চট্টগ্রামে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করেছিল বাস্তুহারা বস্তির লোকজন

চট্টগ্রাম নগরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টের মধ্যে বাকলিয়ার শাহ আমানত সেতু এলাকা। সেখানে শতশত ছাত্রজনতা অবস্থান নিয়ে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক অবরোধসহ নানা কর্মসূচী পালন করেছে। সেখানে অসংখ্য ছাত্রের রক্ত ঝরেছে। পঙ্গুত্ব বরণ করেছে। সেখানে আহত দুই ছাত্র চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারাও গেছেন।
সেতু এলাকার ছাত্র-জনতার আন্দোলনকে ঠেকাতে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন চসিকের ৩৫ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম। স্থানীয়রা ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্ররা জানিয়েছেন, জাহাঙ্গীর আলম অর্থ যোগান দিয়ে ক্ষেতচরের বাস্তুহারা এলাকার কয়েকশত ক্যাডাররাকে ছাত্র আন্দোলন দমাতে ব্যবহার করেছেন। তারা থানার অস্ত্রলুটের সাথেও জড়িত। তবে প্রশাসন তাদের কাউকে এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি।
জানা গেছে, আওয়ামীলীগ সরকার আমলে দাপটে নেতা জাহাঙ্গীর আলম ৩৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর
নুরুল হকের পুত্র। বিগত সরকার আমলে বাস্তুহারা এবং খাতুনগঞ্জ এলাকায় তার ছিল নির্যাতনের ঘর। ছিল শতাধিক সন্ত্রাসী বাহিনী। বক্সিরহাট, টেরিবাজার, চাক্তাই, খাতুনগঞ্জ, আছাদগঞ্জ, চর চাক্তাই, পাথরঘাটা, চামড়ার গুদাম, শুটকিপট্টি, বেড়ামার্কেট, শাহ আমানত ব্রীজ, বাকলিয়া বাস্তুহারা ক্ষেতচরসহ বাকলিয়ার বিস্তৃত এলাকা নিয়ন্ত্রণ করতো জাহাঙ্গীর বাহিনীর সদস্যরা।
কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, শাহ আমানত সেতু এলাকায় তারা কর্মসূচী বাস্তবায়নে অবস্থান নিলে জাহাঙ্গীর আলমের নেতৃত্বে শতাধিক ক্যাডার সেখানে অবস্থান নিয়ে ছাত্রদের উপর হামলা করতো। কর্মসূচী আসা ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে টাকা, মোবাইল, ঘডিসহ জিনিসপত্র লুটে নিত।
হামলার বিবরণ দিয়ে স্থানীয় কলেজ ছাত্র জয়নাল আবেদীন, ইমন সেন, শহিদুল ইসলাম, ফারিয়া মোবাশে^রা বলেন, ব্রিজ এলাকায় আমরা যখনই অবস্থান নিতাম, কিছুক্ষণ পর বাস্তুহারা এলাকার কিশোরগ্যাং লীডার সোহেল কুটুম ও ফারুকের নেতৃত্বে লাঠি রাম দা কিরিচ ও আগ্নেয়াস্ত্র হাতে নিয়ে সন্ত্রাসীরা আমাদের উপর হামলা চালাতো। হামলায় দুর্ধর্ষ ছাত্রলীগের ক্যাডার আজমির, হাবিব (পটিয়া) কোরবান আলী রবিউল প্রকাশ বগা রুবেল, মাছ সালাউদ্দীন, কানা মাহমুদ, টোকায় সালাউদ্দিন, উত্তম কুমার সুশীল, রুবেল প্রকাশ ডলার রুবেল, কিশোর গ্যাং লিডার রাসেলসহ শতাধিক অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী অংশ নিত। তাদের হামলায় কয়েক শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী আহত হয়েছে।
জানা গেছে, ৫ আগষ্ট কোতোয়ালী, বাকলিয়া থানা এবং ট্রাফিক বাক্স ও পুলিশ ফাঁড়ি লুটের ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনায় বাস্তুহারা এলাকার সন্ত্রাসীরা জড়িত ছিলেন। সরকার পতনের আগের রাতে তারা বাস্তুহারা এলাকায় প্রকাশ্যে গুলি ছুঁড়ে ভয়-ভীতি দেখিয়েছে বলে এলাকাবাসীরা অভিযোগ।
বাস্তুহারা এলাকার লোকজনের অভিযোগ, বিগত সরকার আমলে বাস্তুহারা এলাকার সমিতির লোকজন সাবেক শিক্ষামন্ত্রীর আশ্রয়-প্রশ্রয়ে বেপরোয়া হয়ে উঠেছিল। এখনো সেখানে আওয়ামীলীগ, যুবলীগের সন্ত্রাসীরা অবস্থান নিয়েছেন।
T.A.S / T.A.S

ডাসারে দিনমজুর রুবেলের জীবনে দুঃখের ছায়া

উল্লাপাড়ায় ইউএনও মোহাম্মদ হাসনাত: দায়িত্ব পালনের ১৩ মাসে বাড়ছে বিতর্ক

’প্রথম বাংলাদেশ ফোরাম’ সম্মাননা পেলেন সাংবাদিক এস এম পিন্টু

চট্টগ্রামে খুনের মামলার আসামি ছোবানের ৬ মাসের সাজা, ৩০ লাখ টাকা জরিমানা

ধনু নদে স্পিডবোট ডুবির ঘটনায় আরও দুই জনের লাশ উদ্ধার

ঝিনাইদহে ৩ বছরের শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টা, অভিযুক্ত মামা আটক

সুলেমান জায়গীরদার অর্গানাইজেশনের নতুন কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠিত

যৌক্তিক দাবি বাস্তবায়নে বাংলাদেশ কালেক্টরেট সহকারী সমিতির পাশে থাকার আশ্বাস দিলেন জেলা প্রশাসক

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে সড়ক ভাঙন: যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার আশঙ্কায় হাজার হাজার মানুষ

একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ দেশের নাম হবে বাংলাদেশ: ইসরাফিল খসরু

মৌলভীবাজারে অপসাংবাদিকতা প্রতিরোধ এবং বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্টিত

দেহ ব্যবসার আড়ালে নগ্ন ভিডিও ধারন' পুলিশ পরিচয়ে নির্যাতন ও মুক্তিপন আদায়
