দুষ্কৃতিকারী এবং দখলবাজদের প্রশ্রয় দেয় না বিএনপি

স্বৈরাচারী আওয়ামী সরকারের শাসনামলে দমন, নিপীরণ, গণহত্যা এবং সারাদেশ সহ গাজীপুর মহানগর বিএনপির নেতা কর্মীদের ধরপাকর এবং মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করেছে বলেছেন গাজীপুর মহানগর বিএনপি'র সভাপতি শওকত হোসেন সরকার।

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি অতিতের চেয়ে আরও বেশি জনগণের আস্থা অর্জন করতে সমর্থ্য হয়েছে।গত ১৬ বছরে আওয়ামী সরকারের একনায়কতান্ত্রিক ভুমিকা, জন-মানুষকে বাকরুদ্ধ করার অপচেষ্টা এবং প্রতিটা সেক্টরে দুর্নীতির আতুরঘড় করে রেখেছিল অসাম্প্রদায়িক এই ভুখন্ঠকে। বিএনপি দেশ ও জাতির কল্যাণের লক্ষ্যে সবসময় কাজ করে গিয়েছে এবং ভবিষ্যতেও জনগনের  পাশে থেকে কাজ করে যাবে।

নগর সভাপতি আরোও জানান, বিভিন্ন এলাকায় বিএনপি'র নাম  ভাঙিয়ে চাঁদাবাজি ঝুট ব্যবসাসহ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে যাচ্ছে যা আমাদের দলের ইমেজকে নষ্ট করছে। ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় বিএনপি এদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিয়ে দুষ্কৃতিকারী ও দখলবাজদের বহিষ্কার করেছে।  এছাড়া মহানগর বিএনপি কোন চাঁদাবাজ সন্ত্রাস, দুষ্কৃতিকারীকে আস্রয় প্রশ্রয় দেয় না বরং তাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়।

একান্ত সাক্ষাৎকারে দৈনিক সকালের সময়ের প্রতিবেদককে গাজীপুর মহানগর বিএনপি'র সভাপতি শওকত হোসেন সরকার বলেন বিগত ১৬ বছর আমরা রাজপথের বিরোধী দল ছিলাম তখন ফ্যাসিস্ট, স্বৈরাচারী আওয়ামী সরকারের  নির্যাতন হামলা মামলা শুধু বিএনপি'র নেতাকর্মীদের উপরই সীমাবদ্ধ ছিল না সাধারণ মানুষের উপরেও চালিয়েছে স্ট্রিম রোলার , কাউকে সত্য কথাটি কখনো বলতে দেয়নি তারা বললেই দেওয়া হতো মিথ্যা মামলা চালানো হতো অমানুষিক নির্যাতন, ভালো কাজের মধ্যেও তারা দুর্নীতি করেছে যেমন মেগা প্রজেক্ট গুলোতে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করেছে তারা।

তিনি আরো বলেন বিএনপি সরকারের আমলে এই ধরনের লুটপাট কিংবা জনগণের উপর জুলুম নির্যাতন চালানোর কোন নজির নেই।
নগর সভাপতি আক্ষেপ করে বলেন, আমাদের যেই রাজনৈতিক কর্মসূচি গুলো ছিল সেই কর্মসূচি গুলিও আমরা ঠিকমত পালন করতে পারিনি, কর্মসূচি পালনের আগে তাদেরকে অবহিত করতে হতো তাদেরকে অবহিত না করলে তারা সেখানে দাঁড়াতে দিত না, গত ১৬ বৎসর আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারকে বিদায় এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নির্দেশে আমরা রাজপথে থেকে আন্দোলন সংগ্রাম চালিয়ে গেছি আন্দোলন সংগ্রামের কারণে ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের নির্দেশে আওয়ামী ক্যাডার বাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে প্রাণ দিতে হয়েছে হাজার হাজার বিএনপি'র নেতাকর্মীদের।

দেশের ছাত্র জনতা শ্রমিক সহ সকলের সমন্বয়ে আওয়ামী দুঃশাসনের বিদায় হয়েছে। তিনি বলেন আমি মনে করি দেশের প্রতিটা নাগরিক স্বস্তি ফিরে পেয়েছে এবং শান্তিতে আছে এই শান্তির ধারাবাহিকতা যাতে বজায় থাকে সেই লক্ষ্যে কাজ করছে বিএনপি, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দ্রুত একটি অবাধ সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করার জন্য বিএনপি'র পক্ষ থেকে সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। গাজীপুর মহানগর বিএনপি'র প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন গাজীপুর মহানগরের ৮ টি থানা ও ৫৭টি ওয়ার্ড কমিটি পূর্ণাঙ্গ ভাবে সচল অবস্থায় আছে,  আমরা সকলের সাথে মিলেমিশে দেশের জন্য কাজ করে যাচ্ছি এবং বিগত দিনের চাইতে গাজীপুর মহানগর বিএনপি এখন আরো অনেক সংগঠিত ও শক্তিশালী আগামী আসন্ন জাতীয় নির্বাচন ও স্থানীয় নির্বাচনে আমরা প্রমাণ রাখতে পারব যে আমরা জনগণের সাথে সম্পৃক্ত থেকে একটি শক্তিশালী সংগঠন হিসেবে গাজীপুরে বিএনপির ঘাটি তৈরি করতে পেরেছি যে ঘাটি শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ছিল এবং তারেক রহমানের আছে এটা আমরা প্রমাণ করতে সক্ষম হব ইনশাল্লাহ।