ঢাকা বুধবার, ১৯ নভেম্বর, ২০২৫

সঙ্গীতাঙ্গনের চেনামুখ প্রিয়ব্রত চৌধুরী


বিনোদন ডেস্ক photo বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশিত: ২০-১০-২০২২ বিকাল ৬:১৩
বাংলাদেশসহ আন্তর্জাতিক পর্যায়ে রয়েছে তঁর খ্যাতি ।  জন্ম বন্দরনগরী চট্টগ্রামে। তাঁর বাবা সমাজ সেবক, রাজনীতিবিদ, দানবীর, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী শহীদ মতিলাল চৌধুরী। চার ভাই-বোনের মধ্যে সর্ব কনিষ্ঠ প্রিয়ব্রত চৌধুরী।
 
শৈশব থেকেই সাংস্কৃতিক পরিবারের পরিমন্ডলে বেড়ে উঠেন। সেই থেকেই সংঙ্গীতাঙ্গনে আষ্টে-পিষ্টে জড়িয়ে পড়েন এবং স্বপ্ন দেখতেন একজন বড় কিছু হবার। সেই থেকেই তবলার প্রতি জন্মায় দুর্বলতা। এ সময় পন্ডিত কানাই লাল দাস ও ভাব গুরু মেঝো ভাই দেবু চৌধুরীর অধীনে শুরু করেন তবলা প্রশিক্ষণ। আস্তে আস্তে হয়ে উঠেন একজন জাতীয় পর্যায়ের তবলা শিল্পী।
 
বাবা মতিলাল চৌধুরী ও মাতা অশ্রুকনা চৌধুরীর অনুপ্রেরণায় ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশ বেতার ও পরে টেলিভিশনের তালিকাভুক্ত তবলা শিল্পী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। প্রিয়ব্রত চৌধুরী বলেন, আমার এই তারকা হয়ে উঠার পিছনে মূখ্য ভূমিকায় ছিলেন বাংলাদেশের সঙ্গীত জগতের দিকপাল স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কিংবদন্তী সংগীতশিল্পী বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রবাল চৌধুরী (শব্দ সৈনিক)। 
 
দীর্ঘ পরিক্রমায় তিনি দেশের কিংবদন্তী সকল সংগীতশিল্পী ও সংগীত পরিচালকদের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পেয়েছেন। এছাড়াও পাক-ভারত উপমহাদেশের অনেক কিংবদন্তী শিল্পীদের স্বানিধ্য লাভ করেন। এ সময় তিনি দেশে আব্দুল জব্বার, সৈয়দ আব্দুল হাদী, ফেরদৌসী রহমান, শাহনাজ রহমতুল্লাহ, রুনা লায়লা, সাবিনা ইয়াসমিন, এন্ড্র কিশোর, সুবীর নন্দী, খুরশীদ আলম, বশির আহমেদ, প্রবাল চৌধুরী, শামীনা চৌধুরী, রফিকুল আলম, আবিদা সুলতানা প্রমূখ। 
 
সংগীত পরিচালকদের মধ্যে সত্য সাহা, আলম খান, আজাদ রহমান, আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল, সুবল দাস, আলাউদ্দিন আলী, প্রণব ঘোষ, সমর দাসসহ অনেকের সঙ্গে সুনামের সাথে কাজ করেন।
 
তিনি কানাডা, ভারত, যুক্তরাজ্য, ইউরোপের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে এবং মধ্যপ্রাচ্যে সরকারী ও বেসরকারী ভাবে সাংস্কৃতিক দলের সদস্য হিসাবে সফর করেন। তার শেষ ইচ্ছা দেশের সংগীতকে সুস্থ ও সর্বজনগৃহীত হিসেবে দেখে যেতে চান।

এমএসএম / এমএসএম