ঢাকা সোমবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৫

বাড়তি আয়ের আশায় সরকারি বাসা ভাড়া দেন শেকৃবির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা


ফাহিম, শেকৃবি photo ফাহিম, শেকৃবি
প্রকাশিত: ১-১০-২০২৪ বিকাল ৫:৫৮

দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক ভবনের বাসাগুলোতে থাকতে পারেন বরাদ্দপ্রাপ্ত শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। সরকারি এই বাসায় উঠতে তাদের মানতে হয় বাসা বরাদ্দের সব নীতিমালা। কিন্তু নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারী বাড়তি আয়ের আশায় নিজের নামে বরাদ্দকৃত সরকারি বাসা সম্পূর্ণ বা সাবলেটে ভাড়া দিয়ে ভাড়াটে থেকে তোলেন মাসে রুমপ্রতি ৭ থেকে ১০ হাজার টাকা এবং তিন রুমের পুরো বাসা থেকে ২২ থেকে ২৪ হাজার টাকা। এছাড়া নিয়ে থাকেন অগ্রিম টাকা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীদের জন্য বরাদ্দকৃত ১০ তলাবিশিষ্ট আবাসিক ভবন চন্দনায় গিয়ে দেখা যায়, ৯০টি ফ্ল্যাটের মধ্যে ৫০-এর অধিক ফ্ল্যাট ভাড়া দেয়া হয়েছে। বাসাগুলোর কোনোটা পুরোপুরি আবার কোনোটা আংশিক ভাড়া দিয়েছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। একই রকম অবস্থা পরিলক্ষিত হয় পায়রা ভবনেও।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তিন রুমবিশিষ্ট সরকারি বাসা যারা পূর্ণ ভাড়া দিয়েছেন, এমন সংখ্যা অন্তত ৮ জন। তাছাড়া এক রুমে সপরিবারে থেকে বাকি দুই রুম ভাড়া দিয়েছেন এমন কর্মকর্তা-কর্মচারীর সংখ্যা ১৮ এবং দুই রুমে সপরিবারে থেকে বাকি এক রুম ভাড়া দিয়েছেন অন্তত ২৩ জন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অভিযুক্ত সহকারী রেজিস্ট্রারকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, আমরা মাস শেষে যে বেতন পাই তা দিয়ে চলা কষ্টকর হয়ে যায়। তাই সাবলেট ভাড়া দিয়ে কিছুটা ঘাটতি কাটিয়ে উঠতে চেষ্টা করি আরকি। আমি তো আর একা ভাড়া দিচ্ছি না, আমার মতো সবাই ভাড়া দিচ্ছে। যদি সবাইকে নিয়মে আনা হয়, তাহলে আমিও তা মেনে নেব।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বলেন, ক্যাম্পাসে অনেক বহিরাগত ভাড়া থাকে, যাদের অনেকে মাদক কারবারির সাথে জড়িত। ক্যাম্পাসে বহিরাগত অবস্থানের কারণে মাদক বিস্তার হচ্ছে বেশি এবং শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নিরাপত্তার শঙ্কায় থাকেন।

ক্যাম্পাসে অবস্থান করা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক বলেন, বস্তিতে এবং কোয়ার্টারে এত এত বহিরাগতের কারণে ক্যাম্পাসের স্বাভাবিক পরিবেশ বিঘ্ন হচ্ছে। দিনে কর্মস্থলে থাকাকালীন আমাদের সন্তানরা তাদের সন্তানের সঙ্গে মিশে অশোভন আচরণ শিখছে। এসব ব্যাপারে আমরা খুব শঙ্কায় আছি।

ইতোমধ্যে শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে প্রশাসন থেকে বহিরাগতদের ক্যাম্পাস ত্যাগ করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় বেঁধে দেয়া হয় বলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে।

এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলার দায়িত্বে নিয়োজিত বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ক্যাম্পাসে বহিরাগত নির্মূলে আমরা প্রতিনিয়তই কাজ করে যাচ্ছি। প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটাই মেসেজ, ক্যাম্পাসে কোনো বহিরাগত ভাড়াটিয়া থাকতে পারবে না। শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা যারা সাবলেটে থাকেন, তাদের জন্যও একই মেসেজ। ৩০ তারিখের পরে কেউ যদি অবস্থান করে, তাহলে যিনি ভাড়া দিছেন তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেবেন বলে উল্লেখ করেন তিনি।

এমএসএম / জামান

মাংসের খাটিয়ায় কুকুর, ছবি তুলতেই সাংবাদিককে হুমকি

ইবি'র ৪৭তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন

ঢাবির একাডেমিক কার্যক্রম ২ সপ্তাহ বন্ধ, হল ত্যাগের নির্দেশ

ভিকারুননিসায় রোববারের প্রথম-নবম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষা স্থগিত

ইবি'র ৪৭তম জন্মিদনে নানা কর্মসূচি গ্রহণ

জকসু নিয়ে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য পদপ্রার্থী অবন্তির ভাবনা

জকসু নিয়ে কেন্দ্রীয় পাঠাগার ও সেমিনার সম্পাদক পদপ্রার্থী ইমনের ভাবনা

ছাত্রদলের উদ্যোগে সুবিধাবঞ্চিত ও ছিন্নমূল শিশুদের সাপ্তাহিক স্কুল উদ্বোধন

শেকৃবিতে নিয়োগে আওয়ামী পুনর্বাসন, এলাকাপ্রীতি ও অর্থ লেনদেনের অভিযোগ

উত্তরায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন

জকসুতে কার্যনির্বাহী সদস্য পদে নির্বাচন করবে সাংবাদিক সম্পদ

দীর্ঘ তিন যুগ পর জাবিতে ইসলামী ছাত্রশিবিরের মিছিল

জকসু নির্বাচন: ছাত্রশিবিরের ‘অদম্য জবিয়ান ঐক্য’ প্যানেল ঘোষণা