শিবচরে মাশরুম চাষকরে দ্বিতীয় ধাপে এসে সফলতার মুখ দেখতে শুরু করেন আখতার হোসেন
মাদারীপুর জেলার শিবচরে ১২ বছর আগে প্রথমবারের মতো মাশরুম চাষ শুরু করেন আখতার হোসেন নামের এই ব্যক্তি। প্রথমবারে ব্যর্থ হয়ে পুরোপুরি বন্ধ করে দেন মাশরুম চাষ। এরপর গত এক বছর ধরে ফের শুরু করেন মাশরুম চাষ। সাভার থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে তিনি মাশরুম চাষ শুরু করেছেন। দ্বিতীয় ধাপে এসে সফলতার মুখও দেখতে শুরু করেন আখতার হোসেন।
দেখা গেছে, বসতবাড়ির বেশিরভাগ অংশজুড়েই মাশরুম খামার! ঘরের দ্বিতীয়তলার পুরোটা জুড়েই মাশরুমের সিলিন্ডার ঝুলছে ছাদের সাথে। সারিবদ্ধ সিলিন্ডার থেকে বের হয়েছে মাশরুম! অন্ধকার, স্যাতসেঁতে, আলোআঁধারি ঘরের মধ্যেই শখের চাষ থেকে বাণিজ্যিক লাভের স্বপ্ন এখন আখতার হোসেনের।
নিজের ঘরের ছাদে মাশরুম চাষের জন্য করেছেন আলাদা কক্ষ। সেখানে ২শতাধিক খড়ের সিলিন্ডার রয়েছে এখন। মাটি থেকে উপরে ঝুলানো খড়ের সিলিন্ডারগুলো উপর থেকে নিচে সারিবদ্ধ করে সাজানো। সিলিন্ডারের গা ফুঁড়ে বেশ হচ্ছে মাশরুম। দ্বিতীয় ধাপে সঠিক পরিচর্যার ফলে সফলতার মুখ দেখেন তিনি। প্রতিটি সিলিন্ডার থেকেই থরে থরে বের হয় মাশরুম।
শীতকালে ডব্লিউ এক্স, এসকে ৫১ এবং পিও ২ এই তিন জাতের মাশরুম ভালো হয়। এখানে তিন জাতেরই মাশরুম রয়েছে। শীত ছাড়া বছরের অন্যান্য সময় পিও ১০ জাতের মাশরুম চাষ হয়।
মাশরুম বাজারে বিক্রির উপযোগী হতে কমপক্ষে ২ মাস সময় লাগে। দুই মাস পর একদিন অন্তর অন্তর মাশরুম বিক্রি করার উপযোগী হয়। বর্তমানে একদিন পর পর বাজারে কমপক্ষে ১৫ কেজি করে মাশরুম বিক্রি করা হচ্ছে।'
পাইকারি বাজারে কেজিপ্রতি ২ শত ৫০ থেকে ৩ শত টাকা দরে বিক্রি হয় মাশরুম। খুচরা খুব একটা হয় না এলাকাতে। বেশির ভাগ মাশরুম ঢাকাতে পাঠানো হয়। তাছাড়া শিবচরের সবজির বাজারেও ইদানিং আমার উৎপাদিত মাশরুম পাওয়া যাচ্ছে।'
মাশরুম চাষাবাদ খুব একটা কঠিন কাজ নয়। তবে নিয়মিত পরিচর্যার মধ্যে পানি স্প্রে করতে হয়। কারণ মাশরুম চাষের জন্য স্যাতসেঁতে পরিবেশ দরকার। বড় বড় মাশরুম ফার্মে এসি থাকে। আমি এসির ব্যবস্থা করতে পারিনি। তাই নিয়মিত ভিজিয়ে ঠান্ডা রাখতে হয়।'
