টাঙ্গাইলে বন্যার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত, গৃহবন্দি পরিবারগুলোর দুর্ভোগ চরমে

টাঙ্গাইলের বিভিন্ন উপজেলায় বন্যার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এ কারণে গৃহবন্দি পরিবারগুলোর দুর্ভোগ বাড়ছে। উপজেলাগুলোর মধ্যে নাগরপুর উপজেলায় বর্তমান বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। চারদিক নদীবেষ্টিত এই উপজেলা প্রতি বছর বন্যায় কম-বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েই থাকে। এবার বন্যার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় পুরো উপজেলার ১২টি ইউনিয়নে লক্ষাধিক পরিবার দুর্ভোগে পড়েছে। কৃষিসির্ভর এই উপজেলায় একদিকে ফসলি জমি প্লাবিত হয়েছে, অন্যদিকে পানিবন্দি জীবনযাপন করছে স্থানীয় জনসাধারণ। বদ্বীপ খ্যাত নাগরপুর উপজেলায় একপাশে যমুনা নদী, অন্যপাশে ধলেশ্বরী নদী বিদ্যমান। ফলে যমুনা ও ধলেশ্বরী নদীসহ অন্য নদীসমূহের পানি অতিরিক্ত বেড়ে যাওয়ায় উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সড়কসহ ভিটে-বাড়ি ডুবে গেছে।
সরেজমিন দেখা যায়, ধুবড়িয়া ইউনিয়নের বিষমপুর এলাকায় ঈদগাহ মাঠসহ বটতলা পুরো বাজার প্লাবিত হয়ে গেছে। এছাড়াও নাগরপুর সদর পানান-পাইশানা এলাকা, গয়হাটা, ভাড়রা ও সহবতপুর ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত অবস্থায় আছে।
বিষমপুর এলাকার বাসিন্দা আনোয়ার হোসেন বলেন, বন্যা এলে পুরো উপজেলায় আমরা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হই। সড়ক, বাজার ও বসতবাড়ি সব পানির নিচে। আমাদের রোজগারের পথ বন্ধ এবং এখনো ত্রাণ না পাওয়ায় আমরা হতাশ। কৃষক সানি মিয়া জানান, আমন ধান সব পানির নিচে, এখন ঘাস ক্ষেত ডুবে যাওয়ায় গরুর খাদ্য সংকটে আছি। আমরা খুবই অসহায় জীবনযাপন করছি।
এদিকে টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ধলেশ্বরী নদীর পানি বাড়লেও যমুনা ও ঝিনাই নদীর পানি কমেছে।
পানি বৃদ্ধির বিষয়ে নাগরপুর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির বলেন, আমাদের স্থানীয় সাংসদের নির্দেশক্রমে বন্যার শুরুতেই সম্ভাব্য প্লাবিত অঞ্চল নিজে গিয়ে দেখেছি এবং প্রয়োজনীয় ত্রাণ বিতরণের পরিকল্পনা ও প্রস্তুতি চলছে। আশা করি দ্রুত ত্রাণ বিতরণের কাজ আমরা শুরু করতে পারব।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, জেলার নাগরপুর, ভূঞাপুর, কালিহাতী ও টাঙ্গাইল সদর উপজেলার বন্যা দুর্গতদের জন্য ৪০ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। বন্যার ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের জন্য প্রতিটি উপজেলায় নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তালিকা পেলে যথাস্থানে প্রয়োজনীয় সহায়তা দেয়া হবে।
নাগরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিস সূত্রে জানা যায়, প্রায় ৭৫০ পরিবার পুরো উপজেলায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং প্রায় ২০০ ঘরবাড়ি সম্পূর্ণ ও আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। একই সাথে ক্ষয়ক্ষতি বিবেচনায় জরুরিভিত্তিতে ৫ মেট্রিক টন খাদ্য মজুদ আছে। বর্তমান বন্যা পরিস্থিতিতে নাগরপুরে জনসাধারণে দুর্ভোগ বাড়ছে। সময়মতো প্রয়োজনীয় ত্রাণ সহায়তা আসবে বলে আশাবাদী স্থানীয় এলাকাবাসী।
এমএসএম / জামান

লোহাগড়ায় সরকারি রাস্তা দখল, ঘরবন্দি শিরিনা খাতুন

সান্তাহারে ইয়াবা ট্যাবলেট ও প্রাইভেট কারসহ দুইজন গ্রেপ্তার

নেত্রকোনা জেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে গরুর গাড়ি মার্কা প্রার্থীর সমর্থনে সভা

কাউনিয়ায় এইচএসসি ব্যবহারিক পরীক্ষায় টাকা নেওয়ার অভিযোগে

জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে গাজীপুরে গাছের চারা বিতরণ

দুই সাংবাদিকের উপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচী ও প্রতিবাদ সমাবেশ পালিত

পলিথিন ও প্লাস্টিক বর্জন করে চটের ব্যাগ ব্যবহার করুন- কৃষি ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

সোনাগাজীতে পুলিশের বিশেষ অভিযানে গরু চোরসহ গ্রেফতার-০৪, চোরাই গরু উদ্ধার

সীমান্তে বিপুল পরিমান অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার

ভূরুঙ্গামারীতে বিএনপির নেতাদের নামে অপপ্রচারের প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে

রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে এভাবেই নষ্ট হচ্ছে পৌরসভার অর্ধ কোটি টাকার সম্পদ

টাকার বিনিময়ে সনদ বিক্রি, শিক্ষার্থী নেই তবুও চলছে এমপিওভুক্ত কলেজ
