বিশ্বকাপ উম্মাদনা এখন বিরক্তির কারণ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে(ঢাবি) বিশ্বকাপ উম্মাদনা এখন শিক্ষার্থীদের কাছে বিরক্তির কারণ হয়ে দাড়িয়েছে৷ নগদের স্পন্সরে বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনটি জায়ান্ট স্ক্রিণ বসানো হয়েছে। প্রতিদিন ঢাকা শহরের বিভিন্ন জায়গা থেকে হাজার হাজার মানুষ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে খেলা দেখতে আসছে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ন্যুনতম পরিবেশ রক্ষা করা যাচ্ছেনা। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিপর্যের সাথে সাথে শিক্ষার্থী ও শিক্ষদের অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে।
মুহসীন হল মাঠের জায়ান্ট স্ক্রিণটি সর্বাপেক্ষায় বড়।এত একসাথে প্রতিদিন প্রায় ৭-৮ হাজার মানুষ খেলা দেখতে আসে। ব্রাজিল, আর্জেন্টিনার মত অতি জনপ্রিয় কোন দলের খেলা হলে সেদিন একসাথে প্রায় ২০ হাজার মানুষ খেলা দেখে এই স্ক্রিণে৷ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি ঢাকা শহরের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এবং বিভিন্ন জায়গা থেকেও অনেকে এই স্ক্রিণে খেলা দেখতে আসে। এতে করে মুহসীন হল শিক্ষার্থীরা ব্যাপক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে।বিশেষ করে ব্রাজিল,আর্জেন্টিনার মত জনপ্রিয় দলের খেলার রাতে তাদের পড়াশুনার পাশাপাশি ঘুমেরও বিপর্যয় হচ্ছে। অতি উৎসাহী সমর্থকরা খেলার এক ঘন্টা আগ থেকে হল মাঠে অবস্থান নেয়া শুরু করে। এবং উচ্চস্বরে বাঁশি বাজিয়ে শব্দ দূষণ করে। হলের আবাসিক শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি আশেপাশে অবস্থিত আবাসিক কোয়ার্টারগুলোয় শিক্ষকরাও বিরক্ত এমন বিশ্বকাপ উন্মাদনায়।
এই বিষয়ে কথা বলতে চাইলে আরিফুল ইসলাম নামক এক শিক্ষার্থী বলেন,"নগদ" বিশ্ববিদ্যালয়কে কেন্দ্র করে এই ক্যাম্পেইন পরিচালনা করছে। এতে করে "নগদ" কোম্পানির ভালো একটা মার্কেটিং হচ্ছে তবে আমাদের সৃষ্টি হচ্ছে হাজার ও সমস্যা। আমাদের অনেকের সকাল ৮ টায় ক্লাস থাকে। রাতে চেষ্টা করেও ঘুমানো যায়না এমন চিল্লাপাল্লার কারণে৷ গতকাল আর্জেন্টিনার খেলা থাকার কারণে সারারাত ঘুমাতে পারিনি মানুষের চিল্লাপাল্লার কারণে। ফলস্বরূপ আজ সকালের ক্লাসটি করতে পারিনি। প্রতি চার বছর পর এই গ্রেটেস্ট শো অনুষ্ঠিত হয়।বিশ্বকাপ নিয়ে এমন উম্মাদনা যৌক্তিক কিন্তু শিক্ষার্থীদের জীবন বিপর্যয়ে ফেলে এমন উম্মাদনা আমি সমর্থন করিনা। তাই আমি মনে করি প্রশাসনের এই বিষয়ে শিক্ষার্থীবান্ধব পদক্ষেপ নেয়া উচিত।
ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের এক শিক্ষক বলেন, মুহসীন হল মাঠের পাশেই আমার বাসা থাকায় কাল সারারাত ঘুমাতে পারিনি।বাসায় অসুস্থ মায়ের ঘুমের সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। হল মাঠের চিল্লাপাল্লার কারণে ছেলেমেয়েরা পড়াশুনা পর্যন্ত করতে পারছেনা। প্রশাসনের বুঝা উচিত ছিলো বছরের শেষ সময়ে কম বেশি সকল স্কুল, কলেজের বার্ষিক পরীক্ষা চলে।
বাকি দুইটি স্ক্রিনই টিএসসি এরিয়াতে। টিএসসির পাশেই রোকেয়া হল ও শামসুন্নাহার হল অবস্থিত। এসব স্ক্রিণেও ৭/৮ হাজার মানুষ খেলা দেখে থাকে এবং পাশাপাশি উচ্চস্বরে চিল্লাচিল্লি সহ বাঁশি বাজিয়ে পরিবেশ দূষণ করছে। এতে করে দুইটি হলের প্রায় ৬ হাজার আবাসিক শিক্ষার্থীর জীবন বিপর্যয়ের মধ্যে। মেয়ে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ তুলে বলেন, সারা রাত খেলা দেখার পর ও দিনের বেলায় ও উচ্চস্বরে গান বাজনা চালিয়ে রাখে সাউন্ডবক্সে।এতে করে দিনের বেলায় ও শান্তি মত ঘুমাতে পারিনা।
রোকেয়া হলের এক আবাসিক শিক্ষার্থী বলেন,বিশ্ববিদ্যালয় যদি শিক্ষার্থীবান্ধব হতেন তবে অবশ্যই আমাদের কথা বিবেচনায় রেখে পাব্লিক প্লেসে এমন জায়ান্ট স্ক্রিণ রাখার পক্ষে মত দিতেন না। প্রশাসনের বুঝা রচিত ছিলো এই সময়ে অনেকের পরীক্ষা থাকে। খেলা দেখার নাম করে আমাদের উপর একপ্রকার মানষিক নির্যাতন করা হচ্ছে। খেলা চলার সময় তো খেলা চলেই কিন্তু খেলা ছাড়া সারাদিন "দেশি নগদে বেশি লাভ" স্লোগানে গান বাজতে থাকে দিনভর। এসব লেইম কাজ করার কোন মানে হয়না। তাছাড়া আমার মনে হয়, নগদ শুধু মাত্র রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থাকা দলের মানুষের দ্বারা পরিচালিত বিধায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মত একটি প্রতিষ্ঠানকে কেন্দ্র করে তাদের ক্যাম্পেইন পরিচালনা করতে পারছে।
প্রীতি / প্রীতি

মাতামুহুরি নদীতে গোসলে নেমে সাবেক চবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু

রাজনৈতিক দুষ্টচক্র শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দখলে নিয়েছে: শিক্ষা উপদেষ্টা

শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় এনটিআরসিএর বড় সিদ্ধান্ত

সাইবার বুলিং ও নিরাপত্তাহীনতায় চাকসু নির্বাচনে সীমিত নারী প্রার্থীর অংশগ্রহণ

বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর লক্ষাধিক টাকার টাইলস আত্মসাত

পিডি নিয়োগে প্রথম হয়েও বাদ শেকৃবি অধ্যাপক , নিয়ম ভেঙে প্রকল্প পেলেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা

পবিপ্রবির নতুন উদ্যোগে নারী শিক্ষার্থীদের জন্য স্থায়ী নামাজ রুম

ডিআইইউতে আন্তর্জাতিক সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন সম্পন্ন

গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তিপূর্ণ ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ভিপি মৃদুল, জিএস রায়হান

আইএফপিআরআই ও সার্ক কৃষি কেন্দ্রের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর

ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি'তে শুরু হয়েছে আন্তর্জাতিক সম্মেলন BIM 2025

চাকসু নির্বাচনে ব্যালট নম্বর প্রকাশ, আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু
