ঢাকা বৃহষ্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

পবিপ্রবি ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ এর অভিযোগ, প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা


পবিপ্রবি প্রতিনিধি photo পবিপ্রবি প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ২৬-৫-২০২৫ বিকাল ৫:২৭

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পবিপ্রবি) ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ও ডিভিএম ১৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী তানভীর আহমেদ সজীবের বিরুদ্ধে চাকরির প্রলোভনে অর্থ আত্মসাৎ, চাঁদাবাজি ও একাধিক অপকর্মের অভিযোগ উঠেছে। তবে এখানো তার বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি প্রশাসন।

সম্প্রতি, গত ২১ ও ২২ মে অভিযুক্ত তানভীর আহমেদ সজীবের শেষ ডিফেন্স পর্ব চলাকালে তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ সামনে আসে। অভিযোগ রয়েছে, তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ডাইনিং কর্মচারীকে চাকরি স্থায়ী করার প্রলোভন দেখিয়ে ২০২৪ সালে ৩৩ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন। কিন্তু পরবর্তীতে টাকা ফেরত দেওয়া হয়নি, চাকরিও নিশ্চিত করা হয়নি।

এছাড়া, ক্যাম্পাসের বিভিন্ন দোকান থেকে বাকিতে পণ্য কিনে টাকা পরিশোধ না করার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। পাশাপাশি, ক্যাম্পাসের বিভিন্ন প্রকল্প থেকে বড় অঙ্কের টাকা চাঁদা আদায়ের অভিযোগও উঠেছে তার বিরুদ্ধে। প্রশাসন এসব ঘটনা সম্পর্কে জানার পরও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।

এদিকে অভিযোগ রয়েছে, বিএনপি-ঘনিষ্ঠ কিছু শিক্ষকের ছত্রচ্ছায়ায় জুলাই আন্দোলনের পরও অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা সজীব বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস, পরীক্ষা ও অন্যান্য কার্যক্রমে স্বাভাবিকভাবে অংশ নিচ্ছেন। অর্থ আত্মসাৎ, চাঁদাবাজি ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের হুমকি দেওয়ার মতো গুরুতর অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও তার কোনো বিচার হয়নি।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী কিচেন হেল্পার সাহিদা বেগম বলেন, “আমার চাকরি স্থায়ী করার জন্য গত বছর তৎকালীন ডাইনিং ম্যানেজার আমাকে ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সজীবের সাথে পরিচয় করিয়ে দেন। এরপর সজীব আমার কাছে ৫০,০০০ টাকা দাবি করে এবং টাকা আদায়ের জন্য বারবার ফোন করে ও আমার বাড়িতে গিয়ে চাপ প্রয়োগ করে। বাধ্য হয়ে আমি জমানো টাকা থেকে কিছু দেই এবং ব্যাংক লোন করে তাকে ৩০,০০০ টাকা দেই। কিন্তু টাকা নেওয়ার পর সজীব আমার সঙ্গে সব যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়, আর আমার চাকরিও স্থায়ী হয়নি।”

তিনি আরও বলেন, “সম্প্রতি ক্যাম্পাসে সজীবের সঙ্গে দেখা হলে সে আমাকে চিনতে অস্বীকার করে এবং দাবি করে যে আমার কাছ থেকে কোনো টাকা নেয়নি। এই অবস্থায় আমি নিরুপায় হয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে ন্যায়বিচার চেয়েছি।”তবে এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ সহ-সভাপতি তানভীর আহমেদ সজীবকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি মুঠোফোন রিসিভ করেননি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আবুল বাশার খান বলেন, “এ বিষয়ে আমাকে পূর্বে জানানো হয়েছিল। তবে এখনো লিখিত বা মৌখিক কোনো অভিযোগ কেউ করেনি। কেউ অভিযোগ দায়ের করলে তদন্ত সাপেক্ষে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।”

এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস. এম. হেমায়েত জাহান বলেন, “বিষয়টি নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ আসেনি। তবে ভুক্তভোগীরা যদি অভিযুক্ত শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে প্রশাসন বরাবর লিখিত অভিযোগ করে, তাহলে সেটি ডিসিপ্লিনারি বোর্ডের মাধ্যমে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

এমএসএম / এমএসএম

পাস্ট ডিবেটিং সোসাইটির নতুন সভাপতি রউফ, সম্পাদক তন্নি

বিশ্বসেরা ২ শতাংশ গবেষকের তালিকায় পবিপ্রবির ৩ শিক্ষার্থী

রাবিতে শাটডাউন প্রত্যাহার, ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন জাতীয়তাবাদী শিক্ষকদের

পিছানো হল চাকসু নির্বাচন

রাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো চলছে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’

১৬ অক্টোবর রাকসু নির্বাচন

বিশ্বসেরা ২ শতাংশ গবেষকের তালিকায় বাকৃবির ১২ গবেষক

বিশ্বের শীর্ষ দুই শতাংশ গবেষকদের তালিকায় ইবির দুই অধ্যাপক

আমরা ক্রমশ সাম্য থেকে বৈষম্যের দিকে আগুয়ান হচ্ছি: ড. সলিমুল্লাহ খান

চবির নতুন প্রক্টর অধ্যাপক ড. হোসেন শহীদ সরওয়ার্দী

পবিপ্রবিতে বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর হল ও সুলতানা রাজিয়া হলের নবীনবরণ অনুষ্ঠিত

পবিপ্রবিতে আলোচনা সভা ও পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচি পালন

পোষ্য কোটার দাবিতে এবার কর্মবিরতিতে রাবির শিক্ষক-কর্মকর্তারা