শীতের খাবার হাঁস ভুনা 

দেশজ এর শুরু থেকে খুব চাহিদা সম্পন্ন হচ্ছে হাসঁ। শীতে রেডি টু কুক হাসের পরিমাণ এত পরিমাণে বাড়ে যে যোগান দেয়া মুশকিল হয়ে যায়। বরিশালে নারিকেল দুধে হাসভুনা একটা খুবই মজার খাবার। এটা শুরু আদি বরিশালে হলেও সারা দেশের মানুষ খুব পছন্দ করে। ঢাকার অনেক বাজারে এখন রাজহাঁস, চিনাহাঁস, পাতিহাঁস পাওয়া যায়, তবে গ্রামের পালা হাঁস এ পর্যন্ত এসে পৌঁছায় না। ফার্মের হাস গুলো দামে কম, তাড়াতাড়ি  সেদ্ধ হয় তাই এগুলোই বাজারে পাওয়া যায়। গেরস্ত বাড়ির পালা রাজহাঁস, পাতিহাঁস, চিনাহাসঁ বেশীর ভাগই শখের হাঁস।

আজ পর্যন্ত কোন রাজহাঁস/ চিনাহাসঁ গেরস্তের দামাদামি করে কিনতে পারিনি। আমাদের শখের মূল্য দিতে হয়। আপনি খাবেনই যখন বছরে ২/৩ বার তৃপ্তি সহকারে গেরস্তের পালা হাসের স্বাদ নিয়ে দেখেন। দেশজ-দেশীয় ঐতিহ্য রেডি টু কুক এবং রান্না দুটোই করে থাকে। হাসেঁর গোশত চোখে ছানি পরা রোগে খুব উপকার হিসেবে কাজ করে। প্রোটিনে ভরপুর, হাড়ের ক্ষয় প্রতিরোধ করে, হার্টের জন্য ভালো, ফসফরাসের প্রাচুর্য, হজমে সাহায্য করে, নিয়াসিন সমৃদ্ধ, চোখ ভালো রাখে। হাঁসের গোশের মধ্যে ফ্যাটি অ্যাসিড যথেষ্ট পরিমাণে থাকে। তাই হাঁসের মাংস নিয়মিত খেলে স্বাভাবিকভাবেই দ্রুত ওজন বাড়ে। তাছাড়া শরীরের তাপমাত্রা উষ্ণ রাখতেও সাহায্য করে এই ফ্যাটি অ্যাসিড। এ ছাড়া হাঁসের গোশতে উচ্চ খনিজ পদার্থ থাকায় গলা ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।