মোহিনীর জন্যই কি সায়রাকে ছাড়লেন রহমান? মুখ খুললেন আইনজীবী
উপমহাদেশের জনপ্রিয় সুরকার ও সংগীততারকা এ আর রহমানের বিচ্ছেদ ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা পরেই তার সহশিল্পী মোহিনী দে স্বামী ম্যাকের সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘোষণা করেন।
তারপরই শুরু নতুন গুঞ্জন! দুইয়ে দুইয়ে চার মেলাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন নেটিজেনরা। তাদের দাবি, মোহিনীর সঙ্গে পরকীয়ার কারণেই রহমানের এই ডিভোর্সের সিদ্ধান্ত।
সত্যি কি মোহিনীর সঙ্গে সম্পর্কের কারণে বিয়ে ভাঙার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রহমান? সেই বিতর্কে এবার মুখ খুললেন রহমানের প্রাক্তন স্ত্রী সায়রা বানুর আইনজীবী বন্দনা শাহ।
সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানালেন, এসব বিতর্কের কোনও অর্থ নেই। মোহিনীর ডিভোর্সের সঙ্গে রহমানে ও সায়রার ডিভোর্সের কোনও সূত্র নেই। এটা তাদের নিজস্ব সিদ্ধান্ত। তাই অযথা বিতর্ক না করাই ভালো।’
এখানেই শেষ করলেন না আইনজীবী বন্দনা। তার কথায়, ‘প্রত্য়েকটি দীর্ঘ বিবাহিত জীবনই ওঠা-পড়ার মধ্য়ে দিয়ে এগিয়ে চলে। আমি খুবই খুশি তারা খুব সচেতনভাবে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এই বিচ্ছেদ একেবারেই খারাপ বৈবাহিক জীবনের ফল নয়। সায়রা ও রহমান দুজনেই দুজনকে সম্মান করেন।’
২৯ বছরের মোহিনী দে কলকাতার মেয়ে। রহমানের সঙ্গে দেশে-বিদেশে প্রায় ৪০ টি শোতে পারফর্ম করেছেন তিনি। ২০২৩ সালের আগস্ট মাসে নিজের অ্য়ালবামও প্রকাশ করেছেন। শোনা যায়, রহমানের খুবই পছন্দের শিল্পী তিনি।
বুধবার রহমান ডিভোর্স ঘোষণা করার পর পরই মোহিনীও তার ডিভোর্স ঘোষণা করে লিখেছিলেন, ‘হৃদয়ে খুবই বেদনা নিয়ে এটা জানাচ্ছি, যে মার্ক এবং আমি বিবাহবিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এই বিচ্ছেদ একেবারেই দুজনের সিদ্ধান্ত। দুজনে আলাদা হলেও, আমরা খুব ভালো বন্ধু থাকব এবং ম্যাকের সঙ্গে কাজেও যুক্ত থাকব। আমরা দুজনেই মিলে অনেকগুলো প্রোজেক্টে কাজ করছি। সেটা সফলভাবেই শেষ হবে। আমাদের এই সিদ্ধান্তকে সম্মান জানান আপনারা, এটাই সবার কাছে চাইবো।’
১৯৯৫ সালে রহমান ও সায়রা বানুর বিয়ে হয়েছিল। জানা পরিচিতি থেকেই তাদের এই বিয়ে। এরপর দীর্ঘ ২৯ বছর একসঙ্গে কাটিয়েছেন। খাতিজা, রহিমা ও আমিন, তিন সন্তানের জন্ম হয়েছে। মেয়ে খাতিজার বিয়েও হয়ে গেছে।
বিয়ের এত বছর পর আচমকা কেন বিচ্ছেদের পথে হাঁটলেন রহমান ও সায়রা? এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কিছু জানা যায়নি। তবে এক্স হ্যান্ডেলে রহমান নিজের ও সায়রার যৌথ বিবৃতি শেয়ার করেছেন। যেখানে জানানো হয়, দাম্পত্যের ৩০ বছরের জন্য অনেক প্রত্যাশা ছিল দু’জনের। কিন্তু সেটা আর হলো না। তার আগেই সংসার ভাঙল।
এমএসএম / এমএসএম