জুড়ীতে হচ্ছে দেশের তৃতীয় বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক

ডুলাহাজারা ও গাজীপুরের পর মৌলভীবাজার জেলার জুড়ী উপজেলার লাঠিটিলায় ৯৮০ কোটি টাকা ব্যয়ে হচ্ছে দেশের তৃতীয় সাফারি পার্ক। লাঠিটিলায় দেশের তৃতীয় সাফারি পার্ক নির্মাণের খবরে জেলাজুড়ে বইছে আনন্দের বন্যা। ইতোমধ্যেই জেলার সচেতন মহল লাঠিটিলায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক স্থাপনে সরকার পদক্ষেপ নেয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও স্থানীয় সংসদ সদস্য পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিনকে অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জানাচ্ছেন।
ইতোমধ্যে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয় লাঠিটিলায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক স্থাপনের সম্ভাব্যতা যাচাই প্রতিবেদন অনুমোদন করেছে। বিষয়টি স্থানীয় সংসদ সদস্য ও পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী নিশ্চিত করেছেন। লাঠিটিলায় বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক স্থাপনের সম্ভাব্যতা যাচাই প্রতিবেদনের ওপর ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় প্রয়োজনীয় সংশোধনী সাপেক্ষে তা অনুমোদন করা হয়েছে।
জানা যায়, মৌলভীবাজার জেলা শহর থেকে ৬০ কিলোমিটার উত্তর-পূর্ব, মাধবকুণ্ড জলপ্রপাত থেকে ২০ কিলোমিটার দক্ষিণ এবং লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের ৫০ কিলোমিটার উত্তর দিকে অবস্থিত হওয়ায় পর্যটকদের জন্য এ সাফারি পার্কে ভ্রমণ সুবিধাজনক হবে। বর্তমানে ২০৯ প্রজাতির প্রাণী এবং ৬০৩ ধরনের প্রজাতির উদ্ভিদ সম্পন্ন প্রস্তাবিত এলাকায় সাফারি পার্ক স্থাপিত হলে এখানে আরো অধিক প্রজাতির উদ্ভিদ ও প্রাণীর সম্মিলন ঘটানো হবে। লাঠিটিলায় সংরক্ষিত বনাঞ্চলের ৫ হাজার ৬৩১ একর বনভূমির ওপর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক নির্মাণ করা হবে। এরমধ্যে ইকোভিলেজ, জঙ্গল সাফারি ও কোর সাফারি হিসেবে গড়ে তোলা হবে। কোর সাফারি এলাকায় বাঘ, সিংহ, চিতা, হায়েনা, সরীসৃপ ও গন্ডারসহ বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণীর জন্য সাফারি গড়ে তোলার প্রস্তাবনা আছে।
সাফারি পার্ক ছাড়া বাকি এলাকাগুলো থাকবে বন্যপ্রাণীর জন্য সংরক্ষিত, সেখানে কোনোভাবে বন্যপ্রানীদের সংরক্ষণে প্রতিবন্ধকতা করা যাবে না এবং বন বনের মতো থাকবে। এখানে বন্যপ্রাণীর জন্য মুক্ত আবাস্থল থাকবে এবং এটাকে প্রটেক্টেড এরিয়া হিসেবে আলাদা করে রাখা হবে। বন্যপ্রাণীর যাতে কোনো রকমের ক্ষতি না হয় সে বিষয়ে বন বিভাগ থেকে ব্যবস্থা করা হবে। এছাড়াও এখানে শিশুদের জন্য আলাদা পার্ক স্থাপনসহ শিশুদের খেলাধুলা ও শিক্ষার্থীদের গবেষণার জন্য ব্যবস্থা থাকবে।
সম্ভাব্যতা যাচাই প্রতিবেদন সূত্রে আরো জানা যায়, এলাকায় বসবাসরত মানুষের ঐকমত্যের ভিত্তিতে মূলত এখানে সাফারি পার্ক নির্মিত হচ্ছে। এখানে সাফারি পার্ক স্থাপিত হলে বনভূমির অবৈধ দখলপ্রবণতা স্থায়ীভাবে রোধ হবে। বনের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ও পরিবেশের মান উন্নয়নে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া যাবে। দেশের বিভিন্ন এলাকা ও বিদেশ থেকে আসা পর্যটকরা এ সাফারি পার্কে এসে বিভিন্ন ধরনের দেশি-বিদেশি প্রাণীর সাথে পরিচিত হতে পারবেন। এতে জুড়ী উপজেলায় পর্যটন ক্ষেত্রে দেশের মধ্যে অনন্য ভূমিকা পালন করার পাশাপাশি কর্মসংস্থানের বিরাট সম্ভাবনা সৃষ্টি হবে।
লাঠিটিলার স্থানীয় বাসিন্দা কমলাচাষি বাবুল মিয়া বলেন, আমরা লাঠিটিলায় সাফারি পার্ক নির্মাণে খুশি। আমরা সাফারি পার্ক চাই, তবে আমাদের মধ্যে যারা ক্ষতিগ্রস্ত তাদের জন্য সরকারের কাছে পুনর্বাসন দাবি করছি।
বিভাগীয় বন কর্মকতা বন্যপ্রাণী সেক্টর প্রজেক্ট ডাইরেক্টর রেজাউল করিম চৌধুরী জানান, মূলত প্রকৃতি, পরিবেশ ও বন্যপ্রানীদের সংরক্ষণ করেই সাফারি পার্ক নির্মাণ করা হবে। এখানে যে সকল বন্যপ্রাণী আগে ছিল এবং এখন প্রায় বিলুপ্তির পথে এসব প্রাণীর প্রজনন বাড়বে। তিনি আরো বলেন, মূলত সাফারি পার্ক হচ্ছে বন্যপ্রাণীর জন্য নিরাপদ আবাসস্থল।
বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কের সম্ভাব্যতা যাচাই কমিটির টিম লিডার ড. তপন কুমার দে মুঠোফোনে বলেন, আমরা ইতোমধ্যে লাঠিটিলায় বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক নির্মাণের সম্ভাব্যতা যাচাই করে রিপোর্ট পেশ করেছি। এখানে সাফারি পার্ক নির্মাণ হলে বনভূমি দখলমুক্ত হবে এবং প্রাণীর সংখ্যা বাড়বে।
প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমির হোসাইন চৌধুরী বলেন, সম্ভাব্যতা যাচাই করে লাঠিটিলায় সাফারি পার্ক নির্মাণের উপযুক্ত বলে মনে হয়েছে। এখানে মূলত বনভূমি রক্ষা করে সাফারি পার্ক নির্মাণ করা হবে।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন এমপি বলেন, সম্ভাব্যতা যাচাই প্রতিবেদন অনুযায়ী অন্যান্য এলাকার চেয়ে লাঠিটিলায় সাফারি পার্ক স্থাপন অধিক সুবিধাজনক ও বাস্তবভিত্তিক। এলাকার মানুষের ঐকমথ্যের ভিত্তিতেই জুড়ী উপজেলার লাঠিটিলায় এ সাফারি পার্ক প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। এখানে সাফারি পার্ক স্থাপিত হলে বনভূমি অবৈধ দখল হতে রক্ষা পাবে। জীববৈচিত্র্য ও পরিবেশের মানের উন্নয়নে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
তিনি আরো বলেন, দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত পর্যটক এ সাফারি পার্কে এসে বিভিন্ন ধরনের দেশি-বিদেশি প্রাণীর সাথে পরিচিত হতে পারবেন।
মন্ত্রী আরো বলেন, বর্তমানে সরকারি এ বনভূমির অভ্যন্তরে অবৈধভাবে বসবাসরত পরিবারগুলোর মধ্যে ৫৮টি পরিবারকে যথাযথ প্রক্রিয়ায় পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে। অবশিষ্ট পরিবারগুলোর সমন্বয়ে ইকোভিলেজ প্রতিষ্ঠা করা হবে।
এমএসএম / জামান

জনগণের অধিকারই গণতন্ত্রের মূল ভিত্তি: মঈন খান

ভূমিদস্যু ও জালিয়াতি চক্রের ভয়ে প্রাণে বাঁচতে দুই যুগেরও বেশি পৈতৃক ভিটেমাটি ছাড়া পরিবারসহ দু'ভাই

নেত্রকোনায় সাংবাদিক নির্যাতন মামলার প্রধান আসামী গ্রেফতার

ভূরুঙ্গামারীতে শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপন উপলক্ষে পুলিশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার

টেকনাফে একজনকে জবাই করে হত্যা

পাঁচবিবিতে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি উদ্বোধন করলেন এমপি প্রার্থী ফয়সল আলীম

জাতি ৫৩ বছরের দুর্দশা থেকে মুক্তি পেতে চায়- মুহাম্মদ শাহাজাহান

রাজশাহী বাঘায় এ্যারাবিয়ান অর্গানাইজেশনের হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

জুড়ীতে রুম টু রিডের কর্মশালা অনুষ্ঠিত

পাটের দামে ফুরফুরে মেজাজে বারহাট্টার কৃষকরা

জাতীয় দলের ক্রিকেটার এবাদতের বাবার ইন্তেকাল, দাফন সম্পন্ন

মাইকে ঘোষণা দিয়ে চার মাজার ভাঙচুরের ঘটনায় ২২০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা

সরবরাহ কম, নাগালের বাইরে ইলিশের দাম
Link Copied