রংপুরে হরিজন, সংখ্যালঘু সম্প্রদায় ও দলিত পরিবারের মাঝে আর্থিক সহায়তা প্রদান
রংপুরে করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত কর্মহীন হরিজন সম্প্রদায়ের মানুষের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর মানবিক সহায়তা তুলে দিয়েছে রংপুর জেলা প্রশাসন। মঙ্গলবার (৬ জুলাই) দুপুরে রংপুর জিলা স্কুল মাঠে কর্মহীন হরিজন সম্প্রদায়ের মানুষের হাতে এ সহায়তা তুলে দেয়া হয়। আজ (৬ জুলাই) ৭০ জন হরিজন সম্প্রদায়ের মানুষের মাঝে ৫০০ টাকা করে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়। এসময় রংপুর জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদ হাসান মৃধা এবং ত্রান ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা এটিএম আখতারূজ্জামান উপস্থিত ছিলেন। গতকাল একই স্থানে ৫০০ রিকসা শ্রমিকের হাতে প্রধানমন্ত্রীর মানবিক সহায়তা খাদ্য প্যাকেট দেয়া হয়। প্যাকেটে ছিল ১০ কেজি চাল, ২ কেজি আলু, ২ কেজি ডাল ও ১ কেজি লবণ।
এদিকে রংপুরে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় ও দলিত পরিবারের ৯০০ পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দিয়েছে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ডপস। প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের বিস্তার রোধে চলমান কঠোর বিধিনিষেধের সময়ে এ খাদ্য সহায়তা পেয়ে উচ্ছ্বসিত হতদরিদ্র ও নিম্নআয়ের এসব পরিবার। মঙ্গলবার রংপুর সদর উপজেলা পরিষদ চত্বরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়। এসডিসির অর্থায়নে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন ও ইউএনডিপি-হিউম্যান রাইটস্ অ্যান্ড জাস্টিস প্রোগ্রামের সহায়তায় খাদ্যসামগ্রী বিতরণ কার্যক্রমের আয়োজন করে ডপস।
বিতরণ কার্যক্রমে উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইসরাত সাদিয়া সুমী, সুজনের মহানগর সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহাবুবার রহমান, এনজিও অবলম্বনের নির্বাহী পরিচালক প্রবীর চক্রবর্তী, ডপসের নির্বাহী পরিচালক উজ্জ্বল চক্রবর্তী প্রমুখ।
কার্যক্রম প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ডপসের নির্বাহী পরিচালক উজ্জ্বল চক্রবর্তী জানান, এই সংকটকালে এ জনগোষ্ঠীর ২ হাজার পরিবারের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে। প্রথম দিনে রংপুর সদরে ৯০০ পরিবারকে খাদ্যসামগ্রীর প্যাকেট দেয়া হয়েছে। এরপর ৮ থেকে ১০ জুলাইয়ের মধ্যে মিঠাপুকুর উপজেলার ১১০০ পরিবারকে একই সহায়তা পৌঁছে দেয়া হবে। সহায়তা হিসেবে দেয়া প্রতিটি প্যাকেটের মধ্যে ১২ কেজি চাল, ২ কেজি মসুর ডাল, ২ কেজি আটা, ২ লিটার সয়াবিন তেলসহ এক কেজি করে লবণ, চিনি ও চিড়া রয়েছে। সঙ্গে এক কেজি করে জীবাণুনাশক ডিটারজেন্ট পাউডার ও ছয়টি করে সাবান রয়েছে।
এমএসএম / জামান