গ্রামে মাশরুমের বাজার কেমন জানতে চাইলে আখতার হোসেন বলেন,'পদ্মাসেতু হবার পরে মাশরুম চাষে আমার আগ্রহ আরও বেড়ে যায়। কারণ, ঢাকাতে মাশরুম পাঠানো যাবে। আমি শুধু শিবচরের চিন্তা করে চাষাবাদ শুরু করিনি। কারণ, এখনো গ্রামে ততটা চাহিদা তৈরি হয়নি। তবে হচ্ছে। শিবচর বাজারে এখন পাইকারি বিক্রি করছি। অনেক রেস্টুরেন্টেও নিচ্ছে। আর ঢাকাতে পাইকারি পাঠাচ্ছি। গ্রামে মাশরুমের চাহিদা তৈরি হতে আরও সময় লাগবে। অনেকে এর পুষ্টিগুণ এবং কিভাবে খাবে এ বিষয়ে জানে না।'
মাশরুমের খামার ঘুরে দেখা গেছে, বসত ঘরের অর্ধেকজুড়েই মাশরুম চাষের নানা উপকরন। ঘরের মেঝেতে খড় ভিজিয়ে রাখা হয়েছে। আরেক কক্ষে সিলিন্ডার তৈরি করে রাখা। মাশরুমের 'বীজ' প্রক্রিয়ার জন্য আলাদা কক্ষ।
তিনি জানান, পুষ্টিগুণ বিবেচনায় মাশরুম একটি পুষ্টিকর খাবার। শহরে মাশরুমের চাহিদা থাকলেও গ্রামে এর চাহিদা কম রয়েছে। তবে দিন দিন মাশরুম খাদ্য হিসেবে গ্রামাঞ্চলেও প্রচলিত হচ্ছে। আক্তার হোসেনের এই মাশরুম চাষাবাদ এলাকার যুবকদের মধ্যেও উদ্যোক্তা হয়ে উঠতে আগ্রহের সৃষ্টি করছে। সঠিকভাবে মাশরুম চাষ করতে পারলে স্বল্প পুঁজিতেই মাসে 'ভালো' টাকা রোজগার করা সম্ভব বলে জানান মাশরুম চাষী আক্তার হোসেন। সরকারি সহযোগিতা পেলে বড় পরিসরে মাশরুম চাষ করবেন বলেও আশা ব্যক্ত করেন তিনি।
এমএসএম / এমএসএম
থামছেই না ছড়াও, দখল করে ভবন নির্মাণ কাজ
বাঁশখালীতে রিক্সা চালক শ্রমিক কল্যাণ ইউনিয়ন নির্বাহী কমিটির বার্ষিক সাধারণ সভা
নোয়াখালীতে যৌন-প্রজনন স্বাস্থ্য ও লিঙ্গ ভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধ সভা
চাঁপাইনবাবগঞ্জ -২ এ,ধানের শীষের কান্ডারী ইঞ্জি: মাসুদ'কে চায় সাধারণ মানুষ ও বিএনপি'র নেতাকর্মীরা
পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীতে শ্রমিক দলের আহ্বায়ক জুয়েলের বিরুদ্ধে কমিটি বাণিজ্যের অভিযোগ
কাউনিয়ায় মেয়েকে ধর্ষণের চেষ্টায় পিতা পুলিশের হাতে
বাঁশখালীতে জমি বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত, গ্রেপ্তার-৩
নন্দীগ্রামে সিএনজি চালককে অপহরণ ও মুক্তিপণ নিয়ে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ
সুবর্ণচরে আশার আলো সমাজ কল্যাণ সংগঠনের বৃক্ষরোপন কর্মসূচি
সহকারী এটর্নি জেনারেল হলেন পেকুয়ার কেএম সাইফুল ইসলাম
৭ই নভেম্বর উদযাপন ও খন্দকার নাসিরের মনোনয়ন এর দাবিতে মধুখালী বিএনপির জরুরী সভা
ভোলা-১ আসনে দলীয় প্রতীকে নির্বাচন করবে বিজেপি, নির্বাচনি প্রচার ও র্যালী অনুষ্ঠিত