বাড়তি আয়ের আশায় সরকারি বাসা ভাড়া দেন শেকৃবির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা

দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক ভবনের বাসাগুলোতে থাকতে পারেন বরাদ্দপ্রাপ্ত শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। সরকারি এই বাসায় উঠতে তাদের মানতে হয় বাসা বরাদ্দের সব নীতিমালা। কিন্তু নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারী বাড়তি আয়ের আশায় নিজের নামে বরাদ্দকৃত সরকারি বাসা সম্পূর্ণ বা সাবলেটে ভাড়া দিয়ে ভাড়াটে থেকে তোলেন মাসে রুমপ্রতি ৭ থেকে ১০ হাজার টাকা এবং তিন রুমের পুরো বাসা থেকে ২২ থেকে ২৪ হাজার টাকা। এছাড়া নিয়ে থাকেন অগ্রিম টাকা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীদের জন্য বরাদ্দকৃত ১০ তলাবিশিষ্ট আবাসিক ভবন চন্দনায় গিয়ে দেখা যায়, ৯০টি ফ্ল্যাটের মধ্যে ৫০-এর অধিক ফ্ল্যাট ভাড়া দেয়া হয়েছে। বাসাগুলোর কোনোটা পুরোপুরি আবার কোনোটা আংশিক ভাড়া দিয়েছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। একই রকম অবস্থা পরিলক্ষিত হয় পায়রা ভবনেও।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তিন রুমবিশিষ্ট সরকারি বাসা যারা পূর্ণ ভাড়া দিয়েছেন, এমন সংখ্যা অন্তত ৮ জন। তাছাড়া এক রুমে সপরিবারে থেকে বাকি দুই রুম ভাড়া দিয়েছেন এমন কর্মকর্তা-কর্মচারীর সংখ্যা ১৮ এবং দুই রুমে সপরিবারে থেকে বাকি এক রুম ভাড়া দিয়েছেন অন্তত ২৩ জন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অভিযুক্ত সহকারী রেজিস্ট্রারকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, আমরা মাস শেষে যে বেতন পাই তা দিয়ে চলা কষ্টকর হয়ে যায়। তাই সাবলেট ভাড়া দিয়ে কিছুটা ঘাটতি কাটিয়ে উঠতে চেষ্টা করি আরকি। আমি তো আর একা ভাড়া দিচ্ছি না, আমার মতো সবাই ভাড়া দিচ্ছে। যদি সবাইকে নিয়মে আনা হয়, তাহলে আমিও তা মেনে নেব।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বলেন, ক্যাম্পাসে অনেক বহিরাগত ভাড়া থাকে, যাদের অনেকে মাদক কারবারির সাথে জড়িত। ক্যাম্পাসে বহিরাগত অবস্থানের কারণে মাদক বিস্তার হচ্ছে বেশি এবং শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নিরাপত্তার শঙ্কায় থাকেন।
ক্যাম্পাসে অবস্থান করা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক বলেন, বস্তিতে এবং কোয়ার্টারে এত এত বহিরাগতের কারণে ক্যাম্পাসের স্বাভাবিক পরিবেশ বিঘ্ন হচ্ছে। দিনে কর্মস্থলে থাকাকালীন আমাদের সন্তানরা তাদের সন্তানের সঙ্গে মিশে অশোভন আচরণ শিখছে। এসব ব্যাপারে আমরা খুব শঙ্কায় আছি।
ইতোমধ্যে শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে প্রশাসন থেকে বহিরাগতদের ক্যাম্পাস ত্যাগ করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় বেঁধে দেয়া হয় বলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে।
এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলার দায়িত্বে নিয়োজিত বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ক্যাম্পাসে বহিরাগত নির্মূলে আমরা প্রতিনিয়তই কাজ করে যাচ্ছি। প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটাই মেসেজ, ক্যাম্পাসে কোনো বহিরাগত ভাড়াটিয়া থাকতে পারবে না। শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা যারা সাবলেটে থাকেন, তাদের জন্যও একই মেসেজ। ৩০ তারিখের পরে কেউ যদি অবস্থান করে, তাহলে যিনি ভাড়া দিছেন তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেবেন বলে উল্লেখ করেন তিনি।
এমএসএম / জামান

পবিপ্রবির নতুন উদ্যোগে নারী শিক্ষার্থীদের জন্য স্থায়ী নামাজ রুম

ডিআইইউতে আন্তর্জাতিক সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন সম্পন্ন

গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তিপূর্ণ ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ভিপি মৃদুল, জিএস রায়হান

আইএফপিআরআই ও সার্ক কৃষি কেন্দ্রের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর

ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি'তে শুরু হয়েছে আন্তর্জাতিক সম্মেলন BIM 2025

চাকসু নির্বাচনে ব্যালট নম্বর প্রকাশ, আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু

গঠনতন্ত্রে নিয়মিত শিক্ষার্থীদের সংযোজন করে ইকসু'র দাবি

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রক্টর ও ছাত্র-উপদেষ্টার পুনঃনিয়োগ

পাস্ট ডিবেটিং সোসাইটির নতুন সভাপতি রউফ, সম্পাদক তন্নি

বিশ্বসেরা ২ শতাংশ গবেষকের তালিকায় পবিপ্রবির ৩ শিক্ষার্থী

রাবিতে শাটডাউন প্রত্যাহার, ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন জাতীয়তাবাদী শিক্ষকদের

পিছানো হল চাকসু নির্বাচন
