ঈশ্বরদীতে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের কুখ্যাত নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের কুখ্যাত সন্ত্রাসী নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়ক বাগাতীপাড়া নাটোর শাখার শহিদুল ইসলাম কর্তৃক লালপুর থানায় জাকারিয়া পিন্টু ও সুলতান আলী বিশ্বাস টনি সহ মোট ৯ জনকে আসামী করে একটি মিথ্যা ও ষড়যন্ত্র মূলক মানহানীকর মামলা করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে স্থানীয় প্রেসক্লাবে।
।ঈশ্বরদী পৌর,উপজেলা ও সকল অঙ্গ সংগঠনের পক্ষ থেকে এ সাংবাদিক সসেম্মলনের আয়োজন করা হয় । এতে লিখিত বক্তব্য দেন,বিএনপি নেতা ও সাংবাদিক এসএম,ফজলুর রহমান। এছাড়াও বক্তব্য দেন,পাবনা জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক জাকারিয়া পিন্টু,যুবদল নেতা সুলতান আলী বিশ্বাস টনি,জাকির হোসেন জুয়েলসহ অন্যরা।
লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করে এসএম,ফজলুর রহমান বলেন,শহিদুল মোল্লা এবং নিষিদ্ধ চরমপন্থী কাকন ও তার বাহিনী কর্তৃক গত ০৫ জুন ২০২৫ইং তারিখে সংগঠিত ঈশ্বরদী সাঁড়াঘাট ইসলাম পাড়ায় সশস্ত্র হামলার ভিডিও ফুটেজটি ঈশ্বরদী-আটঘরিয়ার গণমানুষের নেতা জাকারিয়া পিন্টুর নামে একাত্তর, যমুনা, এখন টেলিভিশন, ২৪ ডট কম সহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ায় প্রচার করে পিন্টুর ভাবমূর্তি নষ্ট করার অপচেষ্টা চালিয়েছে।
যে ভিডিও ফুটেজদ্বারা ঈশ্বরদী থানা ও নৌ-পুলিশ সন্ত্রাসী শহিদুল ও কাকন বাহিনীর ৬ জনকে অস্ত্র সহ গ্রেফত করার পর প্রেস ব্রিফিং করে। সেই ভিডিও প্রতিবেদন দ্বারা উপরে উল্লেখিত মিডিয়া গুলো কিভাবে জাকারিয়া পিন নামে গত ২৮ জুন ২০২৫ইং তারিখ থেকে ধারাবাহিক ভাবে অপপ্রচার চালাচ্ছে। এটা কিসের ইঙ্গিত বহন করে?
জাকারিয়া পিন্টু গত ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ তারিখ কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে সাংগঠনিক কার্যক্রে অংশ হিসেবে জনসংযোগে ব্যস্ত সময় অতিবাহিত করছেন। তিনি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পাবনা-৪ আসনে মনোন প্রত্যাসী। এমতাবস্থায় ঈশ্বরদী বিএনপির কিছু ঘাপটিমারা ষড়যন্ত্রকারী সন্ত্রাসী কাকন বাহিনীকে ব্যবহার করে গত ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছেন। আমরা ষড়যন্ত্রকারীদের সাবধান করে দৃঢ়কণ্ঠে আপনাদের মাধ্যমে জানাতে চাই এই সব নোংরা ষড়যন্ত্র করে জাকারিয়া পিন্টুর আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তা ক্ষুন্ন করেতে পারবে না ইনশাল্লাাহ।
মামলার বাদী শহিদুল ইসলাম গত ০২/০৯/২০১৯ইং তারিখে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নাটোর জেলার বাগাতীপাড়া উপজেলা শাখার সম্মেলেন প্রস্তুতি কমিটির যুগ্ম আহবায়ক এই শহিদুল গত ২৭/০৮/২০২৪ইং তারিখে নাটোর বাগাতীপাড়া থানার বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দের ধায়ের মামলার এজাহারভূক্ত আসামী। যাহার এফআইআর নং-২২। জি.এর নং- ১৪১। মামলার ধা ১৪৩/৩২৩/৩২৪/৩২৫/৩২৬/৩০৭/৫০৬ (২)- ১১৪ পিনাল কোড- ১৮৬০ উল্লেখিত মামলার একজন গ্রেফত পরোয়ানা ভূক্ত দাগী আসামী। কিভাবে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগরে যুগ্ম আহবায়ক শহিদুল ইসলাম ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী থাকা অবস্থায় বাদী হয়ে জননেতা জাকারিয়া পিন্টু ও সুলতান আলী বিশ্বাস টনিসহ ৯ জনের নামে লালাপুর থানায় মাম দায়ের করে? এতে প্রতিয়মান হয় যে বর্তমানে প্রশাসনের মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের দোষররা স্বপদে বহাল তবিয়্যেতে হ্তা মিলিয়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের রাজনীতি ধ্বংস সহ রাজনৈতিক ক্লীন ইমেজের নেতৃবর্গকে ধ্বংসের ষড়যন্ত্র লিপ্ত রয়েছে। প্রশাসনে ঘাপটি মেরে থাকা এ সকল ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে অনতিবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহন না করলে দেশ ও জাতীর জন্য অপরনীয় ক্ষতি বয়ে নিয়ে আসবে। যা নতুন বাংলাদেশ বির্নিমানে বাধা হয়ে দাঁড়াবে। পিন্টুর বিরুদ্ধে দায়ের করা উক্ত মামলাটি মিথ্যা, বানোয়াট এবং ভিত্তিহীন ও ষড়যন্ত্রমূলক। তিনি তীব্র ভাবে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অতিসত্বর মামলাটি প্রত্যাহারের আহবান জানান। তিনি বলেন, শুধুমাত্র ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে জাকারি-পিন্টুকে হেয়-প্রতিপন্ন করতে গিয়ে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ ও তাদের সন্ত্রাসী দোসররা বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রি দল বিএনপিকেউ হেয়-প্রতিপন্ন করে চলেছে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এর পাবনা জেলা শাখার সাবেক যুগ্ম সাধারন সম্পাদক এবং ঈশ্বরদী পৌ বিএনপি'র সাবেক সফল সাধারণ সম্পাদক ঈশ্বরদী আটঘরিয়া গণ মানুষের জননেতা জাকারিয়া পিন্টুর নামে হলুদ সাংবাদিক তা আপনাদের বিচার, জ্ঞান, বিবেক দিয়ে বিবেচনা করে সঠিক তথ্য সুচিন্তিত লিখনীর মাধ্যমে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ায় তুলে ধরার অনুরোধ জানান।