প্রধানমন্ত্রীকে ক্ষমা চাইতে বললেন জাফরুল্লাহ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের চেয়ারম্যান ড. আসিফ নজরুলকে ছাত্রলীগ ও মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের হয়রানি ও হুমকি দেয়ার ঘটনায় আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমা চাইতে বলেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
শুক্রবার সকালে জাতীয় জাদুঘরের সামনে আসিফ নজরুলকে হয়রানি ও হুমকির প্রতিবাদ, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল এবং আটক ছাত্র-যুব নেতাদের মুক্তির দাবিতে সচেতন নাগরিক সমাবেশে এ কথা বলেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
সমাবেশ সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক (ভারপ্রাপ্ত) মুহাম্মদ রাশেদ খাঁন। এর আগে গত ১৭ আগস্ট আফগানিস্তানের কাবুল বিমানবন্দর নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে ড. আসিফ নজরুলের কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেয় ছাত্রলীগ। পরে গতকাল বিকেলে ছাত্রলীগের ঝুলানো তালা খুলে দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
সমাবেশে জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের সবচেয়ে গৌরবোজ্জ্বল শিক্ষকদের একজন হলেন আসিফ নজরুল। ছাত্রলীগ এই শিক্ষককে যে অপমান করেছে তার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনার নৈতিক দায়িত্ব আছে। কারণ আপনি আওয়ামী লীগের সভাপতি ৷ সভাপতি হিসেবে আপনার নৈতিক দায়িত্ব হলো পাবলিকলি আসিফ নজরুলের কাছে ক্ষমা চাওয়া৷ তাহলে ভালো উদাহরণ সৃষ্টি হবে। আপনার ছাত্রলীগ এখান থেকে আদব কায়দা শিখবে। আদব কায়দা না শিখলে জাতির উন্নতি হয় না৷
তিনি আরো বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনি কথা দিয়েছিলেন, নিরাপদ সড়ক আন্দোলন যারা করেছিলো সে ছাত্রদের নামে কোনো মামলা হবে না। অথচ তিনবছর ধরে সে মামলা ঝুলছে৷ আর নরেন্দ্র মোদীর আগমনের প্রতিবাদ করায় ৫৪ জন ছাত্রের এখনো জামিন হয়নি৷ শুধু জামিন না, সম্পূর্ণ মামলা প্রত্যাহার করা উচিত। তবেই আসিফ নজরুল যে ভয় করেছে, কাবুলের দৃশ্য দেখতে হবে না। নতুবা কাবুল দৃশ্যের পুনরাবৃত্তি হওয়া আশ্চর্যের কিছু নয়।
নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আসিফ নজরুল একটা স্ট্যাটাস দিয়েছেন যে, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে কাবুল বিমানবন্দর ধরনের দৃশ্য বাংলাদেশও হতে পারে। তিনি সেখানে কারো নাম না বলা সত্ত্বেও ওরা বুঝেছে আসিফ নজরুল না বললেও মানুষ বুঝবে তিনি ওদের কথা বলেছেন। তোরা যদি না পালাস তাহলে বল আমরা দেশেই থাকবো, পালাবো না। এটা বলার ক্ষমতা তাদের নেই। আসল কথা হলো, চোরের মন পুলিশ পুলিশ।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, বাংলা ভাষায় একটি প্রবাদ আছে 'ঠাকুর ঘরে কে রে, আমি কলা খাইনি।' ড. আসিফ নজরুলের দুই লাইনের একটি স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে যা হয়েছে, তাতে অনেকেই আমাদের এই প্রবাদ মনে করিয়ে দিচ্ছে। এই স্ট্যাটাসের কারণে সরকারের পায়ের তলার মাটি কেঁপে উঠেছে।
তিনি বলেন, বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকার আফগানিস্তানের দৃশ্যে যেন নিজেদের ভবিষ্যত দেখেছে। তা না হলে কেন তারা আসিফ নজরুলের ওপর উঠেপড়ে লেগেছে। বর্তমান সরকারেরও এই পরিণতি হবে, তখন প্লেনের চাকা ধরে দেশ থেকে পালাতে হবে। ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন হলো নাগরিকদের টুটি চেপে ধরার আইন। আমাদের যে আন্দোলন-সংগ্রাম, তা হলো এই আইন বাতিল করে সরকারকে হটিয়ে বিজয় অর্জন করার আন্দোলন।
সমাবেশে নুরুল হক নুর বলেন, সংবিধান যেখানে নাগরিকদের সভা-সমাবেশ, মিছিল-মিটিং করার স্বাধীনতা নিশ্চিত করেছে, সেখানে দুই লাইনের স্ট্যাটাস দেয়ার কারণে ছাত্রলীগের গুন্ডারা, চাঁদাবাজ-টেন্ডারবাজরা অধ্যাপক আসিফ নজরুলের কক্ষে তালা মেরেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনকে বলতে চাই, একজন চেয়ারম্যানের কক্ষে কিভাবে ছাত্রলীগের দুর্বৃত্তরা তালা লাগায়? আপনারা যদি ছাত্রলীগের এই দুর্বৃত্তকে প্রশ্রয় দেন, গণতন্ত্রকামী ছাত্র-শিক্ষক-জনতাকে হয়রানি করেন, এর পরিণতি কিন্তু ভালো হবে না। আসিফ নজরুল স্যারের লাঞ্ছনা ও অপমানের সাথে যারা জড়িত তাদেকে অতিদ্রুত আইনের আওতায় আনতে হবে।
প্রীতি / প্রীতি

জাতীয় পার্টি নিষিদ্ধসহ ৫ দাবি জামায়াতের, সারা দেশে বিক্ষোভ মিছিলের ঘোষণা

‘সরকার-উপদেষ্টারা মাহফুজদের ব্যবহার করে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছে’

সংস্কার, বিচার এবং নির্বাচন পরস্পর নির্ভরশীল নয়: সালাহউদ্দিন

ডাকসুর বিজয়ীদের অভিনন্দন, শিবির নাম প্রচার নিয়ে প্রশ্ন সালাহউদ্দিনের

বদরুদ্দীন উমর আর নেই

জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে হামলা-অগ্নিসংযোগ

নুরকে সুস্থ দেখানোর একটি পরিকল্পনা চলছে : রাশেদ খাঁন

সুষ্ঠু নির্বাচন হলে ডাকসুতে বিজয়ী হবে ছাত্রদল : রিজভী

নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখাচ্ছেন তারেক রহমান: আমির খসরু

হঠাৎ উত্তপ্ত রাজনীতির মাঠ, নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা

বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে শুভেচ্ছা জানালেন সারজিস

বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ
