সফল উদ্যোক্তা শারমিন অবনীর কথা

শারমিন অবনী ছোটবেলায় ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন। এরপর হতে চেয়েছিলেন একজন মিডিয়া পার্সন। বর্তমানে তিনি একজন উদ্যোক্তা। কাজ করছেন সিল্ক ও কটন শাড়ি, থ্রিপিস, কুর্তি টপ্স নিয়ে। এসব পণ্য নিয়ে কাজ করতে কেন আগ্রহী হলেন এমন প্রশ্নের জবাবে শারমিন অবনী বলেন, ছোট বেলা থেকেই আসলে ওভেন ফেব্রিক এর উপর বিভিন্ন কাজ যেমন ডায়িং, ডিজাইন স্কেচ, পোকা থেকে সুতা তৈরি এসব দেখে বড় হয়েছি। আর তখন থেকে নিজেও একটু একটু চেষ্টা করতাম এগুলো নিয়ে কাজ করার। তারপর জব এ  ঢুকে গেলেও এই কাজ গুলো মনের মধ্যে গেঁথে ছিলো। তাই আবার ফ্যাশন ডিজাইনিংয়ে ফিরে আসি। এক পর্যায়ে সেগুলো নিয়ে কাজ শুরু করি। তাঁর উদ্যোগের নাম অফড়ৎহবফ অঃঃরৎবং অফলাইনে প্রায় নয় বছরের বেশি এবং অনলাইনে দুই বছর ধরে কাজ করছেন। শারমিন অবনী বলেন, পরিমানে কম কিন্তু মানে ভালো অর্থাৎ কোয়ালিটিতে বিশ্বাসী। সেই সাথে ইউনিক ডিজাইন পাবেন আমার কাছে যা একদম আনকমন, এক্সক্লুসিভ কালেকশন, অফড়ৎহবফ অঃঃরৎবং এর নিজস্ব ডিজাইন এবং প্রোডাকশন করা। যারা বাংলাদেশি এক্সক্লুসিভ বা ডিজাইনার ড্রেস গুলো পছন্দ করে তারাই মূলত আমার গ্রাহক এবং রিপিট কাস্টমার। প্রতিষ্ঠান বড় করা প্রসঙ্গে শারমিন অবনী বলেন, চেষ্টা করে যাচ্ছি অফড়ৎহবফ অঃঃরৎবং কে বাংলাদেশের সকল জেলা এবং বিশ্বের সকলের কাছে যেন পরিচয় করিয়ে দিতে পারি। শারমিন অবনীর বাবার নাম আব্দুস সাত্তার ও মায়ের নাম শামীমা সাত্তার। তাঁর ছোটবেলা কেটেছে রাজশাহীতে। পড়াশোনো করেছেন ঢাকায়। শারমীন অবনীর তিন বছরের একটি মেয়ে আছে। উদ্যোক্তা হিসেবে অনলাইনে ব্যবসা করতে গিয়ে উদ্যোক্তা প্লার্টফর্ম ইপি থেকে আপনি কেমন সুবিধা পান? এই পশ্নের জবাবে শারমীন বলেন, আমাকে এখন প্রায় ১ লাখ ৭০ হাজার মানুষ চেনে, এই পরিচিতি হয়েছে ইপি থেকেই। সেখান থেকে নেটওয়ার্কিং তৈরি হয়েছে। কাস্টমার পেয়েছি, বিভিন্ন ট্রেনিং এর মাধ্যমে স্কিল ডেভেলপ হয়েছে। এছাড়া কাজ করতে গিয়ে সবার কাছ থেকে যে সম্মান বা ভালোবাসা পেয়েছি সেটা ইপি থেকেই সম্ভব হয়েছে। ইপিকে আরও শক্তিশালী করতে শারমীন বলেন, ইপি উদ্যোক্তা বান্ধব গ্রপ, অনেক গ্রুপ থেকেই আলাদা, ইপি এখনো যে গতিতে চলছে নিস্বার্থ ভাবে উদ্যোক্তাদের নিয়ে। এই গতিতে ইপি বিশ্বের সকলের কাছে একদিন গ্রহণ যোগ্যতা পাবে আশা করছি।