হাফেজ হতে চান অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা
শুরুটা উপস্থাপনা দিয়ে, এরপর নাটকে অভিনয়। একে একে বিভিন্ন বিজ্ঞাপনে মডেলিং, সবশেষ ঢালিউডের বড় পর্দায়! শোবিজে প্রিয়াঙ্কা জামানের ক্যারিয়ার গ্রাফটা ঠিক এমনই সাজানো ছিল। যদিও ১৭ বছরের লম্বা জার্নিতে তূলনামূলক খুব বেশি পরিচিতি পাননি এই অভিনেত্রী, তবুও নিজের মতো করে সমানতালে কাজ করে যাচ্ছেন।
২০১৩ সালে ‘ছায়াছন্দ’ উপস্থাপনার মধ্য দিয়ে আত্মপ্রকাশ ঘটে প্রিয়াঙ্কা জামানের। এরপর বিভিন্ন নাটকে কাজ করা শুরু করতে থাকেন। চলচ্চিত্রে এসে মনোয়ার হোসেন ডিপজল, বাপ্পী দের সঙ্গেও কাজ করেছেন প্রিয়াঙ্কা। যদিও বিভিন্ন কারণে সেই গতির ধারা আর থাকেনি। অবশ্য সুযোগ পেলে নাটক কিংবা বিজ্ঞাপনের কাজ করছেন; উপস্থাপনায়ও গতি স্বাভাবিক, রয়েছেন ফ্যাশন ডিজাইনিংয়েও। আবার সম্প্রতি জনপ্রিয় সংগীতশিল্পীদের গানের মিউজিক ভিডিওতেও মডেলিং করেছেন তিনি।
তবে ব্যক্তিজীবন নিয়ে প্রিয়াঙ্কা জামান তেমন একটা আলোচনায় না আসলেও নিজের ধর্ম নিয়ে বেশ সতর্ক এই অভিনেত্রী। প্রায় সাক্ষাৎকারেই ধর্মীয় দায়িত্ব পালনকে গুরুত্ব দিয়েই তুলে ধরেন তিনি। এছাড়াও এই অভিনেত্রী নাকি একসময় মাদরাসা ছাত্রী ছিলেন, এমন খবরও চাউর হয়েছিল মাঝে।এবার সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া প্রিয়াঙ্কার একটি সাক্ষাৎকার থেকে জানা যায় তার সর্বশেষ ইচ্ছা প্রসঙ্গে। অভিনেত্রী জানালেন, হাফেজি পড়াটা শেষ করতে চান তিনি, যেটি ওনার শেষ ইচ্ছা।
সেই ভিডিওতে প্রিয়াঙ্কাকে বলতে শোনা যায়, ‘আমি ছোট থেকে যখন যেটা চেয়েছি আল্লাহর কাছে নিয়ত করে, প্রত্যেকটাই আল্লাহ আমাকে দিয়েছেন। আমার ইচ্ছা ছিল আমি যদি ফ্যাশন ডিজাইনার হতে পারতাম, সেটাও হয়েছি ২০২০ সালে। তারপর এখন আমার সর্বশেষ ইচ্ছা, মানে আমার হাফেজি পড়াটা কমপ্লিট করব, ইনশাআল্লাহ। এটাও আল্লাহ আমাকে কমপ্লিট করে দেবেন, এটাই আমার সর্বশেষ ইচ্ছা।’শোবিজাঙ্গনে কাজ করলেও আগাগোড়াই ধর্মের প্রতি দুর্বলতা রয়েছে অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কার। যে কারণে নিজের জীবন সঙ্গী হিসেবে একজন ধার্মিক পাত্র চান তিনি; এমনকি তা পেলে শোবিজ ছেড়ে দেবেন বলে জানিয়েছেন।
এমএসএম / এমএসএম