ঢাকা শনিবার, ২ আগস্ট, ২০২৫

শেকৃবিতে পরীক্ষা না দিয়েও পাশ: সাংবাদিকদের হস্তক্ষেপে ফলাফল সংশোধন


ফাহিম, শেকৃবি photo ফাহিম, শেকৃবি
প্রকাশিত: ১-৭-২০২৫ দুপুর ৪:৩৯

শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) কৃষি অনুষদের এক শিক্ষার্থী, অনিন্দ্য বিশ্বাস অর্ঘ্য, ফাইনাল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ না করেও পাশ করার চাঞ্চল্যকর অভিযোগের মুখে পড়েছেন। অভিযোগ ওঠে, তিনি প্যাথলজি বিভাগের ফাইনাল পরীক্ষায় অনুপস্থিত থাকা সত্ত্বেও তাকে 'উপস্থিত' দেখিয়ে কৃতকার্য করানো হয়।

বিষয়টি জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কার্যালয়ে যোগাযোগ করা হলে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক বেলাল হোসেনের সঙ্গে কথা বলতে বলা হয়। সাংবাদিক পরিচয় দেওয়ার পরেও উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. বেলাল হোসাইন রেজিস্ট্রার বরাবর আবেদন করতে বলেন।

তবে সাংবাদিকদের আবেদনের প্রেক্ষিতেই নড়েচড়ে বসে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আব্দুল লতিফ দ্রুত সংশ্লিষ্ট বিভাগের সব শিক্ষকদের সঙ্গে জরুরি মিটিং ডাকেন এবং খাতা পুনরায় মূল্যায়নের সিদ্ধান্ত হয়। যাচাইয়ের পর দেখা যায়, উক্ত শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণই করেননি। এরপর গত মাসের ২৫ তারিখ সংশোধিত ফলাফল প্রকাশ করা হয়, যেখানে তাকে অকৃতকার্য দেখানো হয়েছে।

অনুসন্ধানে জানা যায়, প্যাথলজি বিভাগ ছাড়াও এমন ঘটনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগে ঘটেছে। লেভেল-২, সেমিস্টার-১-এর শিক্ষার্থী গোলাম সরোয়ার কায়নাত টাইফয়েডে আক্রান্ত থাকার কারণে বায়োকেমিস্ট্রি বিভাগের ফাইনাল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ না করলেও তাকে কৃতকার্য দেখানো হয়। পরে তিনি প্রশাসন বরাবর যোগাযোগ করে ভুল ধরিয়ে দিলে ফলাফল পরিবর্তন করা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয় পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কার্যালয়ের প্রধান চৌধুরী মোঃ সাইফুল ইসলাম এ বিষয়ে বলেন, "ফলাফলে ডিপার্টমেন্টের একটা ভুল ছিল। বিষয়টি দৃষ্টিগোচর হলে উপাচার্য স্যার এবং বিভাগের জরুরি মিটিংয়ের সিদ্ধান্তের আলোকে আমাদের নিকট সংশোধনীর মূল্যায়নের কাগজ পাঠানো হয়। তার প্রেক্ষিতে ফলাফল সংশোধন করে উপাচার্য স্যারের অনুমোদন নিয়ে এটি পুনরায় সংশোধিত রেজাল্ট আকারে প্রকাশ করা হয়।"

প্যাথলজি বিভাগের উক্ত কোর্সের শিক্ষক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ বেলাল হোসেন বলেন, "এটা একটা অনিচ্ছাকৃত ভুল ছিল। দুইজনের রেজিস্ট্রেশন নাম্বারের শেষের পাঁচটি ডিজিট একই হওয়ায় ভুলটি হয়।" একটি কোর্সের দুইটি পার্ট একইসাথে ভুল হতে পারে কিনা—এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, "ছয়জন কোর্স টিচার এই কোর্সের। আমি আমার পার্ট দেখে পরবর্তী শিক্ষকের কাছে পাঠিয়েছি। খাতা দেখা নিয়ে কোনো গরমিল হয়নি। শুধুমাত্র দুইজনের রেজিস্ট্রেশন নাম্বারের মিল রয়েছে বিধায় আমাদের অনিচ্ছাকৃত ভুলটি হয়েছে।" পরীক্ষার ঝামেলা এড়াতে পাশ করিয়ে দেওয়া হয়েছে কিনা—জানতে চাইলে তিনি বলেন, "বিষয়টি আসলে এমন না।"

কৃষি অনুষদের লেভেল-২ এর শিক্ষার্থী অনিন্দ্য বিশ্বাস অর্ঘ্য বলেন, "আমাদের ব্যাচে রিএড এক সিনিয়র ভাইয়ের সাথে আমার রেজিস্ট্রেশন নাম্বার প্রথম দুই ডিজিট বাদে বাকিটা সেইম হওয়ায় এ ধরনের সমস্যা হয়েছে।" অনুপস্থিত থাকার পরেও তিনি আপত্তি জানাননি কেন—এই প্রশ্নে তিনি বলেন, "আমি সিনিয়রদের সাথে কথা বলেছি, তখন তারা বলেছে হয়তো পাশ মার্কের কাছাকাছি ছিল, তাই পাশ করে দিয়েছে। এজন্য আপত্তি জানাইনি।"

এমএসএম / এমএসএম

চাকসুর গঠনতন্ত্রে যোগ হলো এমফিল-পিএইচডি শিক্ষার্থী: পূর্ব সিদ্ধান্ত বদলে বিতর্কে প্রশাসন

জাবিতে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও শহীদ পরিবারদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান সম্পন্ন

ডাকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা, ভোট ৯ সেপ্টেম্বর

শেকৃবিতে শিক্ষার্থীদের জিরো পার্সেন্ট ইন্টারেস্টে দেয়া হবে ল্যাপটপ

ইউজিসি'র হিট প্রকল্পের গবেষণা ফান্ডে নাম নেই জবির

চবিতে শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার,মৃত্যু ঘিরে রহস্য

কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে জুলাই ৩৬ কর্ণার উদ্বোধন

বর্ণাঢ্য আয়োজনে পালিত হলো পবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতির তৃতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগে যুক্ত হচ্ছে লিখিত ও প্রেজেন্টেশন পরীক্ষা

জুলাইয়ের স্পিরিট নিয়ে কাল আসছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের নতুন প্ল্যাটফর্ম ইউটিএল

গবিতে বিতর্ক উৎসব: চার ধারার যুক্তিযুদ্ধ

দাবায় চবির ৯ অনুষদের লড়াই, শেষ হলো ‘চেস ফেস্ট

ইবিতে নিহত সাজিদের শেষ ফোনকল নিয়ে রহস্য