শত প্রতিকূলতার মাঝেও জাতীয়তাবাদী আদর্শে অটল ছিলেন মনির হোসেন

আওয়ামী ফ্যাসিবাদ বিরোধী হিসেবে গত ২০ বছর চাকুরী জীবনে কখনোই নিজের রাজনৈতিক বিশ্বাসকে লুকিয়ে রাখেননি মনির হোসেন। চাকরি জীবনের শুরু থেকেই সকল পর্যায়ের কর্মকর্তা কর্মচারীদের কাছে আওয়ামী বিরোধী হিসেবে পরিচিত ছিলেন তিনি। যেকারণে ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর পরই ষড়যন্ত্রের রোশানলে পড়তে হয় তাকে। বঙ্গভবনে সহকারী পরিচালক পদে চাকরিরত মনির হোসেনকে পাঠানো হয় ঠাকুরগাঁও বেতারে। তার ২ বছর পর সেখান থেকে বদলী করা হয় চট্টগ্রামে।
অথচ তৎকালীন ডিজি মাহবুব রাজনৈতিক পরিচয় গোপন করে পরবর্তী প্রায় তিন বছর স্বপদে দায়িত্ব পালন করেছেন। অন্যদিকে, ২০১৫ সালে ঢাকায় আসার পরও তিনবার বদলী হয়েছেন জাতীয়তাবাদী আদর্শের সাহসী সৈনিক মনির হোসেন। একবার বহির্বিশ্বে, এরপর লিঁয়াজোতে। আবার ২০২০ সালে ঢাকা কেন্দ্রে। ঢাকায় কোন ইউনিটই তাকে ডিডিও হিসেবে দায়িত্ব দেয়নি।
১৯৮৭ সালে ঢাকা কলেজে উচ্চ মাধ্যমিকে পড়া অবস্থা থেকে শুরু করে ২০০৫ সালে চাকুরীতে যোগ দেওয়ার আগ পর্যন্ত জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল অবিভক্ত উত্তরার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। এছাড়া, ঢাকা মহানগর (উত্তর) ছাত্রদলের নির্বাহী কমিটির সদস্যসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন শহীদ জিয়ার আদর্শের সৈনিক মনির হোসেন।কতটুকু বিশ্বস্ত হলে ২০১২ সালে যুক্তরাজ্য সফরে গেলে বাংলাদেশের রাজনীতির বরপুত্র খ্যাত বহুদলীয় রাজনীতির প্রবক্তা, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সুযোগ্য উত্তরসূরি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান তাকে সাক্ষাতের অনুমতি দেন এবং প্রায় ৪০ মিনিট তিনি বিএনপির অন্যতম কান্ডারীর কাছ থেকে দেশ, রাজনীতি, আমলাতন্ত্রসহ বিভিন্ন বিষয়ে দিকনির্দেশনামূলক পরামর্শ গ্রহণ করেন- তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। বিএনপির যুক্তরাজ্য শাখার সাধারণ সম্পাদক জনাব কায়সার ও জনাব সানি এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৯০-৯১ সেশনের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ছাত্র ছিলেন মনির হোসেন। সোহেল-পিন্টু, পিন্টু-লাল্টু ও লাল্টু-হেলাল কমিটির অধীনে দীর্ঘ প্রায় ১৭ বছর ঢাকা মহানগর ছাত্রদলের বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। মনির হোসেনের ছাত্রজীবনে ছাত্রদল ও মূলদলের তখনকার সময়কার সিনিয়র, সমবয়সী এবং জুনিয়র নেতৃবৃন্দ বর্তমানে বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন আছেন। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য নেতৃবৃন্দের মধ্যে রয়েছেন ঢাকা-৫ আসনের সাবেক সাংসদ ও মন্ত্রী মেজর কামরুল ইসলাম, কুমিল্লা সাবেক সাংসদ কর্নেল আনোয়ারুল আজিম, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি'র শিল্প বিষয়ক সম্পাদক মো: আবুল কালাম, যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন, ঢাকা মহানগর (উত্তর) বিএনপি নেতা মোস্তফা জামান, কুমিল্লা জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুর রহমান বাদল, কেন্দ্রীয় যুবদল নেতা মামুন হাসান, ঢাকা কলেজের সাবেক ভিপি ও কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক হারুন উর রশিদ, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান সেগুনসহ অনেকেই। মনির হোসেনের হাত ধরে ছাত্রদলের রাজনীতিতে আসা অনেকেই ঢাকা মহানগর উত্তরে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন রয়েছেন।
জাতীয়তাবাদী আদর্শের সৈনিক হিসেবে স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে সরাসরি অংশগ্রহণ করেছিলেন মনির হোসেন। আন্দোলন সংগ্রামে অংশ নিতে গিয়ে পুলিশের হামলায় মারাত্মক ভাবে জখম হন তিনি। ১৯৯৬-২০০১ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে ১০টিরও বেশি মামলার আসামী এবং একাধিক বার ডিটেনশনসহ কারাবন্দি হতে হয় তাকে। ১৯৯৯ সালে তৎকালীন ঢাকা মহানগর যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন মুকুলের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী মধ্যরাতে জনাব মনিরকে হত্যার উদ্দেশ্যে তার উত্তরার বাসভবনে হামলা ও গুলি চালায়। ২০০১ এর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মেজর কামরুল ইসলামের নির্বাচন পরিচালনা কমিটিতে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ২০২৪ এর ছাত্র-জনতার আন্দোলনে তৎকালীন ঢাকা কেন্দ্রের পরিচালককে অসুস্থতার কথা বলে অফিসে অনুপস্থিত থেকে কাওরানবাজার, উত্তরাসহ বিভিন্ন পয়েন্টে অংশগ্রহণ করেন তিনি। এমনকি ৫ আগষ্টও তিনি ছুটিতে থেকে (অফিসের ছুটির রেকর্ড দেখলেই বুঝা যাবে) বিজয় র্যালিসহ উত্তরা থেকে গণভবনে এসে বিজয়োল্লাশে অংশ নেন।
এসব কারণেই ৫ আগস্ট বিজয়ের পর বেতারের তিন উইংয়ের প্রায় ৩০০ কর্মকর্তার উপস্থিতিতে বৈষম্য বিরোধী বেতার আন্দোলন কমিটির মহাসচিব নির্বাচিত করা হয় তাকে। এই কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্বে রয়েছেন বর্তমান ডিজি মহোদয় যিনি তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার প্রেস উইংয়ে সুনামের শহীদ দায়িত্ব পালন করেন। বেতার অডিটোরিয়ামের সেই হাজিরা শিট দলিল হিসেবে সুরক্ষিত আছে। পরবর্তীতে অনুষ্ঠান ও বার্তা শাখার সমন্বয়ে গঠিত বিসিএস তথ্য সাধারণ কর্মকর্তা কল্যাণ সমিতির সদস্য সচিব নির্বাচিত করা হয় মনির হোসেনকে। উল্লেখ্য, ১৯৯৭-২০০১ পর্যন্ত জাতিসংঘের ইউএনডিপি ও আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থায় কাজ করারও অভিজ্ঞতা রয়েছে তার।
এমএসএম / এমএসএম

ছাত্রদলের সমাবেশে পরিপূর্ণ শাহবাগ

৩৭তম বিসিএস পুলিশ ব্যাচের নতুন কমিটি গঠিত

মাদক ও মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ বিষয়ে র্যাবের সেমিনার অনুষ্ঠিত

পিআইবি’র গণমাধ্যম ও সাংবাদিকতা বিষয়ে মাস্টার্সের শিক্ষার্থীদের নবীন বরণ অনুষ্ঠিত

উত্তরার বিদ্যাপিট নওয়াব হাবিবুল্লাহ এর এসএসসি উত্তীর্ণ কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত

শুধু নির্বাচনের জন্য জুলাই অভ্যুত্থান- ছাত্রনেতা মাইদুল হাসান সিয়াম

সুন্দরবন স্কয়ার মার্কেটের আগুন নিয়ন্ত্রণে

রাজধানীর গুলিস্তানে সুন্দরবন স্কয়ার মার্কেটে আগুন

স্টেডিয়াম এলাকায় সেনাবাহিনীর মাদকবিরোধী অভিযান

তুরাগে রাজউকের খালি প্লট দখলের অভিযোগ সুরুজ মিয়ার বিরুদ্ধে

ই-কমার্স খাতে বিশেষ অবদানের জন্য বাফেসাপ আইকনিক অ্যাওয়ার্ড পেল ই-ক্রয় ডটকম

পুষ্টি ও নিরাপদ খাদ্য ব্যবস্থাপনায় নারীর অংশগ্রহণ শীর্ষক আলোচনা সভা
