খাটাতে হবে। 

প্রথমত আমাদের জীবন ধারণের উপকরণগুলোকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। আমাদের খাদ্য দরকার, কিন্তু অফুরন্ত খাদ্য নয়। খাদ্য অভ্যাসে সে সংযম তৈরি করতে হবে। দামি খাদ্যই যে পুষ্টিকর খাদ্য, এমন নয়। খাদ্যের মধ্যে প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, আমিষ, শর্করা, প্রয়োজনীয় উপাদান থাকতে হবে। এ ছাড়া থাকতে হবে ভিটামিন ও মিনারেল। তাহলেই খাদ্য হবে সুষম ও পরিপূর্ণ। এই সময়ে আমাদের শ্লোগান হবে- অতি অন্ন নয়, বাহারি বস্ত্র নয়, সুরম্য অট্টালিকা নয়, চাকচিক্যময় বড় ক্লিনিক, বড় ডিগ্রিধারি, বড় ভিজিটওয়ালা চিকিৎসক এর কাছে যেতে হবে এমন ভাবনা মাথা থেকে দূরে সরিয়ে ফেলতে হবে। সাধারণ অসুখ-বিসুখের জন্য সাধারণ ডাক্তারের পরামর্শই যথেষ্ট। অনলাইনে বা ফোনে যদি বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া যায়, তাহলে ক্ষতি কি? কথায় কথায় এন্টিবায়োটিক সেবন বাদ দিতে হবে। প্রয়োজনীয় ওষুধের ব্যবহারও যৌক্তিক হতে হবে। রোগ নিরাময়ের চেয়ে রোগ প্রতিরোধের দিকে নজর দিতে হবে। স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিকর খাদ্য মানেই দামি খাদ্য নয়। আমাদের পুষ্টি ও অসুখ বিসুখ সম্পর্কে প্রাথমিক জ্ঞান নিতে হবে। এই জ্ঞানের উৎস হতে পারে বই অথবা গণমাধ্যম। আমাদের বুঝতে হবে আমাদের জন্য ভালো জিনিস কি? সরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও অধিকাংশ চিকিৎসা সেবায় সবরকম প্রয়োজনীয় উপকরণ থাকে। দামি দামি ও বড় বড় ডিগ্রিধারি চিকিৎসক না থাকলেও অভিজ্ঞতা সম্পন্ন চিকিৎসকের অভাব থাকে না। তবে সমস্যা হলো এই চিকিৎসকগণ বেশিরভাগ সময় কাজের চাপে থাকেন। অতি ব্যস্ততার কারণে তাদের আচরণ অনেক সময় সাধারণ মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য হয় না। তবুও আমাদের চিকিৎসা চাহিদার কথা চিন্তা করে তাদের কাছে যেতে হবে। আমাদের ভালো ব্যবহার ও উপস্থাপনা দিয়ে তাদের কাছ থেকে চিকিৎসা সেবা আদায় করে নিতে হবে। কারণ আমাদের কাছে অফুরন্ত পয়সা নেই। কম খরচে চিকিৎসা করানোর জন্য আমাদের আরও অনেক উপায় আছে। আমরা নিজেরা যদি প্রাথমিক চিকিৎসায় জ্ঞান অর্জন করতে পারি, ডেভিট ওয়ার্নার এর হ্যান্ডবুক এর মতো বিভিন্ন বই পড়ে স্বাস্থ্য ও জনস্বাস্থ্য সম্পর্কে পর্যাপ্ত জ্ঞান নিতে পারি, তাহলে আত্মীয়-পড়শিদের সাধারণ অসুখের চিকিৎসা আমরা নিজেরাই করতে পারব। তবে আমাদের এন্টিবায়োটিক বা আরও কঠিন কোনো ওষুধ ব্যবহারে ঔদ্ধত্য দেখানো যাবে না। আমরা সীমা লংঘন করব না। কিছু কিছু অসুখ আমাদের পরিবেশের জন্য হয়। পরিচর্যা করে পরিবেশ সুন্দর ও স্বাস্থ্যকর রাখতে হবে। তাহলে ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া, কলেরা ও করোনার মতো ভয়াবহ রোগগুলোকে প্রতিরোধ করতে পারব। আমাদের এই দেশে যেমন অর্থলোভী চিকিৎসক আছেন, তেমনি অনেক মানবকল্যাণে কাজ করা চিকিৎসকও আছেন। প্রয়োজনে আমরা তাদের কাছে যেতে পারি। 

 

এমএসএম / এমএসএম

স্বাস্থ্যখাতে ‘দুর্নীতির হোতা’ মিঠু গ্রেপ্তার

ডেঙ্গুতে গত ২৪ ঘণ্টায় ৫ জনের মৃত্যু

চলতি বছর ডেঙ্গুতে মৃত্যু ১০০ ছুঁইছুঁই

সংখ্যা নিয়ে বিভ্রান্তি, নতুন ব্যাখ্যায় নিহত ৩৪

বিএসএমএমইউয়ে নতুন নামের ব্যানার, বাদ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব

মেডিকেলে থাকছে মুক্তিযোদ্ধা কোটা, যাচাই-বাছাই ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত

ডেঙ্গুতে একজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৫৭ রোগী

ডেঙ্গুতে ঢাকায় কর্মক্ষম মানুষের মৃত্যু বেশি

ডেঙ্গুতে আরও ৪ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ৮৮৮

বেসরকারি মেডিকেল শিক্ষায় অশনি সংকেত অটোমেশন; ক্ষুব্ধ অভিভাবকরা

ইডেন মাল্টি কেয়ার হাসপাতালের বিরুদ্ধে অপচিকিৎসার অভিযোগ

ক্যানসার রহস্যের জট খোলার নতুন ‘সূত্রের’ সন্ধান মিলেছে

বাংলাদেশ ডেন্টাল সোসাইটির ইসি গঠনে সাত সদস্য বিশিষ্ট সার্চ কমিটি