ঢাকা বৃহষ্পতিবার, ২৬ জুন, ২০২৫

ঢাকায় মুখরোচক এর নতুন শাখা


সকালের সময় ডেস্ক photo সকালের সময় ডেস্ক
প্রকাশিত: ২০-৮-২০২৩ রাত ৯:৩০

খাবারের খোঁজে গ্রাম থেকে ঢাকায় আসেন অনেক মানুষ। এটি সাধারণ গল্প। কেউ কেউ আসেন খাবারের জোগান দিতে। এটি নিশ্চয়ই অসাধারণ বিষয়। আয়শা ইরা এমন একজন উদ্যোক্তা। ভোক্তাদের খাবারের চাহিদা দ্রুততম সময়ের মধ্যে মেটানোর জন্য তিনি এসেছেন ঢাকায়। ঢাকার মিরপুরে ৭ নম্বর সেক্টরে আরামবাগে তিনি শুরু করেছেন মুখরোচক এর নতুন শাখা। ১৯ আগস্ট ঢাকায় মুখরোচক এর নতুন শাখা উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন আলোকিত নারী কল্যাণ ফাউন্ডেশন এর প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি শারমিন সেলিম তুলি, নারী উদ্যোক্তা ও রন্ধনশিল্পী হাসিনা আনছার, আইনজীবী তামান্না তাসমিয়া তুয়া, ফুড ব্লগার সাদিয়া খলিল, ফাহমিদা আহমেদ রিম্পী ও মায়মুনা। আয়শা ইরা জানান- মুখরোচক এর যাত্রা শুরু হয়েছিল পাবনায়। অনলাইনে কাচ্চি বিরয়ানী বিক্রি করতেন তিনি। ঢাকা থেকে তখন অনেক অর্ডার যেত। খেতে ইচ্ছে করছে এখন, আর খাবেন একদিন পর, তা তো হয় না। তাই ঢাকার অনেক অর্ডার বাতিল করতে হতো। দিনদিন ঢাকা থেকে কাচ্চি বিরয়ানীর অর্ডার বাড়তে থাকায় ঢাকায় মুখরোচক এর একটি শাখা ওপেন করার পরিকল্পনা করেন তিনি। এখন ঢাকাবাসীর জন্য ঢাকা থেকেই অথেনটিক কাচ্চি বিরিয়ানি সরবরাহ করবেন তিনি। কাচ্চি বিরিয়ানি আয়শা ইরার সিগনেচার ডিস। তাঁর আরও একটি সিগনেচার ডিস হলো মহিষের ঝাল কষা মাংস। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি আলোকিত নারী কল্যান ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি শারমিন সেলিম তুলি বলেন- আয়শা ইরার নতুন রেসিপি খড়ির চুলায় রান্না করা মহিষের ঝাল কষা মাংস ঢাকাবাসীর মুখে অন্যরকম স্বাদ দিবে। আয়শা ইরার ব্যবসা শুরু করেছিলেন পাবনা থেকে। সেখানে ব্যবসায় সফলতা পেয়ে ঢাকায় এসেছেন তিনি। এটি অন্য নারী উদ্যোক্তাদের জন্য বিশেষ দৃষ্টান্ত। তিনি বলেন- একালের নারী ঘরে বসে না থেকে ঘর থেকেই কাজ করে অর্থ উপার্জন করছে। সংসারে আর্থিক স্বচ্ছলতা আনছে। অবদান রাখছে দেশের অর্থনীতির অগ্রগতিতে। আয়শা ইরা তার অন্যতম উদাহরণ। ' রন্ধনশিল্পী হাসিনা আনছার বলেন- আয়শা ইরার উদ্যোগ দেখে নিশ্চয়ই অন্য নারীরা উৎসাহ পাবেন।

নিজেদের সিগনেচার ডিস বা খাবারের ব্যবসা আরও বড় পরিসরে তুলে ধরবেন। ঢাকার ফ্ল্যাট বাসা থেকেই খড়ির চুলায় রান্না করে আসল স্বাদের মহিষের মাংস তিনি সরবরাহ করবেন ক্রেতাদের কাছে। এ দুটো সিগনেচার ডিসসহ বহু পদের অথেনটিক কাচ্চি ও মাংসের খাবার পাবেন আয়শা ইরার কাছে। করোনাকালীন রোগীদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য খাবার সরবরাহ করার উদ্যোগ নেন তিনি। সেই থেকেই মূলত খাবার পণ্য নিয়ে কাজ শুরু তাঁর। তিনি বলেন- চেষ্টা করি সবসময় সততা, বিশ্বস্ততা, স্বচ্ছতা আর সময়োপযোগী মানসম্মত খাবার ভোক্তার কাছে তুলে দিতে। যে কারণে আমার খাবারের চাহিদাও অন্যদের তুলনায় বেশ ভালো।সারাদেশে এখন অনেকের কাছেই হোটেল ছাড়া হোমমেড খাবার মানেই মুখরোচক। ঢাকার মানুষদের কাছে মুখরোচকের খাবারের চাহিদা বেশি।  তিনি জানান- খাবারের উদ্যোগ যখন শুরু করেছিলাম প্রথম ইচ্ছা ছিল করোনায় আক্রান্ত বা অসুস্থ্য মানুষের সেবা করা। তারপর যখন করোনার প্রকোপ কমে এলো, তখন শুধুমাত্র পাবনার মানুষদের জন্য খাবার তৈরি করার ইচ্ছা ছিল। অল্প সময়ে অনলাইনে আমার তৈরি করা খাবারের চাহিদা বাড়তে থাকে। বর্তমানের পাবনার বাইরেও অনেক শহর থেকে খাবারের অর্ডার আসে। বেশি অর্ডার আসে ঢাকা থেকে। পাবনা থেকে অনেক সময় দিনে দিনে ঢাকায় খাবার সরবরাহ করা সম্ভব হয় না। তাই ঢাকায় মুখরোচকের নতুন একটি শাখা খোলার পরিকল্পনা করা। অনলাইনে মুখরোচকে এ অর্ডার করা যাবে- বাসমতী খাসির কাচ্চি, মুরগির রোস্ট, বিফ রেজালা, জালি কাবাব , টিকিয়া, প্লেন পোলাও আস্ত রোস্ট, চিকেন দম বিরিয়ানি, পোলাও রোস্ট , সরিষার তেলের বিফ তেহারি, পাটায় বাটা মসলার খাবার মেনুতে পাওয়া যাবে, মহিষের মাংসের ঝাল কষা খিচুড়ি, খাসির রেজালা, গরু/মহিষের ঝুড়ি গোশ।

Sunny / Sunny