ঢাকা সোমবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

অভয়নগরে কিস্তির চাপে পালিয়ে বেড়াচ্ছে পানিবন্দি মানুষ


মতিন গাজী, অভয়নগর photo মতিন গাজী, অভয়নগর
প্রকাশিত: ২০-১০-২০২৪ দুপুর ৩:২৩

'মাছ চাষ করার জন্য ব্যাংক থেকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা ঋণ নিয়েছিলাম, যার সাপ্তাহিক কিস্তি আসে ২ হাজার ২৫০ টাকা। এছাড়া এনজিও থেকে ৮০ হাজার টাকা নিয়েছি। সেখানে মাসিক কিস্তি ৬ হাজার টাকা। এ বছর মাছের ঘেরে খরচ হয়েছে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা। আশা করেছিলাম মাছ বিক্রি হবে তিন লাখ টাকার। কিন্তু জলাবন্ধতায় ঘের ডুবে সব মাছ বের হয়ে গেছে। ঘরের মধ্যে আবার হাঁটুপানি। এর মাঝে এনজিওকর্মীরা কিস্তির জন্য চাপ দিচ্ছেন। কিস্তির চাপে আমি পালিয়ে বেড়াচ্ছি।’ কথাগুলো বলছিলেন অভয়নগর উপজেলার ডাঙ্গামশিয়াহাটি গ্রামের মৃত নগেন্দ্রনাথ মণ্ডলের ছেলে অচিন্ত মণ্ডল।

শুধু অচিন্ত মণ্ডল নন, এমন বিপাকে পড়েছেন ভবদহ অঞ্চলের পানিবন্দি সব ঋণগ্রহীতা। এমন অবস্থার মধ্যেও এনজিওকর্মীরা কিস্তির জন্য প্রতিনিয়ত চাপ সৃষ্টি করছেন। এ বিষয়ে সুন্দলী ইউনিয়নের সড়াডাঙ্গা গ্রামের অনুপম রায় বলেন, বাজারে একটি স্টেশনারি দোকান আছে। দোকানে পানি ঢুকে মালামাল নষ্ট হয়ে গেছে। দোকানে মাল কেনার জন্য জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশন থেকে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা ঋণ নিয়েছেন। কয়েক দিন আগে কিস্তি বাবদ ১০ হাজার ৫০০ টাকা দিয়েছি। টাকা না দিলে মাঠকর্মী বাড়ি থেকে যায় না। চলতি মাসের কিস্তির টাকা দেয়ার সময় হয়েছে, বারবার ফোন দিচ্ছে।

উপজেলার ধোপাদী গ্রামের আব্দুর রশিদ মোল্যা বলেন, ছেলেকে বিদেশে পাঠানোর জন্য ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েছি। সপ্তাহে ৪ হাজার টাকা কিস্তি দিতে হয়। ছেলের বিদেশে যাওয়া হয়নি, টাকা দালাল আত্মসাৎ করেছে। ক্ষেত-খামার ডুবে যাওয়ায় কোনো কাজ নেই। এ অবস্থায় এনজিও টাকার জন্য চাপ দিচ্ছে। ভয়ে কিস্তির দিন স্ত্রীকে নিয়ে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যাই।

আদদ্বীন ফাউন্ডেশনের মাঠকর্মী বিথীকা মণ্ডল বলেন, কিস্তি আদায়ের জন্য উপর থেকে চাপ আছে। তাই সমস্যা জেনেও ভবদহ এলাকায় কিস্তির জন্য চাপ দেয়া হচ্ছে।

ব্র্যাকের মাঠকর্মী শাহিন আহমেদ বলেন, আমার এরিয়ার ভেতর অনেকে কিস্তির টাকা দিচ্ছে। তাই এলাকায় যাই। প্রশাসন নিষেধাজ্ঞা না দেয়া পর্যন্ত কিস্তির টাকা আদায় করা হবে।

ঋণের টাকা আদায়ে চাপ দেয়ার বিষয়ে প্রগতি সমাজ কল্যাণ সংস্থার এরিয়া ম্যানেজার নারায়ণ চন্দ্র সাহা বলেন, আমরা প্রশাসন থেকে ঋণের কিস্তি আদায় বন্ধের কোনো চিঠি পাইনি। এ কারণে আমরা কিস্তি আদায় করছি। কোনো গ্রাহককে চাপ দেয়া হচ্ছে না।

ভবদহ পানি নিষ্কাশন সংগ্রাম কমিটির প্রধান উপদেষ্টা ইকবাল কবির জাহিদ বলেন, আমি ডিসি সাহেবকে কিস্তি বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছি। ডিসি সাহেব এখনো ব্যবস্থা নেননি। এনজিওগুলো কিস্তি আদায় বন্ধ না করলে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।

এ বিষয়ে যশোরের জেলা প্রশাসক আজাহারুল ইসলাম বলেন, কোনো এনজিওকর্মী নির্দয়ভাবে কিস্তির টাকা আদায় করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

T.A.S / জামান

মৃত্যুর এক বছর পর কবর থেকে শিশুর লাশ উত্তোলন

নরসিংদী কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র পরিদর্শনে আইন উপদেষ্টা

শান্তিগঞ্জে মানসিক রোগীর লাশ উদ্ধার

রোহিঙ্গা নারী ও মেয়েদের সুরক্ষার ঝুঁকি ও ভবিষ্যৎ আকাঙ্ক্ষার ওপর একশনএইড এর গবেষণা

রাণীনগরে ছাত্রীকে শ্লীলতাহানীর অভিযোগে শিক্ষক বরখাস্ত

চৌগাছায় কৃষকদের মাঝে মাষকলাই বীজ ও রাসয়নিক সার বিতরন

কমপ্লিট শাটডাউনে পবিপ্রবি বরিশাল ক্যাম্পাস

বারহাট্টার বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ মোস্তাফিজুর রহমান খান রেজভীর চেহলাম অনুষ্ঠিত

খোলা চিঠি লিখে যুবকের আত্মহত্যা, প্রেমঘটিত কারণে হতাশা

বরগুনার পাথরঘাটা বিএনপির সাবেক এমপির উপর হামলায় সাত আসামীর জামিন নামঞ্জুর

অভিভাবকসুলভ প্রধান শিক্ষক মোছা’র বিদায়: ১৬ বছরের সোনালি অধ্যায়ের সমাপ্তি

দেশে প্রথম কলা গাছের তন্তু দিয়ে স্যানিটারি ন্যাপকিন ও মাশরুম উদ্ভাবন

বাঘায় ৪৫ বছরে সাড়ে ৩'শ অধিক কবর খুঁড়েছেন দুলাল ও রতন