ঢাকা মঙ্গলবার, ৫ আগস্ট, ২০২৫

পশ্চিমবাংলায় যে কারণে হেরেছে বিজেপি


আন্তর্জাতিক ডেস্ক  photo আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১-৬-২০২১ বিকাল ৬:৩

পশ্চিমবাংলায় একুশের বিধানসভা নির্বাচনে কেন বিজেপির ব্যর্থতা? এ বিষয়ে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে গোয়েন্দা রিপোর্ট জমা পড়েছে। সেখানে পশ্চিমবাংলায় বিজেপির ভোট প্রচারের কৌশল নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে।

বলা হয়েছে, বিধানসভা নির্বাচনে বাংলার বুকে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতাদের দাপাদাপির কারণে গুরুত্ব হারিয়েছেন স্থানীয় ভিত্তিক বিজেপির নেতা নেত্রীরা। ফলে নিচুতলার অনেক নেতারাই বিষয়টিকে মেনে নিতে পারেননি। পাশাপাশি, বাংলায় বিজেপির নির্বাচনী প্রচারের তহবিল সঠিক ভাবে খরচ না হওয়ার অভিযোগও উঠে এসেছে।

রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভোট প্রচারে দলের কেন্দ্রীয় স্তরের হেভিওয়েট নেতা-নেত্রী এবং সেলিব্রিটিদের হাজির করানোর ফলে সভা ও রোডশোগুলোতে যথেষ্ট ভিড় হলেও ভোট বাক্সে তার প্রভাব পড়েনি।

জানা গেছে, বিজেপির ওই রিপোর্টে ভোটের আগে দল বদলদের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, ভোটের মুখে অনেকে তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগ দিয়েই টিকিট পেয়ে যান। ফলে তারা বিজেপির হয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নেমে পড়েন। কিন্ত সেই সব দল বদল নেতাদের মধ্যে বিজেপির অনেক প্রার্থীদের বিরুদ্ধেই দুর্নীতির অভিযোগ ছিলো। যা কার্যত বুমেরাং হয়েছে বিজেপির ক্ষেত্রে। ফলে তৃণমূলে থাকার সময় ওই সব নেতাদের নামে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠাদের সাধারণ মানুষ মেনে নিতে পারেননি। যার ফলে ভোট ফলাফলে ক্ষতির মুখে পড়েছে বিজেপি।

একইসঙ্গে ওই রিপোর্টে বিজেপির বেশ কিছু নেতার আচরণ নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে বলে সুত্রের খবর। সেখানে বলা হয়েছে, ভোটের প্রচারে রাজ্য বিজেপি নেতাদের অনেকের হুমকি ধমকি ভালোভাবে নেয়নি বাংলার মানুষ। বিশেষ করে বাংলায় সংখ্যালঘুদের মধ্যে এই হুমকি কুফল ডেকে এনেছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। যে কারণে বাংলায় সংখ্যালঘু ভোটব্যাংক প্রায় পুরোটাই ঢুকেছে তৃণমূলের ঝুলিতে।

রিপোর্টে বিজেপির জয় শ্রীরাম শ্লোগানের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। সেক্ষেত্রে বাঙালি হিন্দুদের অনেকেই জয় শ্রীরাম শ্লোগানের সঙ্গে মিশে যেতে পারেননি। সেখানে বাঙ্গালিয়ানা অনেকটাই কাজ করেছে। বাঙালি ঘরানার দুর্গাপূজার সঙ্গে বিজেপি নেতারা না মিশে জয় শ্রীরামকে নিয়ে যেভাবে মাতামাতি করা হয়েছে তা বাঙালি হিন্দুদের মধ্যে বিরুপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। যা ভোটে ভালো ফল না হওয়ার ক্ষেত্রে একটি অন্যতম কারণ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

একইসঙ্গে ওই রিপোর্টে বাংলায় বেশ কিছু বিজেপি নেতার বিলাসবহুল জীবন যাপনের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। আর এই বিলাসবহুল নেতাদের মধ্যে বড়ো একটি অংশই ছিলো তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেয়া নেতারাই। পাশাপাশি, বাংলায় কিছু কিছু ক্ষেত্রে বিজেপির সঙ্গে আরএসএসের সংঘাতের কথাও উল্লেখ রয়েছে বলে জানা গেছে।

তবে ওই রিপোর্টে সব থেকে বড়ো যে আশঙ্কার কথা বলা হয়েছে, সেটি হলো- আগামী দিনে বাংলায় বিজেপি ভেঙে যাওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সেখানে দাঁড়িয়ে বিশেষ করে বিজেপির জয়ী বিধায়কদের একটি অংশ তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।

প্রীতি / জামান

রাশিয়াকে যুদ্ধে অর্থায়ন করছে ভারত, অভিযোগ যুক্তরাষ্ট্রের

ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধ থামিয়েছি, ফের দাবি করলেন ট্রাম্প

গাজায় ইসরায়েলের লাগাতার হামলা, নিহত আরও শতাধিক ফিলিস্তিনি

রাশিয়ার তেল ডিপোতে ভয়াবহ আগুন, ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলার অভিযোগ

২০৩০ এজেন্ডা বাস্তবায়নে চীনের ভূমিকা প্রশংসনীয়: জাতিসংঘ কর্মকর্তা

ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা না হলে নিরস্ত্রীকরণে রাজি নয় হামাস

ইসরায়েলকে অস্ত্র দেওয়া যাবে না: নিষেধাজ্ঞা পুনর্ব্যক্ত করল কানাডা

রাশিয়ার কাছাকাছি পরমাণু অস্ত্রবাহী সাবমেরিন মোতায়েন করলেন ট্রাম্প

মালয়েশিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় ৩ বাংলাদেশি নিহত, হাসপাতালে দুজন

গাজায় একদিনে নিহত ৮৩, মোট নিহত ছাড়াল ৬০ হাজার ৩০০

১৫ শতাংশ কমিয়ে বাংলাদেশের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক ২০ শতাংশ

নিউইয়র্কের হৃদয় জিতে বিদায় নিলেন দিদারুল

বেইজিংয়ে ভয়াবহ বন্যা, এক বৃদ্ধাশ্রমেই মারা গেলেন ৩১ জন বয়স্ক মানুষ