কলঙ্কিত রাজনীতি: ওরা সবাই পলাতক কেন?

এখন নিশিরাত, আকাশের আড়ালে সূর্য লুকিয়ে আছে,কখন সকাল হবে, আলো ছড়ানোর অপেক্ষায়।
অন্ধকারে ওরা পালিয়েছে, হারিয়ে গেছে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ।
ওরা ছাত্র-জনতার শান্ত আন্দোলনকে
অশান্ত করেছে, রক্তে ভিজিয়েছে রাজপথ—
বাতাসে এখনো লাশের গন্ধ, ছাত্র, জনতা, সাংবাদিক, পুলিশের রক্তের দাগ।
ওরা পালিয়েছে রক্তের হোলিখেলা খেলে,
বছরের পর বছর তোষামোদি রাজনীতিতে মত্ত,
লুণ্ঠন করেছে এদেশের হাজার হাজার কোটি টাকা,
সাধারণ মানুষের স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছে—
তৃণমূলকে সংগঠিত রাখতে পারেনি তারা।
মন ছিলো অপকর্মে, ডুবে ছিলো দুর্নীতির ঘরে।
ইতিহাসে লেখা থাকবে—
ওরা অপমান করার সুযোগ করে দিয়েছে আপমান ও অস্বীকার করার
জাতির জনক
মহাকালের মহানায়ক বঙ্গবন্ধুকে,
বিপথে ঠেলে দিয়েছে জাতীয় পতাকা, জাতীয় সংগীতকে।
আজ অসম্মানিত হচ্ছে স্বাধীনতা ও মুক্তিযোদ্ধা এবং মুক্তিযুদ্ধের শহিদরা। ওদের পালিয়ে যাওয়ার দৃশ্য দেখে নিজেকে লজ্জাবোধ করি।
কোথায় গেল বড় গলার ধমক?
কোথায় গেল বাঘের গর্জন?
সব কিছু খেয়ে, সব লুটে, সব পুড়িয়ে—
ওরা পালিয়েছে।
তবুও রয়ে গেছে তৃণমূল,
যাদের শরীরে নেই কলঙ্কের কালো দাগ, বেঁচে আছে তারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের স্বপ্ন নিয়ে।
ওরা পালিয়েছে, পালায়—
কারণ ওরা কাপুরুষ, নীতিহীন, চরিত্রহীন।
ভয় তাদের মনে,
তারা জানে, তারা রাজনীতি করেনি;
রাজনীতির নামে করেছে লুটপাট, অন্যায়, অত্যাচার,
করেছে চাটুকারিতা, তেলবাজি।
তারাই শেখ হাসিনাকে বানিয়েছে স্বৈরাচারী,
তারাই শেখ হাসিনাকে করেছে পদত্যাগে বাধ্য।
আজ সময় এসেছে পালানোর পালা শেষ করার,
কাপুরুষের কবল থেকে রাজনীতিকে মুক্ত করার।
ওরা পালিয়েছে—
থাকছে শুধু তৃণমূলের নিবেদিত প্রাণ।
আমি আজ সেই তৃণমূলদের কথা বলার জন্য কলম ধরেছি।
আমার এই লেখাতে ভুল থাকতে পারে—
আমি জানি না আমার লেখায় কে খুশি হবে, কে হবে বেজার।
তবুও সত্যি কথা লিখতে হবে।
পালিয়ে যাওয়া আওয়ামী লীগের নেতাদেরকে দেখলে বাঘ মনে হলেও,
আসলে তারা শিয়াল।
তারাতো নীতিনৈতিকতা হারিয়ে ফেলেছে বিভিন্ন অপকর্ম করতে করতে।
তাই তাদের মনের মাঝে ভয় ঢুকে গেছে।
তারা তো সাহস হারিয়েছে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের বাইরে গিয়ে রাজনীতির নামে অরাজকতা সৃষ্টি করার কারণে।
সত্য সাহস তাদের না থাকাতেই তারা পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। দুঃখজনক বিষয়, তারা দীর্ঘ বছর রাজপথে রাজনীতি করেছে, মাঠে মাঠে বড় বড় কথা বলেছে।
শেখ হাসিনাকে খুশি করার জন্য চামচামি করে ধান্দাবাজি করতো।
কিন্তু যখন শেখ হাসিনার পতন হলো, তারা বুঝে গেল যে তাদের ধান্দাবাজির মুখোশ খুলে যাবে।
মানুষের সামনে চোখ দেখাতে পারবে না জেনেই শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার সাথে সাথে তারাও যেভাবেই পারে পালিয়েছে।
আমি বুঝলাম, বিএনপির নেতা-কর্মীরা যেখানে দীর্ঘ ১৫ বছর সকল ধরনের নির্যাতন সহ্য করে ধৈর্য ধরে জেল-জুলুম নির্যাতনের শিকার হয়ে রাজপথে আন্দোলন করেছে, এই ধরনের নেতারা দেশ এবং জাতির জন্য অভিশাপ।আসলে কি লিখবো লেখার ভাষা খোঁজে পাচ্ছিনা- লিখতে গেলেই লিখতে হচ্ছে
নীতিহীন রাজনীতির পরিণতির কথা, আওয়ামী লীগে ন্যায্য নেতৃত্বের অভাব ছিল,
আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক অঙ্গনে আজ যে সংকট, তার মূলে আছে নীতিহীনতা ও আদর্শের অভাব। এই নীতিহীন নেতাদের কি দেশে রাজনীতি করার অধিকার থাকা উচিত? যারা বঙ্গবন্ধুর মতো মহান নেতার আদর্শকে প্রশ্নবিদ্ধ করে, লাখ লাখ তৃণমূল পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের সাগরে ভাসিয়ে দিয়ে নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার নামে আত্মগোপনে চলে যায়, তাদের জন্য রাজনীতির আসন কোথায়? তিনশত সাংসদ নিয়ে শেখ হাসিনার এই পলায়ন এক বিরল ইতিহাস তৈরি করেছে। এটি প্রমাণ করে, যারা রাজনীতিতে নীতি ও আদর্শ বিসর্জন দেয়, তাদের অবস্থান কতটা ভঙ্গুর এবং অস্থিতিশীল।
আজ সময় এসেছে সেই নেতাদের সরিয়ে দেওয়ার, যারা বছরের পর বছর অপকর্ম ও দুর্নীতির রাজনীতি করেছে। দলের প্রকৃত ত্যাগী নেতাদের হাতে রাজনীতির মূল স্রোত তুলে দিতে হবে। আওয়ামী লীগের সবাই তো অপরাধী নয়; অনেক নেতা-কর্মী এখনো বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অবিচল। কিন্তু খারাপ নেতাদের অপকর্মের দায় কেন সাধারণ নেতা-কর্মীদের নিতে হবে? কেন তৃণমূল পর্যায়ের এই নিবেদিত প্রাণ কর্মীরা বিপদের মুখোমুখি হয়ে দিনযাপন করবে?
এই তৃণমূলের জন্য শেখ হাসিনা বরাবরই মুখে আশ্বাস দিয়ে গেছেন, কিন্তু তাদের কাছে যাওয়ার সাহস দেখাননি। কারণ, দলের ভেতরের তোষামোদ কারীদের কারণে তৃণমূলের কথা শেখ হাসিনার কানে পৌঁছায়নি। এই আত্মঘাতী নীতি আর তোষামোদির রাজনীতির পরিণতিতে আজ পতন। এখন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা নিরুপায়।
তবে এই ঘটনা থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে। আজকের সংকট চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে, কীভাবে তোষামোদি, তেলবাজি, এবং দুর্নীতির রাজনীতি দেশকে ধ্বংসের মুখে নিয়ে যেতে পারে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে সামনে রেখে তাদের এখন শক্ত হাতে দলের শুদ্ধি অভিযান শুরু করতে হবে। যারা নিজেদের স্বার্থে দেশকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে, তাদের সরিয়ে দিয়ে ত্যাগী ও ন্যায়পরায়ণ নেতাদের হাতে নেতৃত্ব দিতে হবে। তা না হলে, আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ শুধু ধ্বংসের পথে ধাবিত হবে না, বরং পুরো দেশের ভবিষ্যৎও অনিশ্চিত হয়ে পড়বে।
আমাদের বুঝতে হবে যে, রাজনৈতিক দলের শুদ্ধিকরণ শুধু একটি দলের জন্যই নয়, বরং সমগ্র জাতির জন্য জরুরি। অপকর্মকারীদের সরিয়ে দিয়ে, প্রকৃত ত্যাগী নেতাদের হাতে দায়িত্ব তুলে দিলে, দল ও দেশের জন্য একটি নতুন দিনের সূচনা হবে। তাই আজ সময় এসেছে খারাপ মানুষের হাত থেকে দলকে মুক্ত করার, ন্যায়পরায়ণ এবং আদর্শবান নেতৃত্বকে প্রতিষ্ঠিত করার। এই সংকট থেকে শিক্ষা নিয়ে ভবিষ্যতে রাজনৈতিক ক্ষেত্রে আর কখনো এমন বিপর্যয় না ঘটে, সেই ব্যবস্থাও করতে হবে তাদেরকে। তবে পরিশেষে বলবো সকল অন্যায়ের সঠিকভাবে বিচার হওয়া উচিৎ, যাদের কারণে দেশের আজ এই অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে তাদের বিচার বাংলার মাটিতে হতে হবে, এই বিচারের যদি শেখ হাসিনার শাস্তি হয় তাও মানতে হবে।তবে একটি কথা মনে রাখতে রাখা দরকার পৃথিবীতে কখনো কেউ ইতিহাস থেকে বাঁচতে পারেনি, একদিন ইতিহাসের পাতায় স্বাক্ষী দেবে।
লেখকঃ সাংবাদিক গবেষক টেলিভিশন উপস্থাপক ও সভাপতি- জাতীয় সাংবাদিক মঞ্চ।
T.A.S / T.A.S

শান্তিগঞ্জে ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রমে গতিশীলতা আনয়ন শীর্ষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত

নাফনদীর মোহনায় ট্রলার ডুবি, ৭জেলে উদ্ধার

বালিয়াকান্দিতে জেলা প্রশাসকের মতবিনিময়

বাউফলে চেয়ারম্যান পরিবহন বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন

আদমদীঘিতে সমন্বয় কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত

জয়পুরহাটে পৌর হোল্ডিং ট্যাক্স বৃদ্ধির কার্যক্রম স্থগিতের দাবীতে স্মারকলিপি প্রদান

দৌলতপুরে মুখ বাঁধা অবস্থায় নারীর মরদেহ উদ্ধার

কমিউনিটি পুলিশিং সভা ও উদ্ধারকৃত মোবাইল-অর্থ হস্তান্তর: মেহেরপুর জেলা পুলিশের জনবান্ধব উদ্যোগ

ভূরুঙ্গামারীতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে নবজাতক শিশুদের জন্ম নিবন্ধন নিশ্চিত করছে উপজেলা প্রশাসন

পাবনায় ট্রিপল মার্ডারের রায়ে একজনের মৃত্যুদন্ড

গলাচিপা সরকারি কলেজের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সাথে জামায়াতের এমপি পদ প্রার্থীর মত বিনিময় সভা

ত্রিশালে মসজিদে চুরি করতে গিয়ে গণপিটুনিতে নিহত